High Court on SSC: দুর্নীতির হাজার হাজার ইঁদুর কমিশনকে কুরে কুরে খাচ্ছে, শিকড় অনেক গভীরে, মন্তব্য হাইকোর্টের
Calcutta High Court Update: আদালত সূত্রে খবর, এসএসসি-র নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ সম্পর্কে বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায় মন্তব্য করেন, দুর্নীতির শিকড় অনেক গভীরে। দোষীদের খুঁজে বের করতে হবে।
সৌভিক মজুমদার, কলকাতা : 'দুর্নীতির হাজার হাজার ইঁদুর কমিশনকে কুরে কুরে খাচ্ছে'। ‘নবম-দশমে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির শিকড় অনেক গভীরে’। শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম সংক্রান্ত মামলায় স্কুল সার্ভিস কমিশন (School Service Commission) সম্পর্কে এমনই মন্তব্য করলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়।
ফের স্টেট লেভেল সিলেকশন টেস্ট বা SLST-তে নবম দশমে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের (Teacher Recruitment) অনিয়মের অভিযোগ তুলে দায়ের হয়েছে মামলা। অভিযোগ উঠেছে, গণিত শিক্ষকের জন্য সংরক্ষিত আসনে নিয়োগের ক্ষেত্রে অনিয়ম হয়েছে। আদালত সূত্রে খবর, SSC-র আইনজীবী আদালতে স্বীকার করে নেন, নিয়োগের সুপারিশপত্র দেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু ত্রুটি থেকে গেছে। এরপরই বিচারপতি এ নিয়ে SSC-র হলফনামা তলব করেন। আগামী ১১ মার্চ, বেলা ১২টার মধ্যে SSC-র চেয়ারম্যানকে হলফনামা জমা দিতে বলা হয়েছে। আদালত সূত্রে খবর, এসএসসি-র নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ সম্পর্কে বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায় মন্তব্য করেন, দুর্নীতির শিকড় অনেক গভীরে। দোষীদের খুঁজে বের করতে হবে।
পরে আবার নবম-দশম শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির মামলায় নতুন মোড় নেয়। অসুস্থতা নিয়ে কমিশনের প্রাক্তন উপদেষ্টার ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট হয়নি হাইকোর্ট। পিঠে ব্যথার জন্য আসতে পারবেন না বলে মেডিক্যাল সার্টিফিকেট জমা দেওয়া হয়। যার ভিত্তিতে যে চিকিৎসককে সার্টিফিকেট দিয়েছেন, তাঁকেই হাইকোর্টে তলব করা হয়েছে। কাল সকাল সাড়ে ১০টায় হাইকোর্টে চিকিৎসককে হাজিরার নির্দেশ। ‘চিকিৎসক যদি বলেন সত্যিই অসুস্থ, তাহলে অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা। আদালত অ্যাম্বুল্যান্স করে গ্রিন করিডর তৈরি করে আনবে। নবম-দশমের শিক্ষক দুর্নীতির মামলায় জানায় হাইকোর্ট। তাদের মন্তব্য, ‘এসএসসির তৃতীয় দলই হল সব দুর্নীতির উৎসস্থল’।
আরও পড়ুন- পরীক্ষায় ফেল করেও গ্রুপ ডি চাকরি! রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের
এদিকে, গ্রুপ ডি নিয়োগ দুর্নীতি মামলাতে ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টের পক্ষ থেকে অবসরপ্রাপ্ত বিচাপতি আরকে বাণের নেতৃত্বে একটি বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়েছে। গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে ওঠা যাবতীয় দুর্নীতির সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখছেন তাঁরা। মাঝে ৯০ জন গ্রুপ ডি হিসেবে ভুয়ো নিয়োগপত্র পেয়েছেন বলে অন্য চাকরিপ্রার্থীদের তরফে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। তার ভিত্তিতেই কলকাতা হাইকোর্ট এসএসসি-র কাছে রিপোর্ট তলব করেছিল। স্কুল সার্ভিস কমিশনের কাছে সেই রিপোর্ট জমা পড়ে। যেটিকে অসম্পূর্ণ বলে জানিয়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দিষ্ট তিনটি বিষয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়েছেন। পাশাপাশি ১৭ মার্চ পর্যন্ত সময়সীমাও বেঁধে দেওয়া হয়েছে।