Raninagar Case : রানিনগরে পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী সমিতি নির্বাচন কবে সম্ভব ? রাজ্যের কাছে জানতে চাইলেন বিচারপতি
Calcutta High Court: মুর্শিদাবাদের রানিনগর ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী সমিতি গঠন ঘিরে চূড়ান্ত নাটক চলছে!
সৌভিক মজুমদার , রাজীব চৌধুরী, কলকাতা : রানিনগরে পঞ্চায়েত সমিতির ( Raninagar Panchayat Samiti ) ) স্থায়ী সমিতি নির্বাচন কবে সম্ভব হবে? ১৯ সেপ্টেম্বরের মধ্য়ে রাজ্য সরকারের কাছে জানতে চাইল কলকাতা হাইকোর্ট ( Calcutta High Court ) । মুর্শিদাবাদের রানিনগর ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী সমিতি গঠন ঘিরে চূড়ান্ত নাটক চলছে!
১১ সেপ্টেম্বর কংগ্রেসের ৩ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যকে ভাঙিয়ে স্থায়ী সমিতি গঠনের প্রক্রিয়া সারা হলেও, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার ( Justice Amrita Sinha ) নির্দেশে অস্বস্তিতে পড়ে তৃণমূল। বোর্ড গঠনের প্রক্রিয়ায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের নির্দেশ দেন বিচারপতি অমৃতা সিন্হা। বিচারপতির নির্দেশ, যদি ইতিমধ্যে সমিতি গঠন হয়ে গিয়ে থাকে, তাহলেও ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত করা যাবে না। সেই মামলায় শুক্রবার বিচারপতি সিন্হা জানতে চান, রানিনগরে পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী সমিতি নির্বাচন কবে সম্ভব হবে? এদিন আদালতে কংগ্রেসের সদস্যরা আবেদন করেন, নির্বাচনের দিন পর্যন্ত পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যদের বিরুদ্ধে যেন কোনও পদক্ষেপ না করা হয়।
থানা ভাঙচুরের ঘটনায় ধৃত পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি যদি জামিন না পান তাহলে তাঁকে নির্বাচনের দিন জেল থেকে হাজির করানোর আবেদন করে কংগ্রেস। পাল্টা রাজ্যের আইনজীবী সওয়াল করেন, মামলাকারীদের ভূমিকা দেখুন, কী করছে দয়া করে দেখুন একবার। পুলিশ রিপোর্ট দেখুন। তখন বিচারপতি মন্তব্য করেন, এসব বানানো রিপোর্ট।
২৭ আসন বিশিষ্ট রানিনগর ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতিতে, বাম-কংগ্রেস জোট জিতেছিল ১৪টিতে। তৃণমূল জয়ী হয় ১৩টিতে। কংগ্রেস কর্মীদের সমাবেশে যোগ দিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগকে কেন্দ্র করে গত শুক্রবার, রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় মুর্শিদাবাদের রানিনগর। অশান্তিতে জড়িত অভিযোগে কংগ্রেস ও বাম নেতা কর্মী-সহ ৩৬ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে ছিলেন কংগ্রেস পরিচালিত রানিনগর ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কুদ্দুস আলি। এরমধ্যে, কংগ্রেসে ভাঙন ধরিয়ে তাদের ৩ সদস্যকে নিজেদের দিকে টেনে নেয় তৃণমূল। এর জেরে তৃণমূলের পক্ষে সংখ্য়াটা বেড়ে হয় ১৬। আবার পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও কংগ্রেস নেতা কুদুদুস আলি পুলিশ হেফাজতে থাকায়, সোমবার ভোটাভুটিতে আরও শোচনীয় পরিস্থিতি হয় বাম-কংগ্রেস জোটের। আর বাম-কংগ্রেস জোটের সদস্য সংখ্যা কমে হয় ১১। এদিকে কলকাতা হাইকোর্টে কংগ্রেসের দায়ের মামলায় অভিযোগ করা হয়, খোদ SDO-র মদতে সদস্যদের কেনা-বেচা চলছে। এরমধ্য়েই ভাইরাল হয়, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও কংগ্রেস নেতা কুদ্দুস আলির বিস্ফোরক বক্তব্য। এই পরিস্থিতিতে গত ১১ তারিখ, বোর্ড গঠনের প্রক্রিয়ায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের নির্দেশ দেন বিচারপতি অমৃতা সিন্হা।