Calcutta High Court : CBI-এর OMR শিট সংক্রান্ত রিপোর্ট সুপ্রিম কোর্টে জমা দিতে বলল হাইকোর্ট
OMR Sheet : নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত যত এগোচ্ছে, ততই যেন রহস্যের নিত্য নতুন অধ্যায় সামনে আসছে ! সেই রহস্যেরই অন্যতম অধ্যায়, OMR শিট
সৌভিক মজুমদার, কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা : সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) মানিক ভট্টাচার্যের মামলা বিচারাধীন। তাই CBI-এর OMR শিট সংক্রান্ত রিপোর্ট গ্রহণ না করে, তা সুপ্রিম কোর্টে জমা দিতে বলল হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। এদিকে, দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানানোর পর, ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা এবার নিজেদের প্রাপ্ত নম্বর জানতে পারবেন। এমনটাই আশ্বাস দিয়েছেন পর্ষদ সভাপতি।
রহস্যের অন্যতম অধ্যায় OMR শিট-
নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত যত এগোচ্ছে, ততই যেন রহস্যের নিত্য নতুন অধ্যায় সামনে আসছে ! সেই রহস্যেরই অন্যতম অধ্যায়, OMR শিট । সোমবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানিতে সেই OMR শিট সংক্রান্ত CBI’এর রিপোর্ট গ্রহণ করল না কলকাতা হাইকোর্ট। রিপোর্ট সুপ্রিম কোর্টে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর, টেট দুর্নীতি মামলায় আদালতে হলফনামা দিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ জানায়, ২০১৪’র প্রাথমিক TET’এর ২০ লক্ষ পরীক্ষার্থীর মধ্যে প্রায় ১৩ লক্ষের OMR শিট বা উত্তরপত্র নষ্ট করা হয়। সেই মামলার প্রেক্ষিতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, কার নির্দেশে, কী উদ্দেশ্যে OMR শিট বা উত্তরপত্র নষ্ট করা হয় ? তা খতিয়ে দেখবে CBI। সেদিনই পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে রাত ৮টার মধ্যে, CBI’এর জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যান মানিক ভট্টাচার্য। সোমবার সিবিআইয়ের আইনজীবী বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে OMR শিট সংক্রান্ত তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে চান। তখন বিচারপতি বলেন, OMR শিট সংক্রান্ত মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন অপসারিত পর্ষদ সভাপতি ও বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য। মামলা বিচারাধীন। তাই এখন এই রিপোর্ট সুপ্রিম কোর্টে জমা দিন।
এর আগে এসএসএসি’র OMR শিটের ক্ষেত্রে অভিযোগ ছিল, প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে, সাদা খাতা জমা দিয়েও, স্রেফ মোটা টাকার বিনিময়ে চাকরি পেয়েছেন অনেকে!বহু চর্চিত সেই সমস্ত সাদা খাতা ভিন রাজ্য থেকে বাজেয়াপ্ত করে সিবিআই। সেই ফাঁকা OMR শিটের ছবি দেখিয়েছিল এবিপি আনন্দ। পরবর্তীতে OMR শিট সংক্রান্ত সিবিআইয়ের রিপোর্টে দাবি করা হয়, স্কুল সার্ভিস কমিশনের সার্ভারে কারও প্রাপ্ত নম্বর ৫০, কারও ৫২, কারও ৫৩! মানে খাতা ফাঁকাই রয়েছে গেছে। কিন্তু, গাজিয়াবাদ থেকে কলকাতা আসতে আসতে, নম্বর শূন্য থেকে ৫০ ছাড়িয়ে গেছে!
এদিকে এরইমধ্যে অবশেষে টেট পাস সার্টিফিকেট নিয়ে জটিলতা কাটতে চলছে। দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানানোর পর, অবশেষে নিজেদের প্রাপ্ত নম্বর জানতে পারবেন ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা। আশ্বাস দিলেন পর্ষদ সভাপতি। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল বলেন, ২০১৪ সালের নম্বর এবার আমরা প্রকাশ করব। টেটের নম্বর জানতে পারবেন ২০১৭ সালের উত্তীর্ণরাও। সোমবারই তাঁদের নম্বর জানানো হবে। এর ফলে স্বচ্ছতা আসবে।
এভাবেই কি সমস্ত জটিলতা ধীরে ধীরে কাটবে ? চাকরি পাবেন সব যোগ্য চাকরিপ্রার্থী ?
আরও পড়ুন ; ৫ বছর পরে অবশেষে টেট উত্তীর্ণদের নম্বর প্রকাশ পর্ষদের