![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/Premium-ad-Icon.png)
Canning News: বাড়ি ফেরার পথে প্রকাশ্যে থেঁতলে খুন, অভিযুক্তের বাড়িতে আগুন উত্তেজিত জনতার
বছর দুয়েক আগের একটি খুনের মামলায় মূল অভিযুক্ত প্রদীপ জামিনে মুক্ত ছিলেন। খুনের ঘটনায় গতকালই ৩ জনকে আটক করে ক্যানিং থানার পুলিশ। আজ সকালে ধৃতের বাড়িতে চড়াও হয়ে আগুন লাগিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা।
![Canning News: বাড়ি ফেরার পথে প্রকাশ্যে থেঁতলে খুন, অভিযুক্তের বাড়িতে আগুন উত্তেজিত জনতার Canning Murder On the way back home, accused house was burned by the people Canning News: বাড়ি ফেরার পথে প্রকাশ্যে থেঁতলে খুন, অভিযুক্তের বাড়িতে আগুন উত্তেজিত জনতার](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2021/12/23/2091c05af2671cb4db05af1132320438_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
ক্যানিং: খুনের মামলায় (Murder Case) মূল অভিযুক্তকে ক্যানিংয়ে (Canning) প্রকাশ্যে থেঁতলে খুন। অভিযুক্তের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিল উত্তেজিত জনতা। অভিযোগ, গতকাল বাড়ি ফেরার পথে প্রদীপ হালদার নামে ওই ব্যক্তিকে রাস্তায় লাঠি দিয়ে পিটিয়ে, পরে ইট দিয়ে থেঁতলে খুন করে কয়েকজন দুষ্কৃতী। বছর দুয়েক আগের একটি খুনের মামলায় মূল অভিযুক্ত প্রদীপ জামিনে মুক্ত ছিলেন। খুনের ঘটনায় গতকালই ৩ জনকে আটক করে ক্যানিং থানার পুলিশ (Canning Police Station)। আজ সকালে ধৃত গোপীনাথ হালদারের বাড়িতে চড়াও হয়ে আগুন লাগিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। পুরনো শত্রুতার জেরে খুন, বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের।
কিছুদিন আগে কান্দিতে তৃণমূল নেতাকে খুনের অভিযোগ (TMC Leader Allegedly Murdered) ওঠে। আত্মীয়ের দোকান থেকে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। সেই সময় রাস্তায় তাঁর উপর হামলা হয় বলে অভিযোগ। রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন
নিহত ব্যক্তির নাম নেপাল সাহা। কান্দি থানার (Kandi in Murshidabad) অন্তর্গত সন্তোষপুরে এই ঘটনা ঘটেছে। নিহত ব্যক্তি আন্দুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যা যমুনা সাহার স্বামী। তৃণমূল নেতা হিসেবে এলাকায় পরিচিতিও ছিল তাঁর। ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তাঁকে খুন করা হয় বলে অভিযোগ পরিবারের।
স্বামী রাজনৈতিক ঝামেলার শিকার হয়েছেন বলে দাবি যমুনাদেবীর। সরাসরি বিজেপি-র দিকে আঙুল তুলেছেন তিনি। সেই মর্মে থানায় অভিযোগও দায়ের করেছেন। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের মামলা দায়ের করেছে কান্দি থানার পুলিশ।
স্থানীয় রেশন ডিলার সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন নেপাল। পরিবারের দাবি, স্থানীয় কয়েক জন এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত। তবে পারিবারিক দ্বন্দ্ব নয়, রাজনৈতিক ঝামেলার জেরেই স্বামীকে প্রাণ হারাতে হল বলে দৃঢ় বিশ্বাস যমুনাদেবীর। স্বামীর খুনিদের উপযুক্ত শাস্তি চান তিনি।
পারিবারিক বিবাদ নাকি রাজনৈতিক আক্রোশ, তৃণমূল নেতা নেপালের খুন হওয়ার কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা অব্যাহত। তবে জেলা তৃণমূল (Murshidabad TMC) রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ নিয়ে সে ভাবে সরব নয়। ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে কেউ এই ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে বলে মনে করছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা আইনাল হক। তাঁর বক্তব্য, ‘‘ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে কেউ এই ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে। থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পুলিশ খতিয়ে দেখুক এবং দোষীদের গ্রেফতার করুক।’’
খোদ তৃণমূল নেতা যেখানে ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে খুনের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না, তাতে তাদের দিকে আঙুল তোলাই উচিত নয় বলে মনে করছে বিজেপিও(BJP)। দলের স্থানীয় নেতা গৌতম রায় বলেন, ‘‘তৃণমূলই তো বলছে ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে খুন। পুলিশ নিরপেক্ষ তদন্ত করুক। খতিয়ে দেখুক কী থেকে খুন।’’
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)