Calcutta High Court: প্রাথমিকে নিয়োগ-বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা
West Bengal Board Of Primary Education: নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন বিএড উত্তীর্ণ প্রার্থীরাও, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির এই অংশকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা দায়ের হয়।
কলকাতা: প্রাথমিক নিয়োগের (West Bengal Board Of Primary Education) বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে এবার মামলা করলেন ১০ জন চাকরিপ্রার্থী। গত ২৯ সেপ্টেম্বর বিজ্ঞপ্তি জারি হয়। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন বিএড উত্তীর্ণ প্রার্থীরাও, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির এই অংশকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা দায়ের হয়। বিএড ডিগ্রিধারীরা এই নিয়োগে অংশগ্রহণ করতে পারেন না। দাবি মামলাকারীদের। পর্ষদের পক্ষে তো খুব সমস্যা, কোন পদক্ষেপ করলেই মামলা হচ্ছে। মন্তব্য বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যর। আগামী সোমবার এই মামলার শুনানি।
প্রাথমিক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ: গত ২৯ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। যেখানে বলা হয়, রাজ্যের প্রাথমিক স্কুলগুলিতে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত সহকারী শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। এক্ষেত্রে ডিএলএড-এর পাশাপাশি বিএড ডিগ্রিধারীরাও আবেদন করতে পারবেন। এখানেই সমস্যার সূত্রপাত। মামলাকারীরা বলছেন, নিয়ম অনুযায়ী বা আইন অনুযায়ী বি এড যোগ্যতাসম্পন্ন প্রার্থী প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া তাতে অংশ নিতে পারেন না। সেই কারণেই নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিজ্ঞপ্তির সংশোধন চেয়ে এই মামলা করেছেন মামলাকারীরা।
চাকরিপ্রার্থীদের আশা আরও বাড়িয়ে গত ২৯ সেপ্টেম্বর একসঙ্গে প্রাথমিকের টেট এবং প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। বলা হয়, নিয়োগের জন্য চাকরিপ্রার্থীরা ২১ অক্টোবর থেকে আবেদন করতে পারবেন। ২০১৪ এবং ২০১৭ সালের টেট উত্তীর্ণরাও আবেদন করতে পারবেন। ডিএলএড দেরিতে হওয়ায় এখনও রেজাল্ট বেরোয়নি। তাই দ্বিতীয় বর্ষের প্রার্থীরাও নিয়োগের জন্য আবেদন করতে পারবেন। নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিতে শূন্যপদের সংখ্যা উল্লেখ করা হয়নি। তবে তিনদিন আগেই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ১১ হাজার শূন্যপদে নিয়োগের কথা জানায়।
এদিকে নিয়োগ দুর্নীতির প্রতিবাদে গাঁধী মূর্তির নীচে চাকরিপ্রার্থীদের ধর্না-অবস্থানের মেয়াদ বাড়াতে নারাজ হাইকোর্ট। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ২০১৪-র প্রাথমিকের প্রায় ৫০ জন চাকরিপ্রার্থী ২ মাসের জন্য ধর্না চালিয়ে যাওয়ার আবেদন জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। ধর্নার মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন খারিজ করেন বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্য। গত ৬ সেপ্টেম্বর অবস্থান বিক্ষোভের অনুমতি চেয়ে নতুন করে পুলিশের কাছে আবেদন করার জন্য চাকরিপ্রার্থীদের নির্দেশ দেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা। ৮ সেপ্টেম্বর আবেদন জানান করেন চাকরিপ্রার্থীরা। ১৩ সেপ্টেম্বর অনুমতি দেয় পুলিশ। ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে পাঁচদিনের জন্য অবস্থান বিক্ষোভে বসেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার ২০১৪-র প্রাথমিকের চাকরি প্রার্থীরা। বিক্ষোভের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদনে এবার সাড়া দিল না হাইকোর্ট।