Cattle Smuggling Case: 'গরুপাচারে প্রত্যক্ষ মদত ছিল অনুব্রতর', সিবিআই-এর এই দাবিতেই জামিন খারিজ কেষ্টর
Anubrata Mandal Arrested: শনিবার আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতে কেস ডায়েরি জমা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।
সুকান্ত মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: সীমান্তে গরুপাচারে সশরীরে এবং প্রত্যক্ষভাবে মদত ছিল অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal), কেস ডায়েরিতে দাবি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (CBI)। সিবিআই-এর দাবি, অনুব্রতর নিজের নামে, ঘনিষ্ঠ ও দূর সম্পর্কের আত্মীয়দের নামে বিপুল সম্পত্তি রয়েছে, যার সঙ্গে কারও আয়ের সঙ্গতি নেই। এ সম্পর্কে পর্যাপ্ত তথ্যপ্রমাণ হাতে রয়েছে তাদের। আদালতের বিচারক অনুব্রতর জামিন খারিজের কারণ হিসেবে এই দুটি তথ্যকেই তুলে ধরেন (Cattle Smuggling Case)।
গরুপাচারে প্রত্যক্ষ যোগ অনুব্রতর, দাবি সিবিআই-এর
শনিবার আসানসোল (Asansol) বিশেষ সিবিআই আদালতে (Special CBI Court) কেস ডায়েরি জমা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। তাতে এ যাবৎ তদন্তে যা তথ্যপ্রমাণ মিলেছে, তা তুলে ধরেন তাঁরা। তাতেই একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন গোয়েন্দারা। তাঁরা জানিয়েছেন, সীমান্তে গরুপাচারে সেফ প্যাসেজ তৈরি করা, পরিবহণ ও সীমান্ত পারাপারে অনুব্রতর যে সরাসরি যোগ ছিল সে সম্পর্কে প্রচুর তথ্যপ্রমাণ তাদের হাতে রয়েছে।
শনিবার আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতে তোলা হয় অনুব্রতকে। সেখানে তাঁর আইনজীবীরা জামিনের আর্জি জানান। অনুব্রতর শারীরিক অসুস্থতার কথা আদালতে তুলে ধরেন তাঁরা। জানান, বয়স ৬৫ পেরিয়েছে অনুব্রতর। হার্টের সমস্যা রয়েছে। অবিলম্বে এসএসকেএণ-এ নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করা প্রয়োজন। সেখান থেকে গোয়েন্দাদের তদন্তে সবরকম সহযোগিতা করবেন তিনি।
আরও পড়ুন: Kunal Ghosh: 'দাম কমিয়ে দে মা উমা', কণ্ঠে শারদীয়ার গান, পুজোয় গায়ক হিসেবে আত্মপ্রকাশ কুণালের
কিন্তু অনুব্রতর জামিনের তীব্র বিরোধিতা করেন গোয়েন্দারা। তাঁরা জানান, অনুব্রত অত্যন্ত প্রভাবশালী এক ব্যক্তি। জামিন পলে বাইরে থেকে তদন্ত প্রভাবিত করতে পারেন তিনি। এ ছাড়াও, বেআইনি ভাবে গরুর নিলাম, তা পাচারে অনুব্রতর যোগ ছিল বলে জানান তাঁরা। অনুব্রতরকে আরও চারদিন হেফাজতে রাখার আর্জি জানান। তাতে সায় দিয়ে অনুব্রতর জামিনের আর্জি খারিজ করেন বিচারক। আরও চারদিন তাঁর হেফাজতের নির্দেশ দেন।
আরও চারদিনের হেফাজতে পাঠানো হয়েছে অনুব্রতকে
আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক অনুব্রতর জামিন খারিজের কারণ হিসেবে এই দুটি তথ্যকে তুলে ধরেন। পাশাপাশি, আদালতে সিবিআইয়ের দাবি, সীমান্তে গরুপাচারে সেফ প্যাসেজ তৈরি করা, পরিবহণ ও সীমান্ত পারাপারে অনুব্রতর যে সরাসরি যোগ ছিল সে সম্পর্কে প্রচুর তথ্যপ্রমাণ তাদের হাতে রয়েছে। সিবিআইয়ের কেস ডায়েরিতে থাকা তথ্য উল্লেখ করে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতির জামিনের আবেদন খারিজ করেন আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক।