Municipality Scam Case: একই দিনে বিজ্ঞপ্তি জারি করে নিয়োগপত্র এবং নিয়োগ ? পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় চার্জশিট CBI-এর
CBI Chargesheet: অয়ন শীল, পাচু রায়-সহ একাধিক সংস্থার নাম রয়েছে চার্জশিটে।
প্রকাশ সিনহা, কলকাতা : পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Municipality Sacam Case) আলিপুরের বিশেষ আদালতে চার্জশিট জমা দিল CBI। চার্জশিটে একদিকে যেমন নাম রয়েছে অয়ন শীলের, তেমনই দক্ষিণ দমদম পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান পাঁচু রায়েরও নাম রয়েছে। করোনা-কালে দক্ষিণ দমদম পুরসভায় বেআইনিভাবে ২৯ জনকে নিয়োগ করা হয়েছিল। একই দিনে বিজ্ঞপ্তি জারি, নিয়োগপত্র এবং নিয়োগ, সবকিছু হয়েছিল, চার্জশিটে দাবি CBI-এর। কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবি, একদিনে কীভাবে গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছিল তার সদুত্তর দিতে পারেননি দক্ষিণ দমদম পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান পাঁচু রায়। পুরসভায় নিয়োগের এই নির্দেশ কে দিয়েছিল ? কত টাকার লেনদেন হয়েছিল ? এসব জানতে তদন্ত চলবে বলে আলিপুরের বিশেষ আদালতে জানিয়েছে CBI। পুরনো ঘটনা, নথি না দেখে বলতে পারব না, প্রতিক্রিয়া পাঁচু রায়ের।
গত বছর ২১ এপ্রিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন, পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে প্রয়োজনে FIR দায়ের করে তদন্ত করতে পারবে CBI। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য সরকার। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্য়ায়ের রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানানো হয়। সুপ্রিম কোর্ট অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়ে ওই মামলা হাইকোর্টে ফেরত পাঠায়। সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশে, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে এই মামলা বিচারপতি অমৃতা সিন্হার এজলাসে স্থানান্তর করা হয়। কিন্তু হাকিম বদলালেও হুকুম বদলায়নি। ১২ মে বিচারপতি অমৃতা সিন্হা জানিয়ে দেন, পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডের তদন্তে করবে সিবিআই।
মজদুর, ক্লার্ক, পিয়ন, অ্য়াসিস্ট্যান্ট থেকে শুরু করে ড্রাইভার- সর্বত্র টাকার বিনিময়ে নিয়োগের অভিযোগ ওঠে। ২০১৪ সালের পর থেকে বিভিন্ন পুরসভায় কীভাবে নিয়োগ হয়েছে, কতজনকে নিয়োগ করা হয়েছে, নিয়োগ নিয়ে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছিল কি না, কী পদ্ধতিতে বিভিন্ন ধাপে বাছাই হয়েছে, কোন কোন প্রার্থীকে বাছাই করে হয়েছিল, কীসের ভিত্তিতে বাছাই করা হয়েছিল, কী প্রক্রিয়ায় গোটা নিয়োগ হয়েছিল, বাছাইয়ের প্রক্রিয়ায় কারা জড়িত ছিলেন, তদন্তে নেমে সবই খোঁজার চেষ্টা করেন সিবিআই আধিকারিকরা। এরপরই রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন পুরসভায় তল্লাশি অভিযান শুরু করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এজেন্সি। প্রসঙ্গত, গত বছর ৭ জুন পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগের শিকড়ে পৌঁছতে দক্ষিণবঙ্গের ১৪টি পুরসভায় তল্লাশি চালায় সিবিআই। সূত্রের খবর, যে ১৪টি পুরসভায় অভিযান চালানো হয়, সেখান থেকে প্রায় ১৮-২০ হাজার পাতার নথি বাজেয়াপ্ত করেন তদন্তকারীরা।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।