Jhalda Murder: আত্মহত্যায় প্ররোচনা, সংগঠিত অপরাধ, ঝালদায় প্রত্যক্ষদর্শীর মৃত্যুতে এফআইআর
CBI in Jhalda Murder: মৃত নিরঞ্জন বৈষ্ণব পেশায় শিক্ষক ছিলেন। অনেক ছাত্রছাত্রীর কাছেই তাঁর হাতের লেখার নমুনা রয়েছে। তার সঙ্গে সুইসাইড নোটের হাতের লেখা মিলিয়ে দেখা হবে বলে সিবিআইস সূত্রে দাবি।
অরিত্রিক ভট্টাচার্য ও সন্দীপ সমাদ্দার, পুরুলিয়া: তপন কান্দু খুনের অন্যতম প্রত্যক্ষদর্শী ও তাঁর বন্ধু নিরঞ্জন বৈষ্ণবের রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় আজ FIR দায়ের করল সিবিআই। আত্মহত্যায় প্ররোচনা-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। আজ মৃতের বাড়িতেও যান তদন্তকারীরা।
নিরঞ্জন বৈষ্ণবের রহস্যমৃত্যুতে FIR দায়ের
তপন কান্দু খুনের ঘটনায় বৃহস্পতিবার ঝালদা থানার আইসি-কে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। অন্যদিকে, খুনের অন্যতম প্রত্যক্ষদর্শী নিরঞ্জন বৈষ্ণবের রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় এদিন FIR দায়ের করল সিবিআই। আত্মহত্যায় প্ররোচনা, একই উদ্দেশ্যে অপরাধ সংগঠনের ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
এ দিনই মৃতের বাড়িতে যান সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা। যে ঘর থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়, এদিন সেই ঘর দেখেন সিবিআইয়ের অফিসাররা। ফিতে দিয়ে মাপজোক করেন। নিরঞ্জন বৈষ্ণব কি আত্মহত্যা করেছেন? যে সুইসাইড নোটটি উদ্ধার হয়েছে, সেটি কি তাঁরই হাতে লেখা? সূত্রের খবর, আগে এইসব প্রশ্নের উত্তর পেতে চাইছে সিবিআই।
আরও পড়ুন: Birbhum News: বিজেপি নেতার বাড়িতে তাণ্ডব, খুনের হুমকি; নানুরে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বড় অভিযোগ
মৃত নিরঞ্জন বৈষ্ণব পেশায় শিক্ষক ছিলেন। অনেক ছাত্রছাত্রীর কাছেই তাঁর হাতের লেখার নমুনা রয়েছে। তার সঙ্গে সুইসাইড নোটের হাতের লেখা মিলিয়ে দেখা হবে বলে সিবিআইস সূত্রে দাবি। মৃত নিরঞ্জন বৈষ্ণবের বৌদি ববিতা বৈষ্ণব জানিয়েছেন, এ দিন সিবিআই-এর আধিকারিকরা তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন এবং ঘুরে দেখেন গোটা বাড়ি। পাশাপাশি নিহতের মোবাইল ফোনটি কোথায় গেল, সেটি নিয়েও খোঁজ খবর শুরু করেছে সিবিআই।
নিহত কংগ্রেস নেতার দাদা আগেই গ্রেফতার
অন্য দিকে, দু’দিন টানা জিজ্ঞাসাবাদের পর, বুধবারই সত্যবান প্রামাণিক নামে এক হোটেল ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। যিনি নিহত কাউন্সিলরের দাদা, ধৃত নরেন কান্দুর ব্যবসায়িক অংশীদার। এই ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। কংগ্রেসের দাবি, ধৃত সত্যবান প্রামাণিক ঝালদা এক নম্বর ব্লকের তৃণমূলের সম্পাদক।
যদিও, এই দাবি উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল। ঝালদা শহরে তৃণমূলের শহর সভাপতি দেবাশিস সেন বলেন, "সত্যবানের স্ত্রী ২০১৩ সালে কংগ্রেসের হয়ে জিতেছিল। তারপর তৃণমূলে যোগদান করে। কিন্তু দলে ওরা অ্যাক্টিভ নয়। তপন কান্দু খুনে দলের কোনও সম্পর্ক নেই।" সব মিলিয়ে ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনে ধৃতের রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে তরজায় জড়িয়েছে শাসক ও বিরোধী দল।