West Bengal Mock Drill: দেশজুড়ে মক ড্রিলের নির্দেশ কেন্দ্রের, এরাজ্যের কোথায় কোথায় হবে?
Mock Drill Preparation: এয়ার রেড সাইরেন ব্যবস্থাকে অপারেশনাল করা, আচমকা হামলা হলে কীভাবে আত্মরক্ষা? যে কোনও মুহূর্তে ব্ল্যাক আউটের জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

কলকাতা: পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধের আবহে নাগরিক সুরক্ষায় আগামীকাল দেশজুড়ে মক ড্রিলের (Mock Drill) নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। যুদ্ধের পরিস্থিতি হলে কী পদক্ষেপ? রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল মিলিয়ে দেশের ২৪৪টি জেলায় সাধারণ নাগরিকদের নিয়ে মক ড্রিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এরাজ্যের কোথায় কোথায় হবে মক ড্রিল?
কেন্দ্রের নির্দেশ অনুযায়ী, পাহাড় থেকে সমতল এরাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ৭ মে, বুধবার মক ড্রিল হবে। সূত্রের খবর যার মধ্যে রয়েছে,
- কোচবিহার
- দার্জিলিং
- জলপাইগুড়ি
- মালদা
- শিলিগুড়ি
- গ্রেটার কলকাতা
- হলদিয়া
- হাসিমারা
- খড়গপুর
- বার্নপুর-আসানসোল
- ফারাক্কা-খেজুরিয়াঘাট
- চিত্তরঞ্জন
- বালুরঘাট
- আলিপুরদুয়ার
- রায়গঞ্জ
- ইসলামপুর
- দিনহাটা
- মেখলিগঞ্জ
- বর্ধমান
- বীরভূম
- পশ্চিম মেদিনীপুর
- পূর্ব মেদিনীপুর
- হাওড়া
- হুগলি
- মুর্শিদাবাদ
এয়ার রেড সাইরেন ব্যবস্থাকে অপারেশনাল করা, আচমকা হামলা হলে কীভাবে আত্মরক্ষা? যে কোনও মুহূর্তে ব্ল্যাক আউটের জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিশেষ বিশেষ কারখানা, সংস্থাকে বাঁচাতে ক্যামোফ্লাজের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। হামলা হলে মুহূর্তের মধ্যে এলাকার খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ৭ মে সাধারণ মানুষকে নিয়ে দেশজুড়ে মক ড্রিলের জন্য সিভিল ডিফেন্সকে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র।
মঙ্গলবার সকালে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মক ড্রিল নিয়ে বৈঠকে বসেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব গোবিন্দ মোহন। সেই বৈঠকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে যোগ দেন সব রাজ্যের মুখ্যসচিব ও সিভিল ডিফেন্সের শীর্ষকর্তারা। ওই বৈঠকে মুর্শিদাবাদ থেকে যোগ দেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। নবান্ন থেকে যোগ দেন, সিভিল ডিফেন্সের ডিজি জগমোহন, সিভিল ডিফেন্সের প্রধান সচিব রাজেশ সিন্হা এবং স্বরাষ্ট্রসচিব নন্দিনী চক্রবর্তী। নবান্ন সূত্রে খবর, কেন্দ্রের নির্দেশ- বাংলা যেহেতু বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী রাজ্য, পাশাপাশি রয়েছে নেপাল ও ভূটান সীমান্ত। তাই এ রাজ্যের সীমান্ত সুরক্ষার জন্য বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। রাজ্যকে নিজের মতো করে সংবেদনশীল এলাকা চিহ্নিত করার জন্য বলা হয়েছে। নবান্ন সূত্রে খবর, কলকাতা শহরে মোট ৯৫টি সাইরেন রয়েছে। বিভিন্ন জেলায় সাইরেন রয়েছে ২৫-৩০ টি করে। জেলা সদরে রয়েছে একটি করে। রাজ্যের হাতে রয়েছে ৬২ টি স্যাটেলাইট ফোন। নবান্ন সূত্রে খবর, বুধবার বিকেল থেকে সাইরেনগুলি ব্যবহার করা হবে। মহড়া চলবে ৭ দিন। সীমান্তবর্তী জেলাগুলিকে বিশেষভাবে সতর্ক করা হয়েছে। এই মক ড্রিলে সাধারণ মানুষকে যুক্ত করা হবে না। তবে নিরাপত্তার সঙ্গে জড়িত সবাইকেই অংশ নিতে হবে। যাতে আপৎকালীন পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা দেওয়া যায়।
রাজ্য প্রশাসন সূত্রে খবর, কোন কোন জায়গায় মক ড্রিল হবে, তা চিহ্নিত করে জেলাশাসকরা সিভিল ডিফেন্সকে জানিয়ে দিয়েছেন। প্রাথমিকভাবে বুধবারের মক ড্রিলকে ৩টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে, প্রথম হল হাইলি সেনসিটিভ এরিয়া, অর্থাৎ সেতু, বিমানবন্দর, এয়ারস্টিপ, সেনা ঘাঁটি প্রভৃতি। দ্বিতীয় ভাগে রাখা হয়েছে তেল, গ্যাসের মতো পাইপ লাইন রয়েছে যে সব এলাকায়। আর তৃতীয় ভাগে রয়েছে লেস সেনসিটিভ বা অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ এলাকা।






















