Cooch Behar News: কোচবিহারে তুঙ্গে হোডিং বিতর্ক
কোচবিহার শহরের হোডিং বিতর্কে নতুন মোড়। বিস্তারিত জানুন
শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: কোচবিহার শহরের হোডিং বিতর্কে নতুন মোড়। ঠিকাদাররা পৌরসভাকে টাকা দিচ্ছে না, এই অভিযোগ তুলে কোচবিহার শহরের সকল খুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কোচবিহার পৌরসভা। কোচবিহার শহরকে হোডিং মুক্ত করার কথা ঘোষণা করেন রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। তবে কোচবিহার পৌরসভার এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন হোডিংয়ের সঙ্গে যুক্ত ঠিকাদাররা। যদিও এখনও মুখবন্ধ রাখলেন কাউন্সিলর শুভজিৎ কুন্ডু।
আরও পড়ুন
তীব্র কাগজ সঙ্কট এবার পাকিস্তানেও ! চলতি শিক্ষাবর্ষে নাও মিলতে পারে বই ?
কোচবিহার শহরে হোডিং বিতর্ক তুঙ্গে। সম্প্রতি ঠিকাদাররা পৌরসভাকে টাকা দিচ্ছে না, এই অভিযোগ তুলে কোচবিহার শহরের সকল খুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কোচবিহার পৌরসভা। কোচবিহার শহরকে হোডিং মুক্ত করার কথা ঘোষণা করেন চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। যদিও কোচবিহার পৌরসভার এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন হোডিংয়ের সঙ্গে যুক্ত ঠিকাদাররা। তাঁদের অভিযোগ, এর ফলে তাঁদের ব্যাপক ব্যবসায়িক ক্ষতি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই জেলাশাসক থেকে শুরু করে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা। এরইমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ করল ঠিকাদাররা। তাঁদের দাবি, তাঁদের টাঙানো হোডিং খুলে ফেলে, সেসব জায়গায় কোচবিহার পৌরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর শুভজিৎ কুন্ডর ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান গুলির বিজ্ঞাপন বহাল তবিয়তেই লাগানো রয়েছে। যদিও এই নিয়ে নিরপেক্ষ উত্তর দিয়ে এড়িয়ে গিয়েছেন পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। তিনি জানিয়েছেন, কোনটা খোলা হয়েছে আর কোনটা খোলা হয়নি, সে বিষয়ে চেয়ারম্যান হিসেবে তাঁর পক্ষে দেখা সম্ভব নয়। যদিও এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি কাউন্সিলর শুভজিৎ কুন্ডু। সব মিলিয়ে হোডিং বিতর্ক অন্যমাত্রা পেল কোচবিহারে।
প্রেক্ষাপট আলাদা হলেও হোডিং বিতর্ক শুধু কোচবিহারে নয়, এর আগে রাজ্যের একাধিক জায়গায় দেখা গিয়েছে। খড়গপুরে বিজেপির দলীয় কোন্দলও উঠে এসেছিল এই হোডিং ইস্যু নিয়েই। হোডিংয়ে দিলীপ ঘোষ এবং হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের বিতর্ক প্রকাশ্যে আসে। তবে সেক্ষেত্রে হোডিং খুলে নেওয়া নয়, বরং দিলীপের হোডিংয়ে হিরণের স্থান না পাওয়া নিয়ে যথেষ্ট জলঘোলা হয় খড়গপুরে। আবার পাশাপাশি দেখতে গেলে হোডিং খুলে নেওয়ার একাধিক ইস্যু ওঠে একুশের বিধানসভা ভোটের আগে, জেলা ভিত্তিক ভোটের সময় বামেরা একাধিকবার এই নিয়ে অভিযোগ তোলে। এদিকে ত্রিপুরায় আবার তখন উলটপূরাণ এই হোডিং নিয়েই। ত্রিপুরায় পুরভোটের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়ের হোডিং ছিড়ে ফেলার অভিযোগ ওঠে। তাই হোডিং খুলে ফেলা হোক, কিংবা ছিড়ে ফেলা বা তার জায়গায় অন্য হোডিংকে বসিয়ে দেওয়া নতুন নয়। তবে এবার দলীয় কোন্দল নয়, নাই বা শাসক ও বিরোধীদের হোডিং রেষারেষি। এবার বরং সাধারণ ঠিকাদারদের সঙ্গে হোডিং বিতর্কে জড়িয়েছে শাসকদল।