(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Cooch Behar News: মিড ডে মিলে টিকটিকির পর এবার চালে পোকা !
Cooch Behar midday meal Controversy: টিকটিকি , খিচুড়িতে শুয়োপোকার মেলার পর এবার শীতলকুচির মিড ডে মিলে মিলল পোকা।
শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: দিদির সুরক্ষা কবজ কর্মসূচিতে শীতলকুচির (Sitalkuchi) বারোমাসিয়া হাই স্কুলে গিয়ে মিড ডে (Midday Meal) মিলের পোকা ধরা চাল দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন সিতাইয়ের তৃণমূল বিধায়ক জগদীশ বর্মা বাসুরিয়া (TMC)।
এদিন তিনি শীতলকুচিতে যান এবং স্থানীয় অভিভাবকদের অভিযোগ পেয়ে তিনি বারোমাসিয়া হাই স্কুলের মিড ডে মিলের ঘরে যান। এবং সেখানে পোকা ধরা চাল দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। পরে বিডিওকে ফোন করেন বিধায়ক। দ্রুত এই চাল পরিবর্তন করা হবে, বলে জানিয়েছেন জগদীশ বর্মা বাসুনিয়া। এই অব্যবস্থার দায় স্কুল কর্তৃপক্ষের উপরই চাপিয়েছেন বিধায়ক। যদিও মিড ডে মিলের চাল খারাপ হওয়ার দায় নিতে নারাজ প্রধান শিক্ষক। প্রসঙ্গত, তখন ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিক। পাঁশকুড়ায় (Panskura) মিড ডে (Midday Meal) মিলে অঙ্গনওয়াড়ি স্কুলের (School) খিচুড়িতে মিলেছিল শুঁয়োপোকা। পাঁশকুড়া পুরসভার নারান্দার আইসিডিএস স্কুলের খিচুড়িতে শুঁয়োপোকা পাওয়ায় স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ ওঠে।
সম্প্রতি মিড মিলের ইস্যুতে দিলীপ ঘোষ বলেন, 'যুগ যুগ থেকে মিড মিলের টাকা লুঠ হয়েছে। পড়ুয়ার সংখ্যা কেন্দ্রকে যা দেখানো হয়, তার থেকে কম পড়ুয়া মিড ডে মিল-র সুবিধা পায়।' সম্প্রতি, কেন্দ্রীয় দলের অনুসন্ধানে একাধিক বিস্ফোরক তথ্য সামনে এসেছে। রাজ্যে মিড মিলের খতিয়ান দেখার দিনেই চন্দ্রকোণায় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে মিড ডে মিলের খিঁচুড়িতে মিলেছিল আরশোলা। এমনই অভিযোগ ধামকুড়িয়ার এক বাসিন্দার। বাড়িতে গিয়ে টিফিন বক্সে নেওয়া মিড ডে মিলের খিচুড়িতে আরশোলা পড়ে থাকার অভিযোগ ওঠে। খবর দেওয়া হয় ধামকুড়িয়া অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে, বাকি শিশুদের খাবার খেতে নিষেধ করা হয়। অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে যান চন্দ্রকোণা ২ নং ব্লকের জয়েন্ট বিডিও।
আরও পড়ুন, মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের প্রস্তুতি, অনুব্রত কন্যাকে ফোন ইডির
রাজ্যে মিড ডে মিল দুর্নীতি নিয়ে সম্প্রতি চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলে টুইট করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। তিনি বলেন, 'মনে হচ্ছে সত্য অনুসন্ধানে, তাঁদের ওপর ভরসা করা হচ্ছে, যারা সত্যকে লুকোতে আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে। রাঁধুনিদেরও এতে সামিল করা হয়েছে। তাদের বেতন ও ইনসেন্টিভ সময়ের আগেই দেওয়া হচ্ছে। এটা পশ্চিমবঙ্গ। যদি পড়ুয়াদেরও হুমকি দেওয়া হয়, অবাক হব না। মিড ডে মিলের অনুসন্ধানে কেন্দ্রীয় দলকে কয়েকটি বাছাই করা স্কুলে নিয়ে যাচ্ছেন রাজ্য় সরকারি আধিকারিকরা, অভিযোগ বিরোধী দলনেতার। হাতেনাতে ধরতে আগাম খবর না দিয়ে যে কোনও স্কুলে যাওয়া উচিত।'