Coochbehar : প্রকাশ্য সভা-সমাবেশ নয়, পঞ্চায়েত ভোটের আগে কোচবিহারে এই কৌশল নিচ্ছে বিজেপি
Panchayat Vote in Coochbehar : বছর ঘুরলেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন হওয়ার কথা। তার আগে কোচবিহারে পঞ্চায়েত ভোট প্রস্তুতি শুরু করে দিল বিজেপি
শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার : ‘ম্যান টু ম্যান কনট্যাক্ট’। পঞ্চায়েত ভোটের আগে দলের সংগঠন বাড়াতে কোচবিহারে (Coochbehar) এই কৌশল নিয়েছে বিজেপি। ইতিমধ্যেই জেলার ৬ বিজেপি (BJP) বিধায়কের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মণ্ডল সভাপতিরা। যদিও বিজেপির এই উদ্যোগকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল।
বছর ঘুরলেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন হওয়ার কথা। তার আগে কোচবিহারে পঞ্চায়েত ভোট প্রস্তুতি শুরু করে দিল বিজেপি। তবে এবার আর প্রকাশ্য সভা-সমাবেশ নয়। বিজেপি সূত্রে খবর, সংগঠন বৃদ্ধিতে জোর দেওয়া হচ্ছে ব্যক্তিগত যোগাযোগের ওপর। আর এ নিয়েই কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে তৃণমূল।
২০১৯’র লোকসভা নির্বাচনে কোচবিহার আসনটি তৃণমূলের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়েছিল বিজেপি। ২১’র বিধানসভা ভোটেও কোচবিহারে ভাল ফল করে গেরুয়া শিবির। জেলার ৯টি আসনের মধ্যে ৭টিতেই জয়ী হয় তারা। দিনহাটায় উপনির্বাচনে তৃণমূল জয়ী হলেও, বর্তমানে জেলার ৯টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ৬টিই বিজেপির দখলে। বাকি তিনটিতে তৃণমূল।
লোকসভা ও বিধানসভা ভোটে ভাল ফল হলেও, গত পুরভোটে শোচনীয় পরাজয় হয় গেরুয়া শিবিরের। কোচবিহারের ৬টি পুরসভাতেই জয়ী হয় তৃণমূল। মোট ৮০টি ওয়ার্ডের মধ্যে একটিতেও জয়ী হয়নি বিজেপি। বর্তমানে জেলার ১২৮টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে মাত্র ১টিতে বিজেপির বোর্ড রয়েছে।
এই অবস্থায় পঞ্চায়েত নির্বাচনকে পাখির চোখ করে সংগঠন বিস্তারে মন দিয়েছে গেরুয়া শিবির। সূত্রের খবর, সম্প্রতি মণ্ডল সভাপতিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন জেলার ৬ বিজেপি বিধায়ক। কোচবিহারের নাটাবাড়ির বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামী বলেন, জেলা সভাপতির নেতৃত্বে আমরা কাজ শুরু করেছি। মণ্ডল সভাপতিদের সঙ্গে বৈঠক করে, মতামত নিয়ে মাঠে নেমে কাজ করছি। কোনও প্রচার হবে না। নীরবে কাজ করব। মমতা চান, বিরোধীশূন্য। খুন ধর্ষণ, মিথ্যে কেস দিয়ে বিরোধীদের মুখ বন্ধ করতে চান। আমাদের কর্মীরা ম্যান টু ম্যান কনট্যাক্ট করতে শুরু করেছে।
বিজেপির ‘ম্যান টু ম্যান কনট্যাক্ট’ স্ট্র্যাটেজি নিয়ে অবশ্য কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। কোচবিহার জেলা তৃণমূলের সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় বলেন, মিহির গোস্বামী তো এমনিতেই সুইচড অফ বিধায়ক। কীভাবে যোগাযোগ করবেন দেখা যাক। মানুষকে ভয় পাচ্ছে। তাই লুকিয়ে লুকিয়ে প্রচার।
এখন নতুন এই স্ট্র্যাটেজি পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপিকে কোনও ডিভিডেন্ড দেয় কিনা, তার উত্তর মিলবে ভোটের ফলপ্রকাশের পরেই।