Coochbehar News: রাতের অন্ধকারে হামলা দুষ্কৃতীদের, হাসপাতালে তৃণমূল বিধায়কের ছেলে, অভিযুক্ত বিজেপি
Coochbehar News: কোচবিহারের সিতাইয়ে (Sitai News) তৃণমূল বিধায়ক জগদীশ বর্মা বাসুনিয়ার ছেলে কুন্তলকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ।
শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: কোচবিহারে (Coochbehar News) আক্রান্ত তৃণমূল (TMC) বিধায়কের ছেলে। জগদীশ বর্মা বাসুনিয়ার ছেলে কুন্তলকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। বিধায়কের দাবি, গতকাল রাতে তাঁর ছেলে বাইকে বাড়ি ফিরছিলেন। রাস্তায় কয়েকজন দুষ্কৃতীকে তাঁর উপর চড়াও হয়। মারধরের জেরে আহত বিধায়ক পুত্রকে স্থানীয় গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সিতাইয়ের তৃণমূল বিধায়কের অভিযোগ, মারধরের নেপথ্যে রয়েছে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই হামলার ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ উড়িয়ে পাল্টা দাবি করেছে বিজেপি।
হাসপাতালে ভর্তি তৃণমূল নেতার ছেলে
কোচবিহারের সিতাইয়ে (Sitai News) তৃণমূল বিধায়ক জগদীশ বর্মা বাসুনিয়ার ছেলে কুন্তলকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ। আহত বিধায়ক পুত্রকে স্থানীয় গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তৃণমূল বিধায়কের অভিযোগ, মারধরের নেপথ্যে রয়েছে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতী। ‘তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই হামলার ঘটনা ঘটেছে’। অভিযোগ উড়িয়ে পাল্টা দাবি করেছে বিজেপি (BJP)।
পুরভোটের পর থেকে রাজ্যে নেতা-রাজনীতিকদের উপর হামলার ঘটনা ঘটেই চলেছে। পানিহাটি, ঝালদা, শাসক-বিরোধী দুই শিবিরের নেতাদের উপরই হামলা হয়েছে। এমনকি পয়েন্ট ব্ল্য়াঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে খুন করার ঘটনাও ঘটেছে। তবে এ সবকেছাপিয়ে গিয়েছে বীরভূমের রামপুরহাটের বগটুইয়ের ঘটনা। সেখানে সম্প্রতি রাতের অন্ধকারে তৃণমূলের উপ পঞ্চায়েত ভাদু শেখকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়া হয়। তাতে মৃত্যু হয় মৃত্যুর। আর তার এক ঘণ্টা কাটার আগে গ্রামের পর পর বেশ কয়েকটি বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা সামনে আসে। তাতে শিশু-সহ আট জনের মৃত্যু হয়।
রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা
বগটুইয়ের ঘটনায় এই মুহূর্তে উত্তাল গোটা রাজ্য। যদিও তৃণমূলের সঙ্গেই মৃতদের সংযোগ পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু এর পিছনে বড় ধরনের টকরান্তের অভিযোগ করেছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ, বিধানসভা নির্বাচন থেকে বাংলায় উল্লেখযোগ্য ভাবে এই ধরনের ঘটনা বেড়েছে। এর পিছনে বিজেপি-র হাত রয়েছে বলে দাবি তাঁদের। তাঁদের অভিযোগ, নির্বাচনী লড়াইয়ে পেরে উঠতে না পেরে, ইচ্ছাকৃত ভাবে রাজ্যে অশান্তি সৃষ্টি করছে বিজেপি। রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার ভিত নড়বলে করে দেওয়াই তাদে লক্ষ্য।
যদিও বিজেপি-র দাবি, নিজেদের ব্যক্তিগত স্বার্থে তৃণমূলের লোকেরা নিজেদের মধ্যেই খুনোখুনি করছেন। বগটুইকাণ্ডে বালি-পাথর খাদান থেকে আয়ের বখরা নিয়েই ঝামেলার সূত্রপাত বলে জানিয়েছে তাদের। এই ঘটনায় তৃণমূলের উচ্চস্তরের নেতাদেরও ভূমিকা রয়েছে বলে অভিযোগ। সেই মর্মে বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার কাছে রিপোর্টও জমা দিয়েছে তারা। এই ঘটনায় সরব বাম-কংগ্রেসও। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি তুলেছেন।