Coochbehar: পঞ্চায়েত ভোটের আগে জনসংযোগে জোর তৃণমূলের, বাড়িতে-দোকানে তৃণমূল নেতৃত্ব
TMC: পঞ্চায়েত নির্বাচনে জমি কাড়তে কড়া টক্কর চলছে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে।
শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: সব ঠিক থাকলে আগামী বছরেই রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট হবে। সেই কারণে এখন থেকেই ঘর গোছানো শুরু করেছে রাজনৈতিক দলগুলি। পিছিয়ে নেই তৃণমূলও। পঞ্চায়েত ভোটকে মাথায় রেখে কোচবিহারে জনসংযোগে জোর দিয়েছে তৃণমূল। বুধবার মহিষবাথানে ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গেলেন তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের জেলা সভানেত্রী। দেওয়ানহাটে চায়ের আড্ডায় কর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করলেন জেলা সভাপতি।
পঞ্চায়েত নির্বাচনে জমি কাড়তে কড়া টক্কর চলছে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে। ইতিমধ্যেই বিজেপি পঞ্চায়েতের নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। তার মাঝেই কোচবিহারে জনসংযোগে নেমে পড়ল শাসকদলও। বুধবার কোচবিহার ১ নম্বর ব্লকের মহিষবাথানে বাড়ি বাড়ি গিয়ে বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বললেন মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভানেত্রী শুচিস্মিতা দত্তশর্মা। জনসংযোগ শুরু করেছেন জেলা তৃণমূল সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক। প্রার্তভ্রমণে বেরিয়ে দেওয়ানহাটের কর্মীদের সঙ্গে জনসংযোগ সারেন তিনি।
কোচবিহারের তৃণমূল জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক বলেন, 'আমরা জনসংযোগ করছি। কর্মীদের সঙ্গে কথা বলছি। সভা হলে তো সভার পর চলে যেতে হয়। কর্মীদের সঙ্গে কথা হয় না। এখন কর্মীদের সঙ্গে কথা বলছি।' প্রায় একই কথা শোনা গিয়েছে তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের জেলা সভানেত্রী শুচিস্মিতা দত্তশর্মার মুখেও। তিনি বলেন, 'কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। চেষ্টা করছি জনসংযোগের। মহিষবাথানে এসেছি। মানুষের পাশে রয়েছি।'
বিজেপির কটাক্ষ:
তৃণমূলের এই উদ্যোগকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। কোচবিহারের দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে বলেন, 'তৃণমূল যা দুর্নীতি করেছে, মানুষ তো বুঝে গেছে। মানুষ ওদের সঙ্গে নেই।'
কড়া টক্কর:
আগামী বছর ফেব্রুয়ারি অথবা এপ্রিলে পঞ্চায়েত ভোট হতে পারে প্রশাসন সূত্রের খবর। ২০১৮-র পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলের দাপটে কোচবিহারে দাঁত ফোটাতে পারেনি বিজেপি। কিন্তু ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে দেখা যায় উল্টো ছবি। কোচবিহার কেন্দ্রটি তৃণমূলের হাত থেকে ছিনিয়ে নেয় তারা। ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনেও পাল্লা ভারী ছিল পদ্মশিবির।
কবে ভোট:
আগামী বছর ফেব্রুয়ারি বা এপ্রিলে রাজ্যে পঞ্চায়েত (Panchayet Poll) ভোটের সম্ভাবনা। সূত্রের খবর, পুলিশ দিয়েই পঞ্চায়েত ভোট করানোর ভাবনা কমিশনের। ২০১৮-র তুলনায় গ্রাম পঞ্চায়েতের আসন বেড়ে ৬২ হাজার ৩৬২। ২০১৮-র তুলনায় পঞ্চায়েত সমিতির আসন বেড়ে ৯ হাজার ২১৭। ২০১৮-র তুলনায় জেলা পরিষদের আসন বেড়ে ৯২৮টি।
আরও পড়ুন: 'বাবুল সুদর্শনা অনুগামী-দ্বন্দ্ব' ! একটি প্রতিমার পুজো হল মণ্ডপে, অপরটি ম্যাটাডোরে