Coromandel Express Derailed : প্রযুক্তির উন্নতি হলেও প্রশিক্ষিত কর্মীর অভাব! যাত্রীসুরক্ষা ভয়াবহ হাল দেখে দাবি রেল বিশেষজ্ঞদের
Train Accident : দুর্ঘটনাস্থলে গিয়ে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব দাবি করেছেন,করমণ্ডল এক্সপ্রেসে আধুনিক এবং নিরাপদ LHB কোচ ব্যবহার করা হয়েছিল। তা হলে এমন প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা দেখতে হল কেন?সেই প্রশ্ন উঠছে।
কলকাতা : ১৯৮১ সালের পর ভয়াবহতম রেল দুর্ঘটনার সাক্ষী থাকল দেশ। ১৯৯৯ সালে গাইসালের রেল দুর্ঘটনায় যত মানুষের মৃত্য়ু হয়েছিল, তাকে ছাপিয়ে গেল বালেশ্বরে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের (Coromandel Express Derailed) দুর্ঘটনা। কিন্তু বিজ্ঞান, প্রযুক্তি তরতরিয়ে এগোনো সত্ত্বেও ট্রেনে যাত্রীসুরক্ষা এখনও সেই তিমিরে কেন ? বালেশ্বরকাণ্ডে জোরাল হচ্ছে সেই প্রশ্ন। এর মাঝেই রেল বিশেষজ্ঞদের দাবি, নব্য প্রযুক্তির আমদানি হলেও দক্ষ কর্মীর অভাব, রেলের তরফে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের অভাব হয়ে দাঁড়াচ্ছে প্রযুক্তির বাস্তব রূপায়নে অন্তরায়।
রেল বিশেষজ্ঞ প্রিয়নাথ রায়ের মতে, 'রেল প্রযুক্তিগতভাবে উন্নতি করছে। কিন্তু ব্য়বহারের মতো কর্মী তৈরি করছে না। বিদেশ থেকে আনছে। ব্য়বহার করবে কে। রেলে আলাদা করে ট্রেনিং দিয়ে কর্মী তৈরির চেষ্টা হচ্ছে না। লাইন চেকিংয়ে একজন কর্মীর ওপর ২০ কিমি দেখার দায়িত্ব। অ্য়ান্টি কলিশন নেই অধিকাংশ ক্ষেত্রেই। মাত্র ১৬ হাজার কিমিতে আছে।'
এদিকে,Train Accident ২০০০ সাল থেকেই এই LHB কামরা ব্যবহার করছে ভারতীয় রেল (Indiuan Railways) ৷ পুরো নাম, লিঙ্ক হফম্যান বুশ কোচ। এই কামরার প্রধান বৈশিষ্ট্য, ট্রেন দুর্ঘটনায় পড়লে এটি উল্টে যায় না । এমনিতে দু’টি ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে সাধারণ কামরা সজোরে ছিটকে পড়ে এবং উল্টে যায়।
কিন্তু জার্মান প্রযুক্তিতে তৈরি LHB কামরার ক্ষেত্রে এই আশঙ্কা নেই বললেই চলে ৷ এর সঙ্গে থাকে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি নিউম্যাটিক ব্রেক। যার মাধ্যমে ট্রেন তীব্র গতিতে দুর্ঘটনাগ্রস্ত হলেও, আচমকা গতিবেগ কমে যাওয়াকে অনেকটাই সামাল দেওয়া যায়। করমণ্ডলের ক্ষেত্রে যে দাবি ছিক প্রমাণিত না হওয়া প্রসঙ্গে রেল বিশেষজ্ঞ প্রিয়নাথ রায়ের সংযোজন, 'রেলের টাকায় এই কোচ ভারতে ২০০০ সালে আনা হয়। পৃথিবীর মধ্য়ে অত্য়াধুনিক কোচ। বৈশিষ্ট্য় হচ্ছে উল্টে যাবে না। জাম্প করবে না। প্রমাণ করল, এটাও একশো শতাংশ ঠিক ছিল না।'
আরও পড়ুন- 'নম্বরে' পরিচয় মৃতদেহের, রেললাইনে লাশের লাইন , ধ্বংসস্তূপে জারি প্রাণের খোঁজ
এদিকে, ছিল না 'কবচ', অ্য়ান্টি কলিশন ডিভাইস। যা দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে সামনে তুলে ধরে বিরোধীরা নিশানা করছেন কেন্দ্রীয় সরকার ও রেলমন্ত্রীকে। সবমিলিয়ে তরজা শুরু হয়ে গিয়েছে জোরকদমে। কিন্তু প্রযুক্তির ও বিজ্ঞানের প্রয়োজনীয় বাস্তবায়নের অভাবে এখনও রেলযাত্রায় মৃত্যুপুরীর পথ ধরতে হচ্ছে দেশের সাধারণ মানুষকে।
আরও পড়ুন: আমের পরে ঠান্ডাপানীয় খেলে সত্যিই বিপদ? না কি শুধুই রটনা?