Coromandel Express Accident : মৃতদেহ পেয়েও হয়েছিল হাতছাড়া, ডিএনএ টেস্টের পর মাসখানেক বাদে ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃতের দেহ পৌঁছল
Purulia News : কাজ সেরে সেদিনের যশবন্তপুর এক্সপ্রেসে বাড়ি ফিরছিলেন সমীর বাউরি। কিন্তু সেই ফেরাই হয়ে দাঁড়াল তাঁর শেষ ফেরা। তাও দাবি, ডিএনএ পরীক্ষা থেকে একাধিক পর্ব ও দীর্ঘ মাসখানেকের অপেক্ষার পর।
হংসরাজ সিংহ, পুরুলিয়া : মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনার (Train Accident) পর কেটে গিয়েছে প্রায় মাসখানেক। ওড়িশার বাহানাগা স্টেশনের কাছে করমণ্ডল এক্সপ্রেস (Coromandel Express Derailed) ও যশবন্তপুর এক্সপ্রেস পড়েছিল ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায়। মৃত্যু হয়েছিল প্রায় ৩০০ জনের। আহত হয়েছিল হাজারেরও বেশি মানুষ। ভয়ঙ্কর সেই দিনের পর থেকে প্রতীক্ষার প্রহর চলছিল পুরুলিয়ার আদ্রা থানার অর্ন্তগত মিছিরডি গ্রামে। শেষমেশ বাউরি পরিবারে ফিরল ছেলের নিহর দেহ। মাঝের পর্বটা তাঁদের কাছে কেটেছে ট্রেন দুর্ঘটনার মতোই ভয়াবহ।
দুর্ঘটনার পরই ঘটনাস্থলে গিয়ে সমীর বাউরির দেহ চিহ্নিত করেছিল তাঁর পরিবার। কিন্তু দেহ নিয়ে বাড়ি ফেরার আগে বাঁধে সমস্যা। অন্য একটি পরিবারও দেহটি তাঁদের বাড়ির লোকের বলেই দাবি করে। যে টানাপোড়েনের মাঝে সেই সময় ঘরের ছেলের নিথর দেহ না নিয়েই মিছিরডি গ্রামে বাউরি পরিবারের সদস্যদের ফিরতে হয়েছিল। তারপর থেকেই চলছিল অপেক্ষাপর্ব। শুধু অপেক্ষাই নয়, প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরে ঘুরে ঘুরে একটাই দাবি জানিয়ে গিয়েছিল পরিবারটি, ঘরের ছেলের মৃতদেহটা অন্তত ফেরানোর ব্যবস্থা করুন। শেষমেশ ওড়িশা সরকার ও রেলের তরফে দাবিহীন বা একের বেশি দাবিযুক্ত মৃতদেহগুলিকে পরিবারের হাতে হস্তান্তরের জন্য ডিএনএ টেস্টের (DNA Test) কথা জানায়। যে বিবৃতির পর ফের ওড়িশায় গিয়ে চলতি মাসের শুরুতে ফের ডিএনএ পরীক্ষা দিয়ে আসেন বাউরি পরিবারের লোকজন।
যে পরীক্ষা পদ্ধতি শেষের পর শেষমেশ জানানো হয়, সমীর বাউরির মৃতদেহ ফেরত নিয়ে যেতে পারে তাঁর পরিবার। তারপরই কাজের টানে বাইরের রাজ্যে যাওয়া পরিযায়ী শ্রমিক সমীর বাউরির মৃতদেহ শনিবার শেষমেশ ফেরে আদ্রার মিছরডি গ্রামে। কাজ সেরে সেদিনের যশবন্তপুর এক্সপ্রেসে বাড়ি ফিরছিলেন সমীর বাউরি। কিন্তু সেই ফেরাই হয়ে দাঁড়াল তাঁর শেষ ফেরা। তাও দাবি, ডিএনএ পরীক্ষা থেকে একাধিক পর্ব ও দীর্ঘ মাসখানেকের অপেক্ষার পর। শেষপর্যন্ত সমীর বাউরির দেহ তাঁর গ্রামে এসে পৌঁছনোর পর কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিবারের লোকজন। শোকের যে আবহ তৈরি হয়েছিল দুর্ঘটনার পর থেকেই তা যেন নিকষ কালো অন্ধকার হয়ে শনিবার ঝরে পড়ে মিছরডি গ্রামে। ঘরের ছেলেকে শেষ বিদায় জানাতে হাজির হয়েছিল গোটা গ্রাম।
আরও পড়ুন- জেলা পরিষদে কোথাও কি ভাল ফল করতে পারবে বিরোধীরা? কী বলছে C-Voter এর সমীক্ষা ?
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন
https://t.me/abpanandaofficial