Jalpaiguri : নতুন করে চোখ রাঙাচ্ছে করোনা, জলপাইগুড়িতে রাস্তায় নেমে করোনা-বিধি নিয়ে প্রচারে এসপি
পুলিশের পক্ষ থেকে মানুষকে সচেতন করতে শহরজুড়ে মাইকিং করা হয়...
রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি : রাজ্যে ফের নতুন করে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। সংক্রমণ রোধে গতকালই কলকাতায় একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি হয়েছে। এবার তৎপরতা শুরু হল জলপাইগুড়িতেও। রাস্তায় নেমে নতুন করোনা বিধি নিয়ে প্রচারে নামলেন পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত। তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দেন, মাস্ক না পরলে এবার এফআইআর করা হবে।
রাজ্যজুড়ে কড়াকড়ির নির্দেশিকা জারি হতেই নড়েচড়ে বসেছে জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশও। আজ রাত থেকেই জারি হচ্ছে কার্ফু। তার আগে রবিবার সকাল থেকে স্বাস্থ্যবিধি পালনে মানুষজনকে সচেতন করতে রাস্তায় নামলেন পুলিশ সুপার। পুলিশের পক্ষ থেকে মানুষকে সচেতন করতে শহরজুড়ে মাইকিং করা হয়। মাস্ক ছাড়া কেউ যাতে রাস্তায় না বের হন তা নিয়ে সতর্ক করা হয়। পুলিশ সুপার জানান, রাত এগারোটার পর থেকে বিধিনিষেধ কার্যকর করা হবে। কেউ যদি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেন তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে পুলিশ।
পুজোর দিনগুলোয় ভিড় উপচে পড়েছিল রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। বেপরোয়া জনস্রোতের ধাক্কায় ধুয়ে মুছে গিয়েছিল করোনা-বিধি। আর পুজো মিটতেই বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। পুজোর পর থেকে ধাপে ধাপে বাড়তে বাড়তে ফের হাজারের দোরগোড়ায় পৌঁছে গেছে রাজ্যের দৈনিক করোনা সংক্রমণ। গত জুলাই মাসের পর ফের একবার।
রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের শনিবারের প্রকাশিত বুলেটিন জানাচ্ছে, একদিনে রাজ্যে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৯৭৪ জন। এই সময়পর্বে মারণ ভাইরাস কেড়ে নিয়েছে ১২ জনের প্রাণ।
গত দুদিন রাজ্যের দৈনিক সংক্রমণ ঘোরাফেরা করেছে আটশোর ঘরে। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে জেলাশাসকদের সঙ্গে ফের জরুরিভিত্তিতে বৈঠক করে কঠোরহাতে কোভিড বিধিনিষেধ পালনের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব। ফের রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় কনটেনমেন্ট জোন ফেরানো ও রাত্রিকালীন বিধিনিষেধ পালনে জোর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ স্তর থেকে।
সেইমতো ফের শুরু হয়েছে কড়াকড়ি। কলকাতায় সংক্রমণ রোধে একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি হয়েছে গতকাল। তাতে বলা হয়েছে, রাত সাড়ে ১০টার পরে খোলা রাখা যাবে না রেস্তোরাঁ-পানশালা। রাত ১১টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত রাত্রিকালীন বিধিনিষেধ জারি থাকবে। ৫০ শতাংশ আসন ফাঁকা রেখেই রেস্তোরাঁ খোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই মর্মে কলকাতার সমস্ত থানাকে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয় লালবাজারের তরফে। শহরজুড়ে শুরু হয় নাকা চেকিং।