![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/Premium-ad-Icon.png)
TET Agitation: পুলিশের কামড় খাওয়া অরুণিমা পাল-সহ সব আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীরা জামিন পেতেই উচ্ছ্বাস সতীর্থদের
Court Grants Bail:বুধবার পুলিশের কামড় খাওয়া অরুণিমা পাল-সহ সব আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীদের জামিন দিল আদালত! সঙ্গীদের জামিনের খবর পেয়েই, উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন আদালতের বাইরে অপেক্ষায় থাকা বাকি চাকরিপ্রার্থীরা।
![TET Agitation: পুলিশের কামড় খাওয়া অরুণিমা পাল-সহ সব আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীরা জামিন পেতেই উচ্ছ্বাস সতীর্থদের Court Grants Bail To Agitator Bitten By Kolkata Police Constable Along With 30 Others Involved In TET Agitation Leading To Joy Of The Job Seekers TET Agitation: পুলিশের কামড় খাওয়া অরুণিমা পাল-সহ সব আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীরা জামিন পেতেই উচ্ছ্বাস সতীর্থদের](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2022/11/11/066bb2b2a127241782b8f435965668db1668131725724482_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
আবির দত্ত ও অর্ণব মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: বুধবার পুলিশের কামড় (bite) খাওয়া অরুণিমা পাল-সহ (arunima paul) সব আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীদের জামিন (bail) দিল আদালত (court)! সঙ্গীদের জামিনের খবর পেয়েই, উচ্ছ্বাসে (joy) ফেটে পড়েন আদালতের (court) বাইরে অপেক্ষায় থাকা বাকি চাকরিপ্রার্থীরা (jobseekers)।
কী ঘটল...
পুলিশ তাঁদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা ঠুকেছিল। সরকারপক্ষের আইনজীবী পুলিশ হেফাজত চেয়েছিলেন। কিন্তু, আদালতে কোনও কিছুই ধোপে টিকল না! বুধবার পুলিশের কামড় খাওয়া অরুণিমা পাল-সহ যে আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীদের গ্রেফতার করা হয়েছিল, তাঁদের সকলকে বৃহস্পতিবার জামিন দিল আদালত! আর সঙ্গীদের জামিনের খবর পেয়েই, উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়লেন আদালতের বাইরে অপেক্ষায় থাকা বাকি চাকরিপ্রার্থীরা। উঠল স্লোগানও! 'লড়াই চলছে, চলবে।' এক আন্দোলনকারী বললেন, 'সরকার তো মুখ থুবড়েছে। ওদের কোনও লজ্জা নেই। আমরা অপরাধী নই। আমাদের পাঁচটা জামিন অযোগ্য ধারা দিয়ে ধরতে চেয়েছিল।'
প্রেক্ষাপট...
আর এক চাকরিপ্রার্থী আগেই বলেছিলেন, 'এই আন্দোলন আরও মজবুত হল। জজ সাহেব তো সব কিছু দেখছেন । এরা ১৪ সাল থেকে বঞ্চিত হয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। আর এঁদের আসামী বানানো হচ্ছে। এঁরা কী অন্যায় করেছিল? এঁদের যে ধারা দেওয়া হয়েছিল, জামিন অযোগ্য ধারা, কেন কী অন্যায় করেছিল? জামিন অযোগ্য ধারা দিতে হয়েছিল?' বুধবার থেকে এই চাকরিপ্রার্থীদের গাড়ির চাকার নীচে শুতে হয়েছে। পুলিশের কামড় খেতে হয়েছে। পুলিশের ঘুষি খেতে হয়েছে। তারপর চাকরিপ্রার্থীদেরই গ্রেফতার করে, বিরুদ্ধেই জামিন অযোগ্য ধারা দিয়ে, সারা রাত লক আপে রাখা হয়েছে। কিন্তু, বৃহস্পতিবার আদালত সবাইকে জামিন দেওয়ার পর, আন্দোলনকারীরা ফের বুঝিয়ে দিয়েছেন, আন্দোলনের রাস্তা থেকে সরার প্রশ্নই নেই! এক চাকরিপ্রার্থী আন্দোলনকারী বললেন,' মজবুত হলাম। মানসিকভাবে আমরা তৈরি হয়েছি। আরও আমরা গর্জে উঠে সাহস এবং সুযোগ পেলাম।' আদালতের নির্দেশে সিপিএম নেতা ইন্দ্রজিৎ ঘোষের প্রতিক্রিয়া, 'কলকাতা পুলিশ যদি মনে করে, পুলিশ দিয়ে, লাঠিচার্জ করে, কামড়ে দিয়ে, আন্দোলন ভাঙবে, পারবে না। দেশে আইন আদালত আছে। লড়াইটা রাস্তার লড়াই, আরও জোরদার হবে। আমরা লড়ব চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে নিয়ে। চাকরি চুরি করেছে যারা, তারা জেলে যাবে। যোগ্যরা স্কুলে যাবে। অযোগ্যদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করতে হবে।' বুধবার পুলিশের ভূমিকা নিয়ে বিভিন্ন মহলেই প্রশ্ন উঠেছে। বৃহস্পতিবার চাকরিপ্রার্থীরা আদালত থেকে জামিন পাওয়ায় তাঁদের বিরুদ্ধে দেওয়া জামিন অযোগ্য ধারা নিয়ে, পুলিশ আরও প্রশ্নের মুখে পড়ল বলে মনে করছেন অনেকে।
আরও পড়ুন:'আমরা ক্রিমিনাল নই, প্রমাণ হল', জামিনের পর প্রতিক্রিয়া অরুণিমার
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)