Anubrata Mandal : গরুপাচারকাণ্ডে ইডির তলবে দিল্লিতে অনুব্রত-কন্যা, সায়গলের সঙ্গে মুখোমুখি বসিয়ে জেরার সম্ভাবনা
Cow Smuglling Scam : এই মুহূর্তে ইডি দফতরের লকআপেই বন্দি অনুব্রতর প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেন।
বিজেন্দ্র সিংহ, নয়াদিল্লি : গরুপাচারকাণ্ডে (Cow Smuggling Scam) ইডির তলবে দিল্লিতে অনুব্রত-কন্যা সুকন্যা মণ্ডল। বুধবার সকালে দিল্লিতে ইডি-র সদর দফতরে হাজির হলেন সুকন্যা মণ্ডল। প্রসঙ্গত, ‘কোথা থেকে এল অনুব্রত-কন্যার কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি?’ জানতে সুকন্যা মণ্ডলকে দিল্লিতে তলব করেছিল ইডি (ED)।
এদিকে, সূত্রের খবর, অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের (Saigal Hossain) সঙ্গে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদের সম্ভাবনা সুকন্যা মণ্ডলকে। এই মুহূর্তে ইডি দফতরের লকআপেই বন্দি অনুব্রতর প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টটরেটের তরফে সায়গল হোসেনের মা-স্ত্রী, শ্যালককে বেশ কয়েকজন সদস্যকেও তলব করা হয়েছে। তাঁদের সঙ্গেও সায়গলকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতে চায় ইডি।
উল্লেখ্য, গরু পাচারকাণ্ডের তদন্তে CBI’এর পর, এবার অনুব্রত মণ্ডলের কন্যা সুকন্যাকে গত শুক্রবার দিল্লির অফিসে তলব করল ইডি। নির্ধারিত দিনেই ইডি দফতরে হাজির হয়েছেন অনুব্রত-কন্যা। তলব করা হয় অনুব্রত মণ্ডলের চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট মণীশ কোঠারিকেও।
'যা জানার তা জানেন হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারি'
অনুব্রত মণ্ডলের কন্যার কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি কোথা থেকে এল, সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখতে চান ED’র তদন্তকারী। সূত্রের দাবি এর আগে, CBI’এর জিজ্ঞাসাবাদে সুকন্যা বলেছিলেন, যা জানার তা জানেন হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারি। ইডি-র আইনজীবী আদালতে গত শুক্রবার বলেছিলেন,তদন্তে নতুন তথ্য হাতে এসেছে। বিদ্যুৎবরণ গায়েন ও মণীশ কোঠারি-সহ অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ ৮ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের ভূমিকাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গরু পাচারের কোটি কোটি টাকা কোথায় গেছে, আমরা তা খুঁজে বের করতে চাই।
'চাপ দিচ্ছে ইডি'
পাল্টা অনুব্রত’র দেহরক্ষীর আইনজীবী বলেছিলেন, সায়গলকে চাপ দিয়ে কিছু নাম বলানোর চেষ্টা করছে ED। যাঁদের মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের কথা বলা হচ্ছে, তাঁদের তো কলকাতাতেই জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে। এখানে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করার কী আছে? যার পর ED’র আইনজীবী বলেছিলেন, কোনও থার্ড ডিগ্রি অত্যাচার করা হচ্ছে না। প্রতিদিনের মেডিক্যাল রিপোর্ট আদালতে পেশ করা হয়েছে। দু’পক্ষের বক্তব্য শোনার পর, সায়গল হোসেনের ৮ দিনের ED হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। সেই পর্বেই একাধিক জনকে তলব করে সায়গলের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা ও তদন্ত-পর্ব এগিয়ে নিয়ে যেতে বাড়তি উদ্যোগ নেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
আরও পড়ুন- নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে জেলে, তারপরেও সরকারি বইয়ে নাম? প্রশ্ন বিরোধীদের