Cyclone Dana Update: ধেয়ে আসছে আরও একটা ঘূর্ণিঝড়, চট-প্লাস্টিক নিয়ে বাঁধ মেরামতিতে গ্রামের মহিলারা
South 24 Parganas: সরকারের কাছে চাহিদা পাকাপোক্ত একটা বাঁধ। কিন্তু তাও যেন স্বপ্ন। আর যখনই কানে এল...ধেয়ে আসছে আরও একটা ঘূর্ণিঝড়।
গৌতম মণ্ডল ও শান্তনু নস্কর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ঘূর্ণিঝড়ের (Cyclone Dana) আতঙ্কে আক্ষরিক অর্থেই খড়কুটো ধরে বাঁচার চেষ্টা করছেন উপকূল এলাকার বাসিন্দারা। কাঁচা বাঁধকে রক্ষা করার জন্য়, কোথাও সেলাই করা হচ্ছে চট, কোথাও ঢেকে দেওয়া হচ্ছে প্লাস্টিক দিয়ে। কিন্তু এই চেষ্টা আদতে কতটা কাজে আসবে, জানেন না গোসাবা, মন্দিরতলার বাসিন্দারা।
খড়কুটো ধরে বাঁচানোর চেষ্টা: সরকারের কাছে চাহিদা পাকাপোক্ত একটা বাঁধ। কিন্তু তাও যেন স্বপ্ন। আর যখনই কানে এল...ধেয়ে আসছে আরও একটা ঘূর্ণিঝড়। তখন আর ঘরে বসে থাকবেন কী করে। গ্রামের মহিলারাই নেমে পড়লেন মাটির বাঁধ মেরামত করতে। বৃহস্পতিবার এমনই ছবি ধরা পড়ল দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার সাগর এলাকার মন্দিরতলা-খেয়াঘাটে। সেচ দফতর থেকে বানিয়ে দেওয়া হয়েছে মাটির বাঁধ। তা যাতে জলে না ধুয়ে যায়, সেজন্য ঢাকা দেওয়া হয়েছিল বিশেষ চট দিয়ে। কিন্তু, জলের তোড়ে বেশ কয়েক জায়গায় তা ফেটে গেছে। যার ফলে মাটিও গলতে শুরু করেছে। কিন্তু, বাঁধ ভেঙে গেলে তো সর্বনাশ। অগত্য়া শেষ মুহূর্তে গ্রামের মহিলারাই হাত লাগালেন সেই চট সেলাই করতে।
কয়েক দিন আগেই নামখানার নারায়ণগঞ্জে বাঁধ মেরামত দেখতে গিয়ে, গ্রামবাসীদের ক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা। এদিন মন্দিরতলা এলাকাতেও গিয়েছিলেন পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে। কিন্তু, তাতেও মানুষের ক্ষোভ কমেনি। ওই এলাকার বাসিন্দা মালতী মান্না বলেন, "মন্ত্রী এসেছে। মন্ত্রী এসে কী করল, কী দেখল? ওঁরা যেটা মার খেয়েছে, এখানে মারছি। আর পাবলিকরা কী করেছে? কিছু করেনি। মন্ত্রী এসে কী দেখল, কী করল? তাঁর করার কিছু নেই। কোনও সুবিধা-অসুবিধা কিছু পাচ্ছি না।''
ঝড় আসার আগের মুহূর্তে সুন্দরবনের গোসাবার পাখিরালয়, সোনাগাঁ, দুলকি, বিরাজনগরে মাটির বাঁধ মেরামতির কাজ করছে সেচ দফতর। জলের তোড়ে যাতে মাটি ধুয়ে না যায়, তার জন্য প্লাস্টিক দিয়ে ঢেকে দেওয়া হচ্ছে। গোসাবার বাসিন্দা চন্দন মাইতি বলেন, " এখন ঝড় আসা শুরু হলেই তখন বাঁধের কাজ হয়। চটের ব্যাগ দিয়ে মাটি দেওয়া হয়। পলিথিন দেওয়া হয়। কিন্তু সারাবছর সরকার এবং প্রশাসন এই নদী বাঁধের প্রতি উদাসীন থাকে।'' যদিও এবিষয়ে জেলাশাসক সুমিত গুপ্ত জানান, "আমাদের কিছু জমির সমস্যা আছে। এই জমির সমস্যা মিটে গেলেই আমরা যেরকম প্রয়োজন হবে, আমরা সেরকম বাঁধগুলি তৈরি করতে পারব।''
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: Cyclone Dana: উপকূলে শুরু ঝড়-বৃষ্টি, কত দূরে দানা? কী জানাচ্ছে আবহাওয়া দফতর?