Panchayet Election Nomination: মনোনয়নের দ্বিতীয় দিনে তৃণমূল কর্মীকে শ্যুটআউট, অভিযোগ দলের বিরুদ্ধেই
পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন পেশ ঘিরে দিনভর অব্য়াহত রইল অশান্তি। মনোনয়নপত্র বিলির জন্য ভাঙড়ের বিডিও অফিসের কর্মীকে মারধর! বিডিও অফিসের ভিতর চড়াও হয়ে মারধর দুষ্কৃতীদের।

কোচবিহার: মনোনয়নের (Panchayet Election Nomination) দ্বিতীয় দিনে তৃণমূলের হাতেই আক্রান্ত তৃণমূল (TMC)! দিনহাটার (Dimhata) ওখরাবাড়িতে তৃণমূলকর্মী গুলিবিদ্ধ, তৃণমূলকর্মীই অভিযুক্ত। '২৫৩ বুথের সম্ভাব্য় প্রার্থীর উপরে ২৫২ বুথের সম্ভাব্য় প্রার্থীর হামলা'। তৃণমূলকর্মী লিপ্টন হকের উপর হামলা নিয়ে অভিযোগ পরিবারের।
দফায় দফায় অশান্তি: পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন পেশ ঘিরে দিনভর অব্য়াহত রইল অশান্তি। মনোনয়নপত্র বিলির জন্য ভাঙড়ের বিডিও অফিসের কর্মীকে মারধর! বিডিও অফিসের ভিতর চড়াও হয়ে মারধর দুষ্কৃতীদের। অন্যদিকে পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ায় বিজেপিকে মনোনয়নে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। বিজেপি প্রার্থী ও নেতা কর্মীদের মারধর করে তাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ করা হয়। কাঁদতে কাঁদতে বিজেপি-প্রার্থী ও নেতারা মনোননয়ন জমা না দিয়েই ফিরে আসেন বলে দাবি। বাধা দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরেও মনোনয়ন ঘিরে অশান্তির ছবি। বিজেপি প্রার্থীদের মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বিজেপির বিষ্ণুপুর গ্রামীণ মণ্ডল ১-এর সভাপতি তপন মাজুরির নেতৃত্বে এদিন ৫০ জন বিজেপি প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিতে যান। বিডিও অফিসে ঢোকার আগেই তাঁদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
শুভেন্দুর নিশানা: মনোনয়নপর্বের শুরুতেই দিকে দিকে অশান্তি, রাজ্য সরকারকে নিশানা করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Subendu Adhikari) ট্যুইটে লিখেছেন, 'লাভপুরে বিজেপি প্রার্থীদের মনোনয়নের বাধা তৃণমূলের গুন্ডাদের। ডোমকলে সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করেছে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। অস্ত্র হাতে দেখা গিয়েছে তৃণমূল নেতাকে! হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সিভিক ভলান্টিয়ারদের ব্যবহার। বিরোধীদের ওপর লাঠিচার্জ করেছেন সিভিক ভলান্টিয়াররা। বিজেপি প্রার্থীদের মনোনয়নে ভয় পেয়েছেন মমতা। তাই বিজেপি কর্মীদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে'।
কবে হবে পঞ্চায়েত ভোট? এতদিন, এই প্রশ্নে টানাপোড়েন চলছিল। আর, পঞ্চায়েত ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার পর, শুরু হল নতুন টানাপোড়েন। এবার, উদ্বেগ মনোনয়ন দাখিলের জন্য় নির্দিষ্ট করে দেওয়া সময়সীমা নিয়ে। কারণ, রাজ্যের ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েতে, ৯২৮টি জেলা পরিষদের আসন, পঞ্চায়েত সমিতির মোট আসন ৯ হাজার ৭৩০টি এবং গ্রাম পঞ্চায়েতে ৬৩ হাজারেরও বেশি আসন রয়েছে। আর, এই বিপুল সংখ্য়ক আসনে, মনোনয়ন জমা দেওয়ার জন্য সময় মাত্র ২৪ ঘণ্টা। এ নিয়ে ইতিমধ্যেই ঝামেলা শুরু হয়েছে।






















