এক্সপ্লোর
Advertisement
Paschim Medinipur Historical Places: ঐতিহাসিক স্থানের সঙ্গে নজরকাড়া প্রাকৃতিক পরিবেশের সান্নিধ্য, নতুন বছরে ঘুরে আসুন পশ্চিম মেদিনীপুর
Travel Destinations: ভৌগলিক অবস্থান হিসেবে পশ্চিম মেদিনীপুর রাজ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম জেলা। এই জেলাতেই রয়েছে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক গ্রাম।
Paschim Medinipur: নতুন বছরে বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন? হাতে বেশি সময় না থাকলে চট করে ঘুরে আসতে পারেন পশ্চিম মেদিনীপুর (Paschim Medinipur) থেকে। দর্শনীয় অনেক স্থানই রয়েছে এখানে। নজর কাড়বে প্রাকৃতিক পরিবেশ। সঙ্গে দোসর ইতিহাসের ছোঁয়া। ২০০২ সালের পয়লা জানুয়ারি মেদিনীপুর জেলা ভাগ হয়ে তৈরি হয়েছিল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা। তার আগে পর্যন্ত অবিভক্ত ছিল মেদিনীপুর জেলা। কিন্তু ২০০২ সালের ১ জানুয়ারি পূর্ব এবং পশ্চিম মেদিনীপুর এই দুই ভাগে ভাগ হয়ে যায় জেলাটি। ভৌগলিক অবস্থান হিসেবে পশ্চিম মেদিনীপুর রাজ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম জেলা। এই জেলাতেই রয়েছে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক গ্রাম। ২০১১ সালের আদমশুমারি তালিকা অনুসারে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় রয়েছে ৮৬৯৪টি গ্রাম, যার মধ্যে ৭৬০০ গ্রামে রয়েছে বসতি। বাকি ১০৯৪টি গ্রাম বসবাসের অযোগ্য। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় রয়েছে অসংখ্য পর্যটক কেন্দ্র। বেশ কিছু ঐতিহাসিক স্থানও রয়েছে এই জেলায়। রইল তারই তালিকা।
গড়বেতা- চন্দ্রকোণা থেকে ১১ কিলোমিটার দূরে শিলাবতী নদীর তীরে অবস্থিত গড়বেতা পশ্চিম মেদিনীপুরের অন্যতম আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র। লায়েক বিদ্রোহের সঙ্গে যোগ রয়েছে এই স্থানের। লাল মাটি ও শাল বনের দেশ গড়বেতাতেই ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে চুয়ার বিদ্রোহ হয়েছিল। এই গড়বেতাতেই রয়েছে বিখ্যাত পর্যটন কেন্দ্র গনগনি। গড়বেতার সর্বমঙ্গলা মন্দিরও অত্যন্ত প্রাচীন এবং বিখ্যাত। গড়বেতা স্টেশনের কাছে রয়েছে কিছু সাধারণ হোটেল এবং লজ। এছারাও রয়েছে PWD বাংলো।
বেলপাহাড়ি- ঝাড়গ্রাম থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে রয়েছে বেলপাহাড়ি। মেদিনীপুর জেলার অন্যতম আকর্ষণ এই জায়গা। দলমা পাহাড় এবং সবুজ ঘেরা জঙ্গল এখানকার মূল আকর্ষণ। শাল, মহুয়া, শিমূল, পিয়াল, সোনাঝুরি ও আরও অনেক গাছের সমাবেশ দেখা যায় এই বেলপাহাড়িতে।
ক্ষীরপাই- ১৮ এবং ১৯ শতকে ক্ষীরপাই ছিল অত্যন্ত জনপ্রিয় ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে। তুলো এবং হাতে গড়া জিনিস এই এলাকা দিয়ে রপ্তানী করা হতো বিদেশের মাটিতে। ব্রিটিশ শাসনকালে নীলচাষের জন্য বিখ্যাত হয়ে উঠেছিল এই ক্ষীরপাই। তবে এখন ১২ বর্গ কিলোমিটারের এই ছোট্ট জায়গার জৌলুস কমেছে। তবে আকর্ষণে ভাটা পড়েনি। এখানকার রাধামাধব মন্দির খুবই জাগত। এই মন্দিরকে বলা হয় 'পঞ্চরত্ন' মন্দির। টেরাকোটার অপূর্ব কাজ আজও এই মন্দিরে বিদ্যমান।
নাড়াজোল রাজবাড়ি- পশ্চিম মেদিনীপুরের অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান এই রাজবাড়ি। ৩৬০ বিঘা জমি জুড়ে বিস্তৃত এই রাজবাড়িতে রয়েছে ২৫০টি ঘর। এছাড়াও রয়েছে সুবিশাল একটি হাওয়া মহল প্রায় ৬০ বিঘা এলাকা জুড়ে। রাজবাড়ির চারপাশ ঘেরা রয়েছে পরিখা দিয়ে। অনেকটা দুর্গের মতো। নাড়াজোল এবং লঙ্কাগড়- এই দুই এলাকা জুড়ে রয়েছে সুবিশাল এই রাজবাড়ি। চারপাশেও রয়েছে প্রচুর দর্শনীয় স্থান। প্রায় ৫৪টি মন্দির রয়েছে এখানে। ১০ বিঘা জমি রয়েছে কলেজের জন্যেও। মন্দিরগুলোয় রয়েছে বাংলা এবং ইউরোপের স্থাপত্যের ছোঁয়া।
হিজলি ইকো-পার্ক- খড়গপুর ডিভিশনের হিজলি রেঞ্জে রয়েছে এই বিনোদন পার্ক। অনেকটা এলাকা জুড়ে অবস্থিত এই ইকো-পার্ক। বাচ্চাদের খেলার মাঠের পাশাপাশি এখানে রয়েছে ডিয়ার এনক্লেভ এবং ওপেন এয়ার পিকনিক স্পট। ভেষজ গাছের সম্ভারও রয়েছে এখানে।
জেলার (District) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
জেলার
জেলার
বিনোদনের
জেলার
Advertisement