Fraud Case: চড়া হারে রিটার্নের ফাঁদে পড়ে ১ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা খোয়ানোর অভিযোগ চিকিৎসক কুণাল সরকারের
Fraud Case Update: তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, অভিযুক্ত অন্য একটি মামলায় ইতিমধ্যেই তিহাড় জেলে বন্দি রয়েছেন। এরপর, প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট নিয়ে অভিযুক্তকে লালবাজারে আনা হয়।
ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, সুকান্ত মুখোপাধ্যায় ও পূর্ণেন্দু সিংহ, কলকাতা: চড়া হারে রিটার্নের ফাঁদে পড়ে ১ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা খোয়ানোর অভিযোগ তুললেন চিকিৎসক কুণাল সরকার (Doctor Kunal Sarkar)। পাশাপাশি অন্য একটি ঘটনায়, বিকিকিনির অ্যাপে ভুয়ো (fraud app) বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার করা হল বাঁকুড়ার (Bankura) বাসিন্দা এক তরুণকে।
প্রতারণার ফাঁদে...!
১ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ তুললেন চিকিৎসক কুণাল সরকার। লালবাজার সূত্রে খবর, ২০১৬ সালে মোটা টাকা রিটার্নের প্রতিশ্রুতিতে ধাপে ধাপে একটি সংস্থায় টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন কুণাল সরকার। ২০২০ সাল পর্যন্ত ওই সংস্থায় তিনি ১ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করেন। এরপর, সংস্থার তরফে তাঁকে একটি ৮০ লক্ষ টাকার চেক দিলে, সেটি বাউন্স করে। এরপরই, ২০২১ সালের জুন মাসে শেক্সপিয়র সরণি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন চিকিৎসক। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, অভিযুক্ত অন্য একটি মামলায় ইতিমধ্যেই তিহাড় জেলে বন্দি রয়েছেন। এরপর, প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট নিয়ে অভিযুক্তকে লালবাজারে আনা হয়। ধৃতের ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত পুলিশি হেফাতের নির্দেশ দিয়েছে ব্যাঙ্কশাল আদালত।
অন্যদিকে, পুরনো জিনিস কেনাবেচার অ্যাপে বিপুল ছাড়ের ভুয়ো বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রতারণার অভিযোগ উঠল বাঁকুড়ার এক তরুণের বিরুদ্ধে। একাধিক প্রতারণার অভিযোগ পেয়ে কোতলপুরের বাসিন্দা ১৯ বছর বয়সী রমাপ্রসাদ সরকার ওরফে রূপমকে গ্রেফতার করল লালবাজারের সাইবার ক্রাইম বিভাগ।
পুলিশ সূত্রে খবর, ওই অ্যাপে বিজ্ঞাপন দিয়ে বিভিন্ন জিনিসপত্র বিক্রির টোপ দেন রমাপ্রসাদ। গ্রাহকদের আকৃষ্ট করতে ছিল নজরকাড়া অফার। বিজ্ঞাপনে দেওয়া নম্বরে ফোন করলে পাঠানো হত ব্যাঙ্ক ডিটেলস। বিক্রেতার অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানোর সময় কায়দা করে ক্রেতার ব্যাঙ্কের গোপন তথ্য হাতিয়ে নেওয়া হত। তারপর ক্রেতার অ্যাকাউন্ট থেকে সরিয়ে ফেলা হল টাকা।
আরও পড়ুন: Student Death: নিউটাউনে কলেজ পড়ুয়ার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, তদন্তে পুলিশ
বৃহস্পতিবার রাতে অভিযুক্ত রমাপ্রসাদ সরকারের কোতলপুরের বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। পুলিশ সূত্রে দাবি, ধৃতের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ১টি হার্ড ড্রাইভ, ৩টি মোবাইল ফোন, বিভিন্ন কোম্পানির ২৮৬টি সিম কার্ড, ডেবিট কার্ড, ১টি ফিঙ্গার প্রিন্ট স্ক্যানার, ১টি চেক বই, ৭টি UPI QR কোড স্ক্যানার ও নগদ ৫ লক্ষ ৯১ হাজার ৫০০ টাকা। শুক্রবার, ধৃতকে ৭দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে ব্যাঙ্কশাল আদালত।