Howrah Drinking Water Crisis: বাড়িতে জলের লাইন থাকলেও মিলছে না জল, হাহাকার হাওড়ার একাধিক গ্রামে
Howrah News: বছর তিনেক আগে উদয়নারায়নপুরের সিংটি অঞ্চলের রাজাপুর এবং কুমিরমোড়া গ্রামে প্রায় দেড় হাজার বাড়িতে পানীয় জলের লাইন যুক্ত করা হয়।

সুনীত হালদার, হাওড়া: তিন বছর হয়ে গেল বাড়িতে জলের লাইন যুক্ত করা হয়েছে। অভিযোগ, বাসিন্দারা এই প্রচন্ড গরমে পাচ্ছেন না এক ফোঁটা পানীয় জল। এর ফলে জলের হাহাকার দেখা দিয়েছে উদয়নারায়নপুরের সিংটি অঞ্চলের রাজাপুর এবং কুমিরমোড়া গ্রামে। যদিও প্রশাসনের পক্ষ থেকে সমস্যার দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
বছর তিনেক আগে উদয়নারায়নপুরের সিংটি অঞ্চলের রাজাপুর এবং কুমিরমোড়া গ্রামে প্রায় দেড় হাজার বাড়িতে পানীয় জলের লাইন যুক্ত করা হয়। গোটা কাজটাই করে জনসাস্থ্য কারিগরি দফতর। কাজ শুরুর সময় গ্রামবাসীদের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল মাস ছয়েকের মধ্যেই বাড়িতে পানীয় জল এসে যাবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় অন্য পরিস্থিতি। স্থানীয় গ্রামবাসীদের অভিযোগ তিন বছর হয়ে গেলেও তাদের বাড়িতে এক ফোঁটা পানীয় জল আসেনি। এ ব্যাপারে তারা স্থানীয় সিংটি গ্রাম পঞ্চায়েত এবং পঞ্চায়েত সমিতিতে বারবার অভিযোগ জানালেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এর ফলে গ্রামের মহিলাদের প্রায় এক থেকে দেড় কিলোমিটার দূর থেকে পায়ে হেঁটে পানীয় জল সংগ্রহ করতে হয়। গ্রামের একমাত্র টিউবওয়েলটি মাঝে মাঝে খারাপ হয়ে যাওয়ার ফলে সমস্যা আরও বেড়ে যায়। এখন প্রচন্ড গরমে জলের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় সমস্যা আরো গভীর হয়ে উঠেছে। গ্রামবাসীরা বুঝে উঠতে পারছেন না কীভাবে এই সমস্যার মোকাবিলা করা যায়।
উদয়নারায়নপুরের তৃণমূল বিধায়ক সমীর পাঁজা এই সমস্যার কথা স্বীকার করেছেন। তিনি জানান, জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের মন্ত্রী পুলক রায়ের চেষ্টায় ওই গ্রামগুলিতে ঘরে ঘরে পানীয় জল সরবরাহের প্রকল্প নেওয়া হয়। লাইন পাতার কাজ শেষ হলেও তারা জল পাচ্ছেন না তিন বছর। এর পেছনে এক শ্রেণীর সরকারি আধিকারিকদের গাফিলতি রয়েছে। এ ব্যাপারে শীঘ্রই তিনি মন্ত্রী পুলক রায়ের সঙ্গে কথা বলবেন যাতে ওইসব বাড়ি গুলিতে জল সরবরাহ চালু করা যায়।
দিনকয়েক আগে হাওড়া পুরসভার ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডের নাজিরগঞ্জ এলাকায় তীব্র পানীয় জলের সঙ্কট দেখা দেয়। হাওড়া পুরসভা সূত্রে খবর, গত সোমবার থেকে ওই এলাকায় একটি ডিপ বোরিং টিউবওয়েলের মেরামতির কাজ শুরু হয়। সেই কারণে এই সমস্যা দেখা দেয়। যার জেরে চরম অসুবিধায় পড়েন ওই এলাকার প্রায় হাজার তিনেক বাসিন্দা। যদিও হাওড়া পুরসভার পক্ষ থেকে পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক করার আশ্বাস দেওয়া হয়।






















