Digital Arrest: ডিজিটাল অ্যারেস্টে ২ মাস গৃহবন্দি, অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ছবি দেখিয়ে ৫২ লক্ষ সাফ! মাথায় হাত সরকারি কর্মীর
Dumdum Digital Arrest: এও অভিযোগ, অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ছবি দিয়ে সুপ্রিম কোর্টে ভুয়ো শুনানি, জাল নির্দেশনামা পাঠিয়ে ৫২ লক্ষ টাকা দিতে বলা হয়।

প্রকাশ সিনহা, কলকাতা: মোবাইলে এখন ফোন করলেই শুনতে হয় ডিজিটাল অ্যারেস্ট সংক্রান্ত সতর্কবার্তা। বেশ কিছুদিন যাবৎ এই সতর্কবার্তা চালিয়ে যাচ্ছে টেলিকম সংস্থাগুলি। এরই মধ্যে প্রকাশ্যে আসে এক ভয়ঙ্কর তথ্য।
২ মাস ধরে ডিজিটাল অ্যারেস্ট হয়ে গৃহবন্দি অবসরপ্রাপ্ত রাজ্য সরকারি। শুধু তাই-ই নয়, ৫২ লক্ষ টাকা প্রতারিত হয়েছেন দমদমের এই বাসিন্দা। অভিযোগ, আর্থিক তছরুপ মামলায় ডিজিটাল অ্যারেস্ট হয়েছেন বলে জানিয়ে টেলিকম অথরিটির পরিচয়ে ফোন আসে। বলা হয়, মামলার তদন্ত করছে CBI। ২৪ ঘণ্টা মোবাইল ফোনে ভিডিও কল চালু রাখতে বলে প্রতারকরা।
এও অভিযোগ, অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ছবি দিয়ে সুপ্রিম কোর্টে ভুয়ো শুনানি, জাল নির্দেশনামা পাঠিয়ে ৫২ লক্ষ টাকা দিতে বলা হয়। ৫২ লক্ষ টাকা সুপ্রিম কোর্টের সাসপেন্স অ্যাকাউন্টে জমা দিতে বলা হয়। মিউচুয়াল ফান্ড, ফিক্সড ডিপোজিট ভেঙে ৬ দফায় ৫২ লক্ষ টাকা দেওয়ার পরেই মোবাইলের স্ক্রিন থেকে আচমকা গায়েব প্রতারকরা। দমদম থানায় অভিযোগ জানানোর ৫ দিন পর FIR রুজু হয় বলে অভিযোগ।
চৈতালিদেবী বলেন, "আমাদের বলা হত এটা আমাদের সুরক্ষার জন্যই করা হচ্ছে। প্রাণ রক্ষা যাতে হয়। পায়খানা, বাথরুম সবজায়গাতে ক্যামেরার মাধ্যমে নজরদারি করতেন। কেউ বাইরে থেকে আসলে এন্টারটেন না করার এবং আমাদের বাইরে না যাওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই অবস্থায় ছিলাম। আমাদের প্রাক্তন বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের অর্ডার কপি দেখানো হয়। সেখানে সিবিআই ইনভেস্টিগেশন করে দেখে নাকি যে নরেশ গোয়েলের বাড়িতে রেইড করে আমাদের নামের কার্ড পাওয়া যায়। সেখান থেকেই আমাদের নাম উঠে আসে। সেই ভাবেই শুনানি না কি শুরু হয়েছে। সেই মতো অর্ডার পত্রও পাঠানো হয়।"
আরও পড়ুন, ট্রলিব্যাগে কার কোপানো বডি এনেছিলেন মা-মেয়ে? কুমোরটুলি ঘাটের হাড়হিম ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য
কিন্তু ২ মাস পর যখন নিজের ভুল বুঝতে পারেন, সেই সময় পুলিশের কাছে গিয়েও সুরাহা হয়নি বলেই ক্ষোভ উগরে দেন। পারিবারিক বন্ধু বলেন, 'আমরা অনেক ভেবেচিন্তে তারপর থানায় যাই। পাঁচ দিন টানা ঘুরেছি। তারপর অভিযোগ নেওয়া হয়।'
উল্লেখ্য, এই ঘটনার পর চৈতালিদেবী নিজেই ওই প্রতারকদের একটি স্কেচও আঁকেন। অভিযোগ যে এখনও এই স্কেচ পুলিশ নেয়নি, এমনকী নিজেরাও স্কেচিং করে প্রতারকদের ধরার চেষ্টা করেনি।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে






















