(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Durga Puja 2021 : অষ্টমীর দিন 'অতি গুপ্ত' মন্ত্রপাঠ হয় কাশীপুর পঞ্চকোট রাজবংশে
কথিত রয়েছে, রামচন্দ্র রাবণ বধের জন্য যে ১৬ দিনব্যাপী পুজো করে ছিলেন, সেই ধারা মেনে এখানে ১৬ দিন ধরে মা পূজিতা হন
হংসরাজ সিংহ, পুরুলিয়া : বৃহস্পতিবার অর্থাৎ জিতাষ্টমীর পরের দিন কৃষ্ণানবমীর দিন থেকে শুরু হল কাশীপুর পঞ্চকোট রাজবংশের দুহাজার বছর পুরো দুর্গাপুজো। রাজবংশের প্রথা মেনে এই দিন থেকেই দুর্গাপূজা শুরু হয় কাশীপুর দেবী বাড়ির মন্দিরে,এখানে মা পূজিতা হন রাজরাজেশ্বরী রূপে।
কথিত রয়েছে, রামচন্দ্র রাবণ বধের জন্য যে ১৬ দিনব্যাপী পুজো করে ছিলেন, সেই ধারা মেনে এখানে ১৬ দিন ধরে মা পূজিতা হন। সেই কারণে এই পুজোকে ষোড়শকল্পের পুজোও বলা হয়। ষোড়শ কল্পের ষোড়শী রূপে মা পূজিত হন। প্রথা মেনে আজও মন্দির চত্বরে একসাথে সম্মিলিত হয় মায়ের প্রসাদ গ্রহণ করেন রাজ পরিবারের সদস্যরা।
রাজপুরোহিত গৌতম চক্রবর্তী জানান, 'পঞ্চকোট রাজ বংশের এই দেবী মন্দিরে বেলবরণ হয় না, মা মন্দিরে সারা বছরই অধিষ্ঠিত থাকেন। এখানে আজও বলি প্রথা রয়েছে। দুর্গাপূজার অষ্টমীর দিন শ্রীনাদ মন্ত্র পাঠ করা হয় যা 'অতি গুপ্ত'। দুর্গাপূজার অষ্টমীর দিন দেবী মন্দিরের মণ্ডলে মা রাজরাজশ্রীর পায়ের ছাপ পড়ে যা অবিশ্বাস্য হলেও আজও সে ধারা অব্যাহত।'
রাজবংশের উত্তরসূরী সোমেশ্বরলাল সিংদেও জানান, 'প্রায় ২ হাজার বছরের প্রাচীন এই রাজবংশের পুজো, বিক্রমাদিত্যের বংশধর মহারাজা জগদ্দল সিংহদেও, কনিষ্ঠপুত্র দামোদর শেখর সিংহ দেও বাহাদুর এখানে চাটলা পঞ্চকোট রাজ স্থাপন করেন । তখন থেকেই তিনি এই পুজো আরম্ভ করেন যা আজও চলছে। এখন থেকে আমাদের এই পুজো সূচনা হল । আগামী ১৬ দিন চলবে এই পুজো । দুর্গাপূজার মহা নবমীতে পুজো হয়ে দশমীতে ঘট বিসর্জনের মাধ্যমে পুজোর সমাপন হবে।
আরও পড়ুন :
বীরভূমে হাটুরাম মুখোপাধ্যায়ের বাড়ির সন্ধিপুজো শুরু হয় এখনও বন্দুক দেগে
অন্যদিকে, পুরুলিয়া জেলার আড়রা গ্রামের মিশ্র পরিবারের তিনশো বছরেরও বেশি পুরনো দুর্গাপুজোর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে এক রোমহর্ষক গল্প এখনও সেখানে পুজোর সমস্ত দায়িত্ব কাঁধে নেন বাড়ির মেয়েরাই। পুরুলিয়া জেলার রেলশহর আদ্রার পাশেই আড়রা গ্রাম। বাড়ির বর্তমান প্রজন্মের সদস্য অসীম মিশ্র বলেন, "৩১৭ বছর আগে শুরু হয়েছিল এই পুজো। বংশের পূর্বসূরীরা এই পুজো শুরু করেন। কারণ, সেই সময় বংশে কোনও কন্যাসন্তান ছিল না। দেবীর স্বপ্নাদেশের পর কাশীপুর রাজার অনুমতিতে প্রথমে অস্ত্র পুজো, তার পর ঘট স্থাপন করা হয়। এর পর আরম্ভ হয় মূর্তি পূজো। প্রায় ১০০ বছর ধরে চলছে মূর্তি পূজো। এর পর সেই সময় বংশে কন্যাসন্তান প্রাপ্তি হয়। বর্তমানে তাঁর ৬ বোন এবং ৭ কন্যাসন্তান।’’
আরও পড়ুন ; ৭৯ বছরে এবার পা দিল বীরভূমে অনুব্রত মণ্ডলের বাড়ির পুজো