Durga Puja 2023:'এখানে মনে হয় বাড়ির পুজো', বিজয়গড় পল্লিশ্রীতে অঞ্জলি দিতে এসে বললেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত
Rituparna Sengupta:অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে সকালেই দেখা গেল, বিজয়গড় পল্লিশ্রীর পুজোয়। বললেন, 'এখানে মনে হয় বাড়ির পুজো। বাড়ির পুজোয় এসে অঞ্জলি দেওয়া আলাদা আনন্দ বলে মনে হয়।'
শিবাশিস মৌলিক, কলকাতা: আজ মহাষ্টমী। সকালে অঞ্জলি, বিকেলে সন্ধিপুজো। সাধারণ মানুষ থেকে তারকা, সকলেই আজ কোনও না কোনও মণ্ডপে। যেমন অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। সকালেই তাঁকে দেখা গেল, বিজয়গড় পল্লিশ্রীর পুজোয়। বললেন, 'এখানে মনে হয় বাড়ির পুজো। বাড়ির পুজোয় এসে অঞ্জলি দেওয়া আলাদা আনন্দ বলে মনে হয়।'
সাজে-সৌন্দর্যে-আনন্দে ঋতুপর্ণা...
লাল পাড়, সাদা শাড়ি। সঙ্গে বড় লাল টিপ। মানানসই গয়না, মেক-আপও করেছেন যত্ন করে। মহাষ্টমীতে বাঙালির ঐতিহ্যের সঙ্গে তাঁর সাজ-পোশাক যাতে খাপ খায় যায়, সেটা পুরোপুরি খেয়াল রেখেছেন ডাকসাইটে অভিনেত্রী। কিন্তু কীসের টানে বিজয়গড় পল্লিশ্রীর পুজোয় একাধিক দিন হাজিরা দেন তিনি? ঋতুপর্ণার কথায়, 'বাড়ির পুজোর মধ্যে একটা একাত্মবোধের অনুভূতি থাকে। সকলে মিলে আন্তরিক ভাবে আনন্দ করা যায়...বাড়ির পুজোর মধ্যে একটা ওনারশিপও থাকে।' বিজয়গড় পল্লিশ্রীর পুজোয় ঠিক এমনই অনুভূতি পেয়ে থাকেন টলি-তারকা। সঙ্গে আরও জানালেন, পুজোর ক'টা দিনই বেশ কিছু মানুষের সঙ্গে দেখা হয় তাঁর। ঋতুপর্ণার কথায়, 'এটি শুধু উৎসব নয়, আমাদের সম্পর্কগুলোরও মিলন মেলা।' কিন্তু এত কর্মব্যস্ততার মধ্যে পুজোর দিনগুলির জন্য আলাদা সময় বের করেন কী ভাবে? তাঁর মতে, এই সময়টা চলে গেলে, আর আসবে না। তাই দুর্গাপুজোর সময়টা একটু আলাদা রাখতে চান তিনি।
তবে আনন্দ-উৎসব-সম্পর্কের মিলনমেলার মধ্যেও ঋতুপর্ণা ভোলেননি যে বিশ্বের একাংশে এখন বড় অশান্তি চলছে। নির্দিষ্ট করে বললে, যুদ্ধ চলছে। তাই মাতৃমূর্তির কাছে তাঁর প্রার্থনা, 'যুদ্ধ থামুক। পৃথিবীকে একটু শান্তি নেমে আসুক।' আর নিজের জন্য? 'মাকে বললাম, আমাকে আরও কিছুটা শক্তি দিন যাতে আরও ভাল কাজ করতে পারি, মানুষের জন্য কিছু ভাল ভাল কাজ করতে পারি।' তাঁর কাজ যেন কালজয়ী হয়ে থেকে যেতে পারে, মাতৃমূর্তির সামনে সেই আবেদনও করেছেন ঋতুপর্ণা।
ভিড় বেলুড় মঠে...
তারকা থেকে সাধারণ মানুষ, মহাষ্টমীতে আজ সকলেই নানা মণ্ডপে ভিড় জমিয়েছেন। প্রত্যেক বছরের মতো এ বছরও অষ্টমীর পুজোয় বেলুড় মঠে উপচে পড়ল ভিড়। এবারও তার অন্যথা হয়নি। কুমারী পুজো শেষের পরেই বেলুড় মঠে ভোগ খাওয়ার জন্য দীর্ঘ লাইন তৈরি হয়েছে। বেলুড় মঠে কুমারী পুজো শুরু হয়েছিল ৯টায়। নির্দিষ্ট সময় পরে তা শেষও হয়। কুমারী পুজো শেষ হওয়ার পর ভোগের জন্য ভক্তদের দীর্ঘ লাইন তৈরি হয়ে যায়। মঠের ভোগে ছিল খিচুড়ি, সঙ্গে সবজি এবং ভাজা। রয়েছে বোঁদে।
আরও পড়ুন:কুণাল ঘোষের পাড়ার পুজোয় অঞ্জলি রাজ্যপালের, হল আলাপচারিতাও