(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Duttapukur Incident : 'বাজির কারখানা'য় তরল রাসায়নিক, স্টোনচিপ, অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি, কী তৈরি হত? কী বলছেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা?
Duttapukur Blast : প্রশ্ন উঠছে, এই তরল রাসায়নিক ও স্টোনচিপ দিয়ে আসলে কী তৈরি হত? স্থানীয়দের কেউ কেউ বলছেন, এখানে বোমা তৈরি হত।
পার্থপ্রতিম ঘোষ, সন্দীপ সরকার, অর্ণব মুখোপাধ্য়ায়, কলকাতা : বাজি কারখানা না বোমার গবেষণাগার? অত্য়াধুনিক মেশিন, প্রচুর পরিমানে সলিড ও লিক্য়ুইড রাসায়নিক, কী নেই সেখানে ? দত্তপুকুরে ছবি দেখে চোখ কপালে উঠছে সকলের। ইটভাটার আড়ালে এ যেন হাই-এন্ড রিসার্চ ল্যাব। এতে রয়েছে টেস্টটিউব, কনিক্যাল ফ্লাস্ক, গ্লাভস, হেলমেট। বাজি তৈরির সঙ্গে এগুলোর সম্পর্ক কী, সেটাই বুঝে পাচ্ছেন না কেউই। স্থানীয়দের মুখে উঠে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। যা পরতে পরতে তৈরি করছে রহস্য।
কারখানায় শিল্ড লাগানো সেফটি হেলমেট। কী নেই? এছবি দেখে খোদ বিশেষজ্ঞরাই আঁতকে উঠছেন! বিস্ময়ের সুরে প্রশ্ন তুলছেন, বাজি তৈরিতে এসব আদৌ লাগে নাকি? তবে কি বাজির আড়ালে তৈরি হত অন্য় কিছু? ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ সোমনাথ দাস জানাচ্ছেন, এইসব ফেস শিল্ড ব্যবহার করা হয় কেমিক্য়াল ল্যাবে। যেখানে ধোঁয়া তৈরির সম্ভাবনা, যা শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর। এই কারখানায় এমন কেমিক্যাল নিয়ে কাজ হচ্ছিল তা অত্যন্ত corrosive।
দত্তপুকুরের মোচপোলে যেখানে ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়েছে, তার থেকে মাত্র ৬৫০ মিটার দূরে, বেরো নারায়ণপুরে রয়েছে একটি পরিত্য়ক্ত ইটভাটা। রাস্তার উপরেই প্রায় ১০ বিঘা জমি জুড়ে বিরাট কর্মকাণ্ড! রবিবার ঘটনার পরপরই সেখানে পৌঁছয় এবিপি আনন্দ! সেখানেও দেখে যায়, ছোট বড় বিভিন্ন মাপের বিকারের মধ্য়ে রয়েছে রাসায়নিক। তা সারি দিয়ে সাজানো। । গায়ে লেখা মেড ইন জার্মানি। তার মধ্য়ে অদ্ভূত গন্ধের তরল। যাতে হাত দিয়ে ব্য়বহার না করা হয়, তাই সেখানে রয়েছে গ্লাভস। এক একটা টেবিল যেন এক একটা পরীক্ষার জায়গা। কাচের গায়ে পরিমাপ দেওয়া। পরিমাপের জন্য় বড় আকারের সিরিঞ্জ রাখা। কোথাও টেস্টটিউব রাখা। প্রশ্ন জাগবেই, সেটি কারখানা নাকি রসায়নাগার? কী প্রয়োজনে তৈরি এই ল্যাব?
ফ্য়াক্টরির তিনটি পৃথক বিল্ডিং। একটা মেন বিল্ডিং। যেখানে ল্য়াবরেটরির মতো সেট আপ, অত্য়াধুনিক সব যন্ত্রপাতি, মেশিন। তার থেকে কয়েকশো মিটার দূরে আরেকটা বিল্ডিং। যেখানে লিকুইড রাসায়নিক মজুত করা হত। এর থেকেও কয়েক শো মিটার দূরে বারুদ বা অন্য় সলিড বিস্ফোরক তৈরির মশলা মজুত থাকত। বিশেষজ্ঞরাই বলছেন, বাজি তৈরিতে মূলত লাগে ফসফরাস, সালফার, পটাশিয়াম নাইট্রেট, চারকোল। লিক্যুইড কম্পোনেন্টের প্রয়োজন পড়ে না। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এগরাকাণ্ডে প্রথমে বাজির কথা উঠে এলেও, মূল অভিযুক্তের পরিবারের কথাতেই উঠে আসে বোমা তৈরির কথা। এবার ল্য়াবরেটরি রহস্য় কি শেষ অবধি উন্মোচিত হবে?