DYFI Insaf Yatra: পরনে ভারতীয় ক্রিকেট দলের জার্সি, DYFI-এর ইনসাফ যাত্রায় বিশ্বকাপের আঁচ
Murshidabad News: রসুলপুরে সবাই মিলে খেলা দেখার পর, কাল খড়গ্রাম থেকে বীরভূমের পথে রওনা দেবেন DYFI-এর নেতা, কর্মীরা।
রাজীব চৌধুরী, মুর্শিদাবাদ: DYFI-এর ইনসাফ যাত্রায় বিশ্বকাপের (World Cup 2023) আঁচ। ১৭ তম দিনে আজ মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি থেকে ভারতীয় ক্রিকেট দলের জার্সি পরে মীনাক্ষী মুুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে পদযাত্রায় সামিল হয়েছেন সিপিএমের যুব সংগঠনের নেতা, কর্মীরা।
ইনসাফ যাত্রায় বিশ্বকাপের আঁচ: লোকসভা ভোটের আগে একদিকে রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে রাজ্যজুড়ে তল্লাশি চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। পুরসভায় নিয়োগ থেকে শুরু করে স্কুলে নিয়োগে দুর্নীতির তদন্তেও তৎপর ইডি-সিবিআই। এই আবহে, শূন্যপদে নিয়োগ, শিক্ষা, দুর্নীতি বন্ধ এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দাবিতে পথে নেমেছে সিপিএমের যুব সংগঠন। ৩ নভেম্বর, কোচবিহার থেকে শুরু হয়েছে DYFI-এর ইনসাফ যাত্রা। যা শেষ হবে ২০২৪-এর ৭ জানুয়ারি। সেদিনই ব্রিগেডে সমাবেশ করবে DYFI। ২ হাজার কিলোমিটারেরও বেশি হাঁটবেন বাম যুব সংগঠনের কর্মী সমর্থকরা। ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গের জেলাগুলি হেঁটে মুর্শিদাবাদ পৌঁছে গিয়েছে এই পদযাত্রা।
আর বিশ্বকাপের ফাইনালে একেবারে অন্য মেজাজ ছিল সিপিএমের যুব সংগঠনের এই মিছিলের। গলায় স্লোগান, হাতে পতাকা আর পরনে ভারতীয় ক্রিকেট দলের জার্সি। এভাবেই এদিন পথযাত্রায় সামিল হলেন তাঁরা। নবগ্রাম ছুঁয়ে ৯ কিলোমিটার হেঁটে খড়গ্রামে শেষ হবে DYFI-এর ইনসাফ যাত্রা। বিশ্বকাপ ফাইনালের জন্য দুপুরের পর ইনসাফ যাত্রায় সাময়িক বিরতি। রসুলপুরে সবাই মিলে খেলা দেখার পর, কাল খড়গ্রাম থেকে বীরভূমের পথে রওনা দেবেন DYFI-এর নেতা, কর্মীরা।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে. ভারত জোড়ো যাত্রা করে বিপুল সাড়া পেয়েছেন রাহুল গাঁধী। যার অংশ হিসেবে এরাজ্য়েও দীর্ঘ পথ হেঁটেছেন অধীর চৌধুরীরা। পঞ্চায়েত ভোটের আগে নবজোয়ার যাত্রা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এবার লোকসভা ভোটের আগে ইনসাফ যাত্রা কর্মসূচি নিয়ে পথে নেমেছে সিপিএমের যুব সংগঠন। তবে, এই জনসংযোগ ভোটবাক্সে কতটা ডিভিডেন্ড দেবে তা সময়ই বলবে। প্রসঙ্গত, অতীতে একাধিকবার ব্রিগেড সমাবেশ করেছে সিপিএমের যুব সংগঠন। তবে তা হয়েছে রাজ্যে বাম সরকারের আমলে। কিন্তু বর্তমানে লোকসভায় এ রাজ্য থেকে সিপিএমের আসন সংখ্যা শূন্য। বিধানসভাতেও খাতা খুলতে পারেনি বামেরা। প্রশ্ন উঠেছিল, এই পরিস্থিতিতে গোটা রাজ্যজুড়ে এত বড় কর্মসূচি করার মতো সাংগঠনিক শক্তি রয়েছে তো তাদের? কর্মসূচি চলাকালীন যাঁরা মিছিলে হাঁটছেন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তাঁরা কর্মীদের বাড়িতেই থাকছেন।
আরও পড়ুন: Khardah Body Recover: একই পরিবারের ৪ জনের পচাগলা দেহ উদ্ধার, খড়দায় চাঞ্চল্য