(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
East Burdwan: ভাতারে মহিলা চিকিৎসককে হুমকি, চাকরি থেকে বরখাস্ত অভিযুক্ত
Civic Volunteer Arrest: অভিযোগ, শুক্রবার রাতে মত্ত অবস্থায় পূর্ব বর্ধমানের ভাতার স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ঢুকে কর্তব্যরত মহিলা চিকিৎসককে হুমকি দিয়েছিলেন সিভিক ভলান্টিয়ার সুশান্ত রায়।
কমলকৃষ্ণ দে, পূর্ব বর্ধমান: ভাতার স্টেট জেনারেল হাসপাতালে (Bhatar State General Hospital) ঢুকে মহিলা চিকিৎসককে হুমকি-কাণ্ডে এবার চাকরি হারালেন অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার। স্বামীর গ্রেফতারির পরই ছেলেকে নিয়ে বাড়ি ছেড়েছেন ধৃতের স্ত্রী। মত্ত অবস্থাতে হাসপাতালে ঢুকে ওই কীর্তি করেছে ছেলে, মনে করছেন বাবা। ধৃতের ৫ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে বর্ধমান জেলা আদালত।
এবার চাকরি হারালেন অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার: অভিযোগ, শুক্রবার রাতে মত্ত অবস্থায় পূর্ব বর্ধমানের ভাতার স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ঢুকে কর্তব্যরত মহিলা চিকিৎসককে হুমকি দিয়েছিলেন সিভিক ভলান্টিয়ার সুশান্ত রায়। ভাতার থানা অভিযোগ দায়েরের পর, শনিবারই গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ ঘিরে তোলপাড়ের মধ্যেই ভাতারের এই ঘটনা ঘিরে শোরগোল পড়ে যায়। রবিবার দেখা গেল, ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরেই মাধপুর গ্রামে ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারের বাড়িতে ঝুলছে তালা। স্ত্রী-ছেলেকে নিয়ে এই বাড়িতেই থাকতেন অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার সুশান্ত রায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, স্বামীর গ্রেফতারির পরেই বাড়ি ছেড়েছেন তাঁরা।
এদিকে সিভিক ভলান্টিয়ারের হুমকি-কাণ্ডের পর নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে ভাতার স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। অভিযোগ, শুক্রবার মাঝরাতে এই হাসপাতালে ঢুকেই কর্তব্যরত মহিলা চিকিৎসকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন সিভিক ভলান্টিয়ার সুশান্ত রায়। আরজি কর মেডিক্যালে নারকীয় কাণ্ডে তোলপাড়ের মধ্যে ফের কাঠগড়ায় আরেক সিভিক ভলান্টিয়ার। গ্রেফতারির পর এবার চাকরি হারালেন অভিযুক্ত। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার সুশান্ত রায়কে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পূর্ব বর্ধমান জেলার পুলিশ সুপার। ধৃতকে ৫ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে বর্ধমান জেলা আদালত।
এদিকে আরজি কর কাণ্ডের প্রেক্ষিতে মহিলাদের সুরক্ষায় বাড়তি নজর দিতে ১৫ দফা নির্দেশিকা জারি করলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার। বিশেষ করে পুলিশ বাহিনী, সিভিক ভলান্টিয়ার বা ভিলেজ পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করতে বলা হয়েছে। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, অপরাধপ্রবণ এলাকা চিহ্নিত করে পুলিশি নজরদারি বাড়াতে হবে। শপিং মল, বাজার, এ ধরনের স্পর্শকাতর এলাকা CC ক্যামেরা দিয়ে মুড়ে ফেলা প্রয়োজন। সরকারি হাসপাতাল, হোম, মহিলাদের হস্টেলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। মহিলা চিকিৎসক, স্কুল-কলেজের ছাত্রীদের সঙ্গে পুলিশের সংযোগ স্থাপন জরুরি। এক্ষেত্রে মহিলা পুলিশের সাহায্য নিতে হবে। মহিলা পুলিশের উইনার টিমকে সাদা পোশাকে টহলদারি চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।