R G Kar Hospital: প্রথম স্ত্রীর উপর অত্যাচার, দেখত না মাকে, আরজি কর কাণ্ডে ধৃতের 'গুণের' কথা তাঁরই পরিজনদের মুখে
Kolkata News: বিরুদ্ধে দিকে দিকে নিন্দার ঝড়। এমনকী ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়ের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন তাঁরই পরিবারের সদস্য়রা।
কলকাতা: আরজি করে চিকিৎসক খুনে ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারের 'গুণের' কথা এবার উঠে এল তারই পরিজনদের মুখে। অভিযোগ, বাড়ির সঙ্গে সম্পর্ক রাখত না সে। দেখত না মাকে। স্ত্রীর ওপরও মারাত্মক অত্য়াচার করত বলে অভিযোগ। প্রথম স্ত্রীর গর্ভাবস্থায় সন্তানের মৃত্য়ুর জন্য় সঞ্জয়কেই দায়ী করেছেন তাঁর প্রাক্তন শাশুড়ি।
কী জানাচ্ছেন পরিজনরা?
বিরুদ্ধে দিকে দিকে নিন্দার ঝড়। এমনকী ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়ের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন তাঁরই পরিবারের সদস্য়রা। পরিবার সূত্রে খবর, সঞ্জয়ের বাবা, ট্য়াক্সি চালাতেন। ভবানীপুর এলাকায় বেড়ে ওঠা সঞ্জয় ও তাঁর ৪ বোনের। ২০১৯ সালে, সিভিক ভলান্টিয়ারের চাকরি পায় সঞ্জয়। যোগ দেয়, কলকাতা পুলিশের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীতে।
পরিবার সূত্রে খবর, ক্য়ানসারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্য়ু হয়, সঞ্জয়ের প্রথম স্ত্রীর। এরপর আরও তিনটি বিয়ে করে সঞ্জয়। ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারের দিদি জানিয়েছেন, "হ্য়াঁ, বিবাহিত। আমি তো শুনেছিলাম ২ টো। কিন্তু কালকে যখন সবাই কথাবার্তা বলছে, তখন জানতে পারছি ৪টে বিয়ে হয়েছে।'' কিন্তু, সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্য়কর দাবি করেছেন তার প্রথম স্ত্রীর মা, অর্থাৎ প্রাক্তন শাশুড়ি। তাঁর অভিযোগ, "বিয়ের আগে ছেলে মদ খেত। ওই বদমাইশি, মারধর, গালিগালাজ যা তা। মেয়ের ওপর অত্য়াচার করত। তারপরে তো থানায় ডায়েরি করলাম। ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারের শ্বাশুড়ি: মেয়ের কিছু না যা ওখানটায় ওরা মেরেছে। ওরা মারার পরে আমি এখানটায় তিন মাস বাচ্চা ছিল খারাপ হয়ে গেল। মারার পর এখানটায় আমি আনলাম ওকে। চিকিৎসা করালাম। পরে আবার গেল তখন ক্য়ান্সার বেরোল। এখানটায় এসে যখন অত্য়াচার করল তখন বুঝতে পারলাম এরকম ঘটনা ঘটাচ্ছে। আগে তো এরকম করছিল না। নেশা করে আসত। নেশা করত কম। কিন্তু, নেশার মতো কথা বলত।''
ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়ের দিদি বলেন, ওকে কঠোর থেকে কঠোর শাস্তি দিতে চাইলে আপনারা দিন, যা ইচ্ছে করুন। কিন্তু ওর দেহ পর্যন্ত দেবেন না। এটা তো মেনে নেওয়া যায় না। অন্য়ায় তো অন্য়ায়ই হয়। সেটা আমার ভাই থাকুক, যেই থাকুক। ভুল কাজ তো ভুল কাজই হয়। সেটা তো সাপোর্ট করি না। আমি সেটাও জানি না, ও কী কাজ করে। শুধু একদিন জানলাম, আশেপাশে থেকে জানলাম, আমি নিজেও জানি না। ও নিজের মর্জির মালিক ছিল। কখন কী করত, কাউকে বলত না। ঘরে যদি কেউ জিজ্ঞেস করলে, তর্ক করত। কিছু বলেনি ও। কখন পেল, কীভাবে পেল। ওর শাস্তি হওয়া চাই। কঠোর থেকে কঠোর শাস্তি হওয়া চাই।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।