Abhijit Banerjee: বাঙালি নোবেলজয়ীর হাত ধরে বাংলার তাঁত বিশ্বের দরবারে !
Abhijit Banerjee on Bengal Handloom: বাংলার তাঁতকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে কাজ শুরু করলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাণা দাস,পূর্ব বর্ধমান: বাংলার তাঁতকে (Handloom) বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে কাজ শুরু করলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhijit Binayak Banerjee)। পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামের বেনীনগর গ্রামের উত্তর ও মধ্যপাড়ায় বিভিন্ন তাঁতশিল্পীদের পরিবারের সঙ্গে কথা বললেন। তাদের কাজও দেখলেন। হস্তচালিত তাঁতের দুর্দশার কথা অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানিয়েছেন বলে জানালেন গ্রামের তাঁতশিল্পীরা (Handloom Artist) ।
'বাংলার তাঁতশিল্পকে পৃথিবীর সামনে তুলে ধরতেই এই কাজ শুরু করেছি'
অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, 'বাংলার ঐতিহ্যবাহী তাঁতশিল্পকে পৃথিবীর সামনে তুলে ধরতেই এই কাজ শুরু করেছি। বছর দুয়েক আগের কথা। ফ্রান্সের প্যারিসে একটি সম্মাননা অনুষ্ঠানে নোবেলজয়ী অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সংগঠনের তরফ থেকে বাংলার তৈরি তাঁতবস্ত্রের জামা উপহার দিয়েছিল। উপহারের জামা পেয়ে অভিজিৎ বাবু এতটাই আপ্লুত হন যে জামার কাপড়ের উৎপত্তিস্থলের সুলুক সন্ধান জানতে চায়। কর্তৃপক্ষের তরফে অভিজিৎ বাবুকে জানানো হয় এই জামার কাপড় বাংলার কেতুগ্রামের বেনীনগর গ্রামে তৈরি করা। সেই কথা শোনার পরই অভিজিৎ বাবু তাঁতকাপড় তৈরির কাজ দেখতে বেনীনগর গ্রামের সুব্রত সিংহরায়ের বাড়ি আসেন।
বাংলার তাঁতবস্ত্রের গুণমান
বিদেশে তাঁতকাপড় সরবরাহকারী বাসুদেব সিংহরায় বলেন, অভিজিৎ বাবু আমাদের কাছে এই নিয়ে দুবার এলেন। ২০২১ সালে এসেছিলেন, আবার আজ এসেছেন। তাঁতশিল্পীদের বস্ত্র তৈরির ছোট ছোট কৌশলের কথা জানলেন। সুতোর 'ব' বা 'টান' নিয়ে কৌতুহল দেখালেন। নোবেলজয়ী অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে এদিন বেনীনগর গ্রামে এসেছেন চিত্র পরিচালক রানু ঘোষ, ফ্যাশান ডিজাইনার সুকেশ ধীর এবং অ্যানিমেটর সেইয়েন অলিভিয়া। রানু ঘোষ ও সেইয়েন আলিভিয়া বাংলার তাঁত কাপড়ের তৈরির পদ্ধতি দেখে খুবই উচ্ছসিত। বাংলার তাঁতবস্ত্রের গুণমান নিয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের কৌতুহল আছে।
আরও পড়ুন, 'ছাত্রদের মধ্যে ভারতবিরোধী মানসিকতা তৈরির চেষ্টা', 'আজাদ কাশ্মীর' ইস্যুতে বিস্ফোরক দিলীপ
বাংলার তাঁতশিল্প নিয়ে গবেষণালব্ধ 'তথ্যচিত্র' তৈরি হবে
রানু ঘোষ বলেন, বাংলার তাঁতশিল্প নিয়ে গবেষণালব্ধ 'তথ্যচিত্র' তৈরি করা হবে। মুলত বাংলার তাঁতশিল্প এবং শিল্পীদের উন্নয়ন করতেই বাংলার প্রত্যন্ত গ্রামে এসেছেন বলে মনে করেন রপ্তানিকারক ব্যবসায়ী বাসুদেব সিংহরায়। অতি সাধারণ ভাবেই গ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গে মিশে কথা বললেন অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁতশিল্পের দুর্দশার কথাও দুর্দশার কথাও মনোযোগ দিয়ে শুনলেন অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়কে।