Digha: দিঘায় বেড়াতে গিয়ে আচমকা মৃত্যু পর্যটক যুবকের
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার আত্মীয়সজনদের সঙ্গে বেড়াতে যান তিনি। শনিবার দুপুরে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে একটি রেস্তোরাঁয় খেতে গিয়েছিলেন সৌম্যদীপ।
ঋত্বিক প্রধান, কলকাতা: সপরিবারে আনন্দ করতে দিঘা (Digha) বেড়াতে গিয়েছিলেন বছর একুশের যুবক। কিন্তু আনন্দ উপভোগ করতে গিয়ে জীবিত অবস্থায় তাঁর আর বাড়ি ফেরা হল না। শনিবার দুপুর নাগাদ দিঘা স্টেট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হল ওই পর্যটক যুবকের। কীভাবে ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে, তা অবশ্য এখনও স্পষ্ট করে জানাতে পারেননি দিঘা স্টেট জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসকরা।
সূত্রের খবর, শুক্রবার সপরিবারে দিঘা ভ্রমণে গিয়েছিলেন কলকাতার বেহালা থানা এলাকার একুশ বছরের বাসিন্দা সৌম্যদীপ শিকদার। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার আত্মীয়সজনদের সঙ্গে বেড়াতে যান তিনি। শনিবার দুপুরে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে একটি রেস্তোরাঁয় খেতে গিয়েছিলেন সৌম্যদীপ। ওল্ড দিঘায় তাঁরা যে হোটেলে উঠেছিলেন, তারই নিচে একটি রেস্তোরাঁতে খেতে যান তাঁরা। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে খাওয়া দাওয়ার পর তিনি হোটেলের ঘরে চলে চলে গিয়েছিলেন। কিছুক্ষণ বাদেই তাঁকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় হোটেলের ছাদ থেকে উদ্ধার করেন পরিবারের সদস্যরা। হোটেলেই প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে দিঘা স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
আরও পড়ুন - East Midnapore: দিঘা মোহনায় ধরা পড়ল তেলিয়া ভোলা, দাম ছুঁল প্রায় ১ কোটি
মৃত যুবক সৌম্যদীপ শিকদারের মাসি সুস্মিতা মজুমদার ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, 'এমনিতেই ওর অ্যালার্জির সমস্যা রয়েছে। সৌম্য আমাদের সঙ্গে এদিন ডিম দিয়ে ভাত খায়। পরে কাঁকড়া খেতেও রাজি হয়। আমাদের খাওয়া শেষ হয়ে যাওয়ার আগেই ও হোটেলের ছাদে আমাদের ঘরে চলে গিয়েছিল। আমরা খাওয়া দাওয়া শেষ করে কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘরে ফিরে গেলে ছাদে ওকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় দেখতে পাই। কী যে হল ওর তা আমরাও বুঝতে পারিনি। সেই সময় হোটেল কর্মীদের সহযোগিতায় প্রাথমিক চিকিৎসার চেষ্টা করি। কিন্তু ওর শারীরিক অবস্থা ঠিক না হওয়ায় পরে দিঘা স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ওকে ভর্তিও করা হয়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই চিকিৎসকরা ওকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।' ঠিক কী কারণে যুবকের মৃত্যু হয়েছে, তা যদিও এখনও স্পষ্ট করে জানাতে পারেননি চিকিৎসকরা। কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হলেও এখনও পর্যন্ত তার রিপোর্ট আসেনি।