Lok Sabha Poll 2024: ভোটের আগে নবান্নকে চিঠি, কমিশনের কোপে জেলা নির্বাচনী আধিকারিক
District Election Officer Transfer : নবান্নে এল জাতীয় নির্বাচন কমিশনের চিঠি, লোকসভা ভোটের আগে বদলি জেলা নির্বাচনী আধিকারিককে...
রাজীব চৌধুরী, মুর্শিদাবাদ: লোকসভা ভোটের আগে (Lok Sabha Election 2024) বদলি জেলা নির্বাচনী আধিকারিক।নির্বাচন কমিশনের কোপে মুর্শিদাবাদের জেলা নির্বাচনী আধিকারিক (ওসি ইলেকশন) সহ চার আধিকারিক। বদলি করে দেওয়া হল মুর্শিদাবাদের ওসি ইলেকশন লিটন সাহাকে। জেলায় ডিস্ট্রিক্ট ইউথ অফিসারও ছিলেন তিনি। এছাড়াও বদলি করা হয়েছে মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের সেক্রেটারি রিজওয়ান ওয়াহাব, ডেপুটি ডিরেক্টর স্মল সেভিংস অভিষেক চক্রবর্তী, ডিএমডিসি লালবাগ সুব্রত কুমার বিশ্বাসকে।
শনিবার কলকাতায় সব জেলার পুলিশ সুপার ও জেলা শাসকদের সঙ্গে বৈঠক রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন অফিসারের (CEO)।একই দিনে নবান্নে এসেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের চিঠি। সেই চিঠিতেই দেওয়া হয়েছে আধিকারিকদের নিয়ে কড়া হুঁশিয়ারি। নির্বাচন কমিশনের নিয়ম, ৩ বছরের বেশি একই জেলায় কাজ করা আধিকারিকদের করতে হবে বদলি। তবে কমিশনের নজরে এসেছে। সেই নিয়মের ফাঁক গলে আধিকারকদের পাঠানো হচ্ছে পাশের জেলায়।যে জেলার কোন লোকসভার এক অংশ আবার আধিকারিকদের পুরোনো জেলার মধ্যেই পড়ে। এই নির্দেশের গেরোয় পড়েছেন ওই আধিকারিকরা।
নির্বাচন কমিশনের নতুন নির্দেশের আগে বদলি হয়েছিল ওই সব আধিকারিকদের। বদলি হয়েছিল পাশের জেলায়। কিন্তু এমন লোকসভা কেন্দ্র রয়েছে যা ছড়িয়ে রয়েছে এই দুই জেলাতে। এই আধিকারিকরা মালদা ও মুর্শিদাবাদ জেলায় ছিলেন আগে । মালদা দক্ষিণ লোকসভার এক অংশ রয়েছে মুর্শিদাবাদ জেলায় আবার নদিয়ার করিমপুর বিধানসভা পড়ে মুর্শিদাবাদ লোকসভায়। এই নিয়মের জেরেই বদলি করা হচ্ছে আধিকারিকদের। প্রশাসন সূত্রের খবর, ৪ মার্চ রাজ্য আসবে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ। তাঁর আগে নির্বাচনের কমিশনের রোষের মুখে পড়তে হতে পারে বলেই ফের বদলি করা হল মুর্শিদাবাদের এই চার আধিকারিককে।
আরও পড়ুন, সন্দেশখালিকাণ্ডে ED-র ডেপুটি ডিরেক্টরকে ডেকে পাঠাল সিআইডি CID
প্রসঙ্গত, বুথ জ্যাম, ছাপ্পা ভোট রুখতে এবার AI প্রযুক্তির সাহায্য নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। চব্বিশের লোকসভা ভোটে যে সমস্ত বুথে ওয়েব কাস্ট হবে, সেখানে ব্যবহার করা হবে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স প্রযুক্তি। চলতি সপ্তাহে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে এই বিষয়ে দফায় দফায় বৈঠক হয়েছে। তারপরই ওয়েব কাস্টিং নিয়ে ই-টেন্ডার ডেকেছে নির্বাচন কমিশন। এর আগে শাসক-বিরোধী উভয়পক্ষই ওয়েব কাস্টিং নিয়ে নির্বাচন কমিশনের দিকে আঙুল তোলে। এবার AI প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে বুথ জ্যাম ও ছাপ্পা ভোট নিয়ে যাবতীয় অভিযোগের মোকাবিলা করা সম্ভব হবে বলে মনে করছে নির্বাচন কমিশন।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
and tablets