ED Raid Sandip Ghosh House : ভোর হতেই সন্দীপ ঘোষের বাড়িতে ইডি ! ঘিরে ফেললেন জওয়ানরা
RG Kar Case : ভোর ৬ টা ২৫ থেকে সেখানে অপেক্ষমান ইডির অধিকর্তারা। দরজা কেউ খুলছেনই না। ইডি অধিকর্তাদের সঙ্গে আছে সেন্ট্রাল ফোর্স।
আবির দত্ত, সত্যজিৎ বৈদ্য , কলকাতা : সিবিআইয়ের পর ইডি। আর জি কর হাসপাতালে আর্থিক দুর্নীতি মামলায় সক্রিয় আরেক কেন্দ্রীয় এজেন্সি। প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বেলেঘাটার বাড়িতে এবার ইডি অভিযান ! বাড়ি ঘিরে ফেললেন জওয়ানরা। ভোর ৬ টা ২৫ থেকে সেখানে অপেক্ষমান ইডির অধিকর্তারা। দরজা কেউ খুলছেনই না। ইডি অধিকর্তাদের সঙ্গে আছে সেন্ট্রাল ফোর্স।
সন্দীপ ঘোষকে এখন গ্রেফতার করেছে সিবিআই। তাই তিনি বাড়িতে নেই। এই ক্ষেত্রে বাড়ির লোকের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও, তার বাড়ির দরজা খোলেনি এখনও।
অন্যদিকে হাওড়ার সাঁকরাইলে ভেন্ডর বিপ্লব সিংহর বাড়িতেও তল্লাশি অভিযান করছে ইডিয আর জি কর মেডিক্যালে আর্থিক দুর্নীতি মামলায় সন্দীপ ঘোষ ও বিপ্লব সিংহকে আগেই পাকড়াও করেছে সিবিআই।
বিপ্লবের বাড়ির ঢিল ছোড়া দূরত্বে বিপ্লব-ঘনিষ্ঠ কৌশিক কোলের বাড়িতেও হানা দিয়েছে ইডি। প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ বিপ্লবের বিরুদ্ধে আর জি কর হাসপাতালে টেন্ডারে অনিয়ম থেকে শুরু করে নানারকম আর্থিক সুবিধা পাওয়ার অভিযোগ ওঠে। দুর্নীতির চক্রব্যূহে সন্দীপের পাশাপাশি, দুই ভেন্ডর বিপ্লব সিংহ, সুমন হাজরাও ছিলেন বলে আগেই দাবি করেছে সিবিআই।
এখন সিবিআই যখন আর্থিক অনিয়মের তদন্তে নেমে সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করেছে, তখন সামনে আসছে তার প্রভাব-প্রতিপত্তির একাধিক উদাহরণ। গত ২৫ অগাস্ট, সন্দীপ ঘোষের এই বেলেঘাটার বাড়িতেই তল্লাশি চালায় CBI। আলিপুরের বিশেষ CBI আদালতে জমা দেওয়া রিপোর্টে কেন্দ্রীয় এজেন্সি দাবি করেছে, ভেন্ডারদের বিভিন্ন কাজের বরাত দেওয়া নিয়ে সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে যে অভিযোগ জমা পড়েছিল, সেই সংক্রান্ত আসল নথি ও প্রতিলিপি উদ্ধার হয়েছে সন্দীপ ঘোষের বাড়ি থেকেই! অর্থাৎ যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ তাঁর বাড়িতেই অভিযোগের সব ফাইল ছিল! আদালতে জমা দেওয়া রিপোর্টে CBI আরও দাবি করেছে, সন্দীপ ঘোষ আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে অধ্যক্ষ থাকাকালীন, ২০২২ ও ২৩ সালে নিয়ম না মেনে ৮৪ জন MBBS হাউস স্টাফ নিয়োগ করা হয়।
পাশাপাশি, সিবিআইয়ের রিপোর্টে উঠে এসেছে আরও একজনের নাম। কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবি, প্রভাবশালী-যোগে এই ব্যক্তিকেও আর জি কর হাসপাতালে ক্যাফে চালানোর বরাত পাইয়ে দেওয়া হয়। কোন কোন প্রভাবশালীর সঙ্গে যোগাযোগ ছিল ওই ব্যক্তির? খতিয়ে দেখছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।
আরও পড়ুন: Dev on Kanchan Mallick: এই কাঞ্চন মল্লিককে চিনি না, ওঁর বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইছি: দেব
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।