Jharkhand Cash Scam: ১ বছর আগে থেকে সরকার ফেলার চক্রান্ত ঝাড়খণ্ডে, নয়া চাঞ্চল্যকর দাবি সিআইডি সূত্রে
New Information From CID Investigation: ঝাড়খণ্ডে সরকার ফেলার চক্রান্ত চলছিল ১ বছর আগে থেকে, তথ্য সিআইডি তদন্তে। সূত্রের খবর, অভিযোগকারী কংগ্রেস বিধায়ক কুমার জয়মঙ্গলকে বছরখানেক আগেই টোপ দেওয়া হয়।
পার্থপ্রতিম ঘোষ, ঝাড়খণ্ড: ঝাড়খণ্ডে (jharkhand) সরকার (government) ফেলার (topple) চক্রান্ত চলছিল অন্তত বছরখানেক আগে থেকে, চাঞ্চল্যকর তথ্য সিআইডি (CID) তদন্তে। সূত্রের খবর, অভিযোগকারী কংগ্রেস (congress) বিধায়ক কুমার জয়মঙ্গলকে বছরখানেক আগেই টাকার টোপ দেওয়া হয়। বলা হয়েছিল, কংগ্রেস ছেড়ে অন্য দলে যোগ দিতে। স্বয়ং জয়মঙ্গলকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই এই তথ্য জানা গিয়েছে, দাবি সিআইডি সূত্রে। সেক্ষেত্রে ঝাড়খণ্ডে সরকার ফেলার চক্রান্ত যে অন্তত বছরখানেক আগে থেকে চলছিল, সেটা প্রায় স্পষ্ট বলে ধারণা তদন্তকারীদের।
নতুন যা জানা গেল...
সূত্রের খবর, সিআইডি তদন্তে আরও কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য় সামনে এসেছে। যেমন, টাকা উদ্ধারের ঘটনায় সন্দেহের নিশানায় থাকা কলকাতার ব্যবসায়ী মহেন্দ্র আগরওয়াল জেরায় জানিয়েছেন গত ৩০ জুলাই সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ তাঁর কাছে লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়ে ফোন আসে। সিআইডি-র দাবি, অসম থেকে নয়, মহেন্দ্রর কাছে ফোন এসেছিল অন্য রাজ্য থেকে। কিন্তু লেনদেনের নির্দেশ গিয়েছিল গুয়াহাটি থেকেই, জেনেছে সিআইডি। সূত্রের খবর, সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে জানা গিয়েছে ঝাড়খণ্ডের ৩ বিধায়কের সঙ্গী প্রতীক কুমার গত ৩০ জুলাই দুপুর সাড়ে ৩টে নাগাদ মহেন্দ্র আগরওয়ালের বিকানের বিল্ডিংয়ের অফিসে টাকা নেওয়ার জন্য আসেন। আপাতত ঝাড়খণ্ড যুব কংগ্রেসের ওই নেতা প্রতীকও সিআইডি হেফাজতে। সিআইডি সূত্রে আরও জানা যায়, মহেন্দ্রর অফিস থেকে ছেঁড়া চেক উদ্ধার হয়েছে। যা হাওয়ালা-যোগের প্রামাণ্য নথি হতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। গত কাল ওই ব্যবসায়ী এবং তাঁর সংস্থার ২ কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারীরা। সব মিলিয়ে ক্রমেই জটিল তদন্তের জাল।
যা ঘটেছে...
গত ৩০ জুলাই ঝাড়খণ্ডের ৩ কংগ্রেস বিধায়কের গাড়ি থেকে ৪৯ লক্ষ টাকা উদ্ধার হলে তাঁদের গ্রেফতার করে হাওড়া গ্রামীণ পুলিশ। পরে তদন্তভার সিআইডি-র হাতে যায়। তদন্তের সূত্র ধরে বিকানের বিল্ডিং ও ব্যবসায়ী মহেন্দ্র আগরওয়ালের হদিশ মেলে। লালবাজারের কাছে ওই বিল্ডিংয়ে তল্লাশি চালিয়ে ৩ লক্ষেরও বেশি টাকা ও আড়াইশো রুপোর কয়েন উদ্ধার করে সিআইডি। তবে বেশ কিছু দিন ফেরার ছিলেন ওই ব্যবসায়ী। গত ৩ আগস্ট ইএম বাইপাসে আটক করা হয় ব্যবসায়ীকে। শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ। এর পরই একের পর এক তথ্য সামনে আসতে থাকে। সূত্রের খবর, মহেন্দ্রর অফিস থেকেই ৪৯ লক্ষ টাকা ঝাড়খণ্ডের বিধায়কদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল। গোটা ঘটনায় বড় চক্র সক্রিয় বলে ধারণা তদন্তকারীদের। জোরাল হাওয়ালা যোগের সম্ভাবনাও।
আরও পড়ুন:ইতিহাস গড়বেন হরমনপ্রীতরা? আজ কমনওয়েলথে কোন কোন ইভেন্টে নামছে ভারত?