Exclusive: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যতদিন আছেন, ততদিন আছি: পার্থ চট্টোপাধ্যায়
মমতার নেতৃত্ব নিয়ে এবিপি আনন্দকে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে চালাচ্ছেন, দীর্ঘদিনের ইতিহাস তৈরি করবেন। মমতার পর কে নেতা হবেন, তা মমতা যতক্ষণ আছেন, বলতে পারছি না।’
কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা: এসএসসি-তে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। দল নিয়ে এবিপি আনন্দে (ABP Ananda) বিস্ফোরক পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। ‘আমার নাম দুর্নীতিতে জড়ায়নি, চেষ্টা করেও পারবেন না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যতদিন আছেন, ততদিন আছি।’ এবিপি আনন্দকে এমনটাই বললেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এদিন তিনি আরও বলেন, 'আমি যতদিন ছিলাম, দুর্নীতির অভিযোগ আসেনি। আমাদের দলের কোন বিজ্ঞ কী বলল, তা নিয়ে কিছু বলব না।কার সময় হয়েছে, এটাতে আমি বিশ্বাসী নই।’ তাহলে কি নাম না করেই কুণাল ঘোষকে বার্তা দিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়? মন্তব্যে ইতিমধ্যেই জল্পনা ছড়িয়েছে।
গতকালই পার্থকে 'ছেঁটে' তৃণমূলের শৃঙ্খলা কমিটির মাথায় বসানো হয় সুব্রত বক্সিকে। তৃণমূলের নতুন শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির (TMC Disciplinary Committee) চেয়ারম্যান হন সুব্রত বক্সি (Subrata Bakshi)। পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chatterjee) সরিয়ে শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান করেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার রাজ্য কমিটির বৈঠকে একগুচ্ছ নয়া বিধি-নিয়মও বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
তৃণমূলের নয়াভবনে বৃহস্পতিবার রাজ্য কমিটির বৈঠক বসে। তাতে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়র (Mamata Banerjee) সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। সেখানেই শৃঙ্খলাকমিটির মাথায় রদবদল করা হয়। একই সঙ্গে জানিয়ে দেওয়া হয় যে, তাঁকে না জানিয়ে শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির কোনও বৈঠক করা যাবে না। মমতা নিজে এই নির্দেশ দেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) নিয়ে ইঙ্গিতবাহী মন্তব্য করেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। বলেন, ‘অভিষেক তরুণ প্রজন্মের শ্রেষ্ঠ নেতা। তবে মমতাকে (Mamata Banerjee) সামনে রেখে তুলনা করা যায় না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই আমাদের মুখ্যমন্ত্রী। কে মুখ্যমন্ত্রী হবেন, এই মুহূর্তে তা ভাবতেই পারছি না। অভিষেক তো বলেছে, ২০ বছর সরকার নিয়ে ভাববে না। তারপরও কেন লোকে বলে জানি না।’
সম্প্রতি তৃণমূলের মুখপাত্র তথা রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ নেটমাধ্যমে লম্বা পোস্ট করে জানান, মমতার পর বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসবেন অভিষেক। কুণাল লেখেন, 'তৃণমূল কংগ্রেসের এক সৈনিক হিসেবে বলতে পারি, ২০৩৬ সাল পর্যন্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন মমতাদি। আর সেই ২০৩৬ সালে তিনি অভিভাবকের মত উপস্থিত থাকবেন এমন অনুষ্ঠানে, যেখানে মুখ্যমন্ত্রীর পদে শপথ নেবেন অভিষেক।' এই ঘটনার একদিন পরেই সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন, আরামবাগের তৃণমূল (TMC) সাংসদ অপরূপা পোদ্দারকে (Aparupa Poddar)।
লেখেন, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) প্রধানমন্ত্রী পদে দেখতে চেয়ে তদ্বির করতে দেখা গেল তিনি জানিয়েছেন, ২০২৪ সালে মমতাকে সঙ্ঘ মনোনীত রাষ্ট্রপতির থেকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে দেখতে চান। বাংলায় তাঁর শূন্যস্থান পূরণ করতে দেখতে চান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee), যেখানে 'বিজেপি-র গোবর্ধন' জগদীপ ধনকড়ের থেকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন তিনি।
এদিন এ প্রসঙ্গেও মন্তব্য করেন পার্থ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্ব নিয়ে এবিপি আনন্দকে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে চালাচ্ছেন, দীর্ঘদিনের ইতিহাস তৈরি করবেন। মমতার পর কে নেতা হবেন, তা মমতা যতক্ষণ আছেন, বলতে পারছি না।’