Terrorist in Kolkata: পেন ড্রাইভে বিপজ্জনক তথ্য! কাদের ছবি STF-এর হাতে?
Kolkata Police: ধৃত সন্দেহভাজন জঙ্গিকে ফের হেফাজতে পেল কলকাতা পুলিশের এসটিএফ।
আবির দত্ত, কলকাতা: ধৃত সন্দেহভাজন জঙ্গি আব্দুল রাকিব কুরেশিকে জেরা করে তদন্তকারীদের হাতে এল বিস্ফোরক তথ্য।
কী তথ্য:
কলকাতা পুলিশের এসটিএফের দাবি, পেন ড্রাইভে এমন কিছু তথ্য মিলেছে, যা দেশের পক্ষে বিপজ্জনক হতে পারে। পেন ড্রাইভ থেকে কয়েকজন ব্যক্তিত্বের ছবিও পাওয়া গেছে। বিস্ফোরণ ঘটানোর ছক ছিল জঙ্গিদের, দাবি এসটিএফের। ব্যাঙ্কশাল আদালতে দাবি সরকারি আইনজীবীর। ধৃত সন্দেহভাজন জঙ্গিকে ফের হেফাজতে পেল কলকাতা পুলিশের এসটিএফ। ধৃতকে আজ ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করে এসটিএফ। ধৃতকে জেরা করে জঙ্গি মডিউলের শিকড়ে যেতে চায় এসটিএফ।
কলকাতা থেকে ধরা হয়েছিল সন্দেহভাজন ২ IS জঙ্গিকে। তাদের জেরা করেই মধ্যপ্রদেশ থেকে ধরা হয়েছে আরও এক সন্দেহভাদন জঙ্গিকে। তাদের জেরা করে বিস্ফোরক তথ্য মিলেছিল। মিলেছিল পাকিস্তান-যোগও। এসটিএফ জানিয়েছিল, ধৃতদের সঙ্গে পাকিস্তান, মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কয়েকটি জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় সাঙ্কেতিক ভাষায় কথা বলত তারা। ধৃত সাদ্দাম পাসপোর্টও বানিয়েছিল। খোঁজ মিলেছিল যে সাদ্দাম ও তার সঙ্গী অস্ত্র জোগাড় করেছিল। সেটা কেন করেছিল সেটাই খোঁজ করছিলেন তদন্তকারীরা। গোয়েন্দাদের দাবি, চলতি মাসেই বিহার বা দিল্লিতে দেখা করার পরিকল্পনা ছিল ধৃত সন্দেহভাজন জঙ্গি আবদুল রকিব কুরেশি। সেখানে বসেই সংগঠন বাড়ানো এবং কোথায় নাশকতা চালানো হবে, তা স্থির করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেয়। অর্থাৎ বড়সড় নাশকতা করার পথেই চলছিল সন্দেহভাজন জঙ্গিরা, তদন্ত বলছে এমনটাই।
আরও সূত্র:
কলকাতা পুলিশের এসটিএফ সূত্রে দাবি, এর আগে দুবার গ্রেফতার হয় সন্দেহভাজন জঙ্গি আব্দুল রকিব কুরেশি। ২০০৯ সালে খুনের চেষ্টা ও ২০১৪ সালে আদালত চত্বরে তালিবানের হয়ে স্লোগান দেওয়ার অভিযোগ ওঠে নিষিদ্ধ সংগঠন SIMI-র প্রাক্তন সদস্য কুরেশির বিরুদ্ধে। ২০১৯ সালে কুরেশি জেল থেকে ছাড়া পায়। জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর, সোশাল মিডিয়ায় সক্রিয় হয় সে। সোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে সন্দেহভাজন IS জঙ্গি সাদ্দামের সঙ্গে পরিচয় হয়। চলতি মাসেই বিহার বা দিল্লিতে দেখা করার পরিকল্পনা ছিল কুরেশি এবং সাদ্দামের। ধৃতদের জেরা করে এসটিএফের গোয়েন্দারা জানার চেষ্টা করছেন, IS-এর হয়ে ধৃতদের হ্যান্ডলার কে ছিল? টাকার জোগান কোথা থেকে আসত? জঙ্গিদের জাল আর কোথায় কোথায় ছড়িয়েছে?
IS-এর হয়ে ধৃতদের হ্যান্ডলার কে ছিল? টাকার জোগান কোথা থেকে আসত? জঙ্গিদের জাল আর কোথায় কোথায় ছড়িয়েছে? গোয়েন্দারা জানার চেষ্টা করছেন এই প্রশ্নগুলির উত্তর।