DLed Course: ডিএলএড কোর্সে ভর্তির প্রক্রিয়ায় বাড়ল অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের মেয়াদ
High Court: আগামী ১৯ শে জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়ল স্থগিতাদেশের মেয়াদ।
সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: ডিএলএড কোর্সে ভর্তির প্রক্রিয়ায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়ল। ২০২১-২৩ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি প্রক্রিয়ার ওপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়ল। আগামী ১৯ শে জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়ল স্থগিতাদেশের মেয়াদ। ওইদিন পর্যন্ত কোন আবেদন পত্র গ্রহণ করতে পারবে না পর্ষদ।
আদালতের প্রশ্ন:
২০২১-২৩ শিক্ষাবর্ষে ডিএলএড কোর্সে ভর্তি কীভাবে? 'পিছনের দরজা দিয়ে ভর্তি নিচ্ছেন? এনসিটিই-র গাইডলাইন অমান্য করেন কীভাবে?' পর্ষদকে প্রশ্ন প্রধান বিচারপতির। ২০২১-’২৩ শিক্ষাবর্ষে ডিএলএড কোর্সে ভর্তি কীভাবে হয়েছে? পিছনের দরজা দিয়ে ভর্তি নিচ্ছেন? NCTE-র গাইডলাইন অমান্য করেন কীভাবে? পর্ষদের আইনজীবীকে প্রশ্ন করেন প্রধান বিচারপতি। গত ২৮ ডিসেম্বর, প্রাথমিক শিক্ষা।
পর্ষদ বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানায়, ২০২১-’২৩ শিক্ষাবর্ষের ডিএলএড কোর্সে ফের ভর্তি নেওয়া হবে। ২ থেকে ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত আবেদনপত্র জমা দেওয়ার সময়সীমা নির্দিষ্ট করা হয়। এর প্রেক্ষিতে দায়ের হয় জনস্বার্থ মামলা। এই মামলায় আগেই অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
চাকরি বাতিলের সিদ্ধান্ত:
প্রাথমিকে আরও ৫৯ শিক্ষকের চাকরি বাতিলের সিদ্ধান্তে অনড় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রথমে ৫৩, গতকাল ১৪০ এবং আজ ৫৯ জনের চাকরি বাতিল। বেতন বন্ধের নির্দেশ বহাল রাখলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। চাকরির বৈধতা প্রমাণে ব্যর্থ আরও ৫৯ শিক্ষক। প্রাথমিকে ২৬৮ জনের চাকরি বাতিল এবং বেতন বন্ধের নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যান বিতর্কিত ২৬৮ জন শিক্ষক। নিজেদের বক্তব্য পেশের জন্য ২৬৮ জনকে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। নির্দেশ অনুযায়ী আগে ৫৪ জন শিক্ষক হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। ৫৪ জনের মধ্যে ৫৩ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ বহাল রাখেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। গতকাল ১৪০ জনের চাকরি বাতিল ও বেতন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।
কড়া নজরদারিতে পরীক্ষা:
গত বছর নভেম্বরে ডিএলএড পরীক্ষা শুরুর আগে প্রশ্নপত্রের প্রতিলিপি বাইরে বেরিয়ে এসেছিল বলে অভিযোগ উঠেছিল। তারপর নজিরবিহীন কড়াকড়িতে পরীক্ষা হয়েছিল। পরীক্ষার দ্বিতীয় দিনে থানা থেকে তালাবন্দি ট্রাঙ্কে এসেছিল প্রশ্নপত্র। শিক্ষক ও পরীক্ষার্থীদের মোবাইল ফোন (Prohibition on Mobile Phone) নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢোকায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। শিক্ষকদের মোবাইল ফোন জমা রাখতে হয়েছিল অফিসে। কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপে আয়োজিত হয়েছিল পরীক্ষা।
আরও পড়ুন: 'বিজেপি নেতারা আবাস যোজনার বাড়ি নিয়েছে, সেই নাম বাদ দেওয়া হচ্ছে', ভোটের আগে তোপ মমতার