![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/Premium-ad-Icon.png)
Firhad Hakim: টাকা না থাকায় কাঁধে নিতে হল মায়ের দেহ, 'মানুষ হয়ে এত অমানবিক কাজ করা যায়!' নিন্দায় ফিরহাদ
Jalpaiguri News: তবে ফিরহাদ গোটা ঘটনার নিন্দা করলেও, সমালোচনা থেকে নিস্তার পাচ্ছে না রাজ্য সরকার।
![Firhad Hakim: টাকা না থাকায় কাঁধে নিতে হল মায়ের দেহ, 'মানুষ হয়ে এত অমানবিক কাজ করা যায়!' নিন্দায় ফিরহাদ Firhad Hakim Expresses grief over Jalpaiguri man carrying mother's dead body due to lack of money Firhad Hakim: টাকা না থাকায় কাঁধে নিতে হল মায়ের দেহ, 'মানুষ হয়ে এত অমানবিক কাজ করা যায়!' নিন্দায় ফিরহাদ](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2023/01/05/e795c4f71cbd793a23a84e1390a09d8e1672919512914338_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
জলপাইগুড়ি: দরিদ্র পরিবারে আচমকা অসুস্থ বৃদ্ধা। ৯০০ টাকা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করতেই হিমশিম খেতে হয়েছিল পরিবারকে। তার পরও মাকে বাঁচাতে পারেননি ছেলে। অ্যাম্বুল্যান্সে করে দেহ বাড়ি নিয়ে যেতে গিয়ে আরও বিপত্তি। একেবারে ৩ হাজার টাকা দাবি করা হল। উপায়ান্তর না দেখে মায়ের মৃতদেহ কাঁধে নিয়েই রওনা দিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সামনে এমন দৃশ্য দেশে শিউড়ে উঠেছেন বাংলার মানুষ। সরব হয়েছেন বিরোধীরাও। সেই আবহে মুখ খুললেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
বৃহস্পতিবার এবিপি আনন্দের মুখোমুখি হয়ে জলপাইগুড়ির ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানান ফিরহাদ। তিনি বলেন, "অত্যন্ত অন্যায় করেছে। আমারও সংস্থা আছে। সেখানে শববাহী গাড়িতে গরিব মানুষকে সাহায্য় করা হয়। মানুষ হিসেবে এমন অমানবিক কাজ করা যায় না।"
তবে ফিরহাদ গোটা ঘটনার নিন্দা করলেও, সমালোচনা থেকে নিস্তার পাচ্ছে না রাজ্য সরকার। সরাসরি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেছেন বিরোধীরা। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, "অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক ঘটনা। সকালেই দেখেছি আমি। ২০০ শতাংশ কাজ হয়েছে বলা মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষমা স্বীকার করা উচিত। লজ্জা রাখার জায়গা নেই।"
এ দিন রাজ্যকে একযোগে নিশানা করেছে সিপিএম এবং কংগ্রেসও। সিপিএম-এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন, "জলপাইগুড়ি থেকে যে ছবি উঠে এসেছে, তা অত্যন্ত মর্মান্তিক। জলপাইগুড়ি প্রায় কালাহান্ডি হয়ে গেল। ৩ হাজার টাকা দিতে পারেনি, অতএব শব কাঁধে ছেলে চলেছে ৫০-৬০ কিলোমিটার দূরের বাড়ির উদ্দেশে! কোথায় প্রশাসন, কোথায় কী! টাকা দিতে পারেনি বলে মায়ের দেহ কাঁধে নিয়ে হাঁটতে হবে বাংলায়! কালাহান্ডি দুর্ভিক্ষের জায়গা। ডানা মাঝি নাম ছিল সেই ব্যক্তির। তাতে শিউড়ে উঠেছিল গোটা দেশ। এত মর্মান্তিক চেহারা আমাদের জলপাইগুড়ির!"
মমতাকে নিশানা করে সুজন বলেন, "মুখ্যমন্ত্রীর তো বলছিলেন যে, সব ব্যস্থা রয়েছে। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। টাকা দিতে পারল না বলে কোনও ব্যবস্থা থাকবে না! সরকারি হাসপাতালের কী মর্মান্তিক, বীভৎস চেহারা! বাংলার গ্রামের পরিস্থিতি প্রকট হয়ে যাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী বোধহয় কোনও উৎসবে রয়েছেন। টের পাবেন কিনা জানি না। উনি কিনা স্বাস্থ্য মন্ত্রী! ভাবা যায় না। রোজ সরকার যে দাঁত মুখ খিঁচিয়ে বলে, 'জন্ম-মৃত্যু সব করে দিলাম', তার পর এমন দৃশ্য মানা যায় না। বয়াবহ পরিস্থিতি বাংলার।"
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীর কথায়, "সব হাসপাতালে এই কারচুপি রয়েছে। রক্ত নিয়ে, অ্যাম্বুল্যান্স ভাড়া নিয়ে, ওষুধ নিয়ে দুর্নীতি চলছে দেদার। যে ওষুধ হাসপাতালে সরবরাহ করা হয়, তাতে কাজ হয় না। হাসপাতালের দেওয়া ওষুধে রোগ সারে না, কিন্তু ব্র্যান্ডেড ওষুধ খেলে সেরে যায় রোগ। এই চলছে। লুঠতরাজ চলছে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে।"
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)