Firhad Hakim: নাটক চলছে বিকাশভবনের সামনে,মন্তব্য ফিরহাদের, চাকরিহারাদের পাশে নয়, সমর্থন সব্যসাচীকেই
Firhad Hakim On Jobless : ফিরহাদ বলেন, সুপ্রিম কোর্টের যে রায় তা একমাত্র বদলাতে পারে সুপ্রিম কোর্টই। আর কেউ নয়।

কলকাতা : বিকাশ ভবনের সামনে লাগাতার অবস্থান চালিয়ে যাচ্ছেন চাকরিহারা শিক্ষকরা। সরকারের অবস্থান না জানা পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। বৃহস্পতিবার সারাদিনে বারবার লাঞ্ছিত হয়েছেন তাঁরা। রাজনৈতিক নেতা ও তাঁর অনুগামীদের দাদাগিরি, মারধর আর সন্ধেয় পুলিশের লাঠি, রক্তাক্ত হয়েছে শিক্ষকদের আন্দোলন। তবু এককাট্টা তাঁরা। কারও সন্তান বাড়িতে। কারও বাড়িতে অসুস্থ মা। বিরাট ব্যায়ের ভারে নুব্জ। কিন্তু জানেন না আগামী কী হতে চলেছে। চরম অনিশ্চয়তায় থাকা মানুষগুলোর প্রতি সহমর্মিতা না দেখিয়ে কলকাতার মেয়র চাকরিহারা শিক্ষকদের আন্দোলনকে 'নাটক' বলে কটাক্ষ করলেন।
রাজ্যের মন্ত্রী ও কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, 'বিকাশ ভবনের সামনে নাটক চলছে। টেলিভিশনে মুখ দেখাতে এসব করছে।' তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্টের যে রায় তা একমাত্র বদলাতে পারে সুপ্রিম কোর্টই। আর কেউ নয়। বিকাশ ভবনের সামনে বসে আন্দোলন করে কী হবে। ফিরহাদের মতে, আন্দোলনের জেরে , অফিস ছুটি হওয়ার পরও আটকেছিলেন বহু মানুষ। বাড়ি যেতে পারছিলেন না। এভাবে মানুষের হয়রানি ঘটিয়ে কোনও আন্দোলন হয় না।
এর আগেও চাকরিহারাদের আন্দোলনকে কটাক্ষ করেছিলেন ফিরহাদ হাকিম। বৃহস্পতিবার চাকরিহারা আন্দোলনকারী শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের ওপর বিকাশ ভবনের সামনে তুমুল লাঠিচার্জ করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে বিধাননগর পুরসভার চেয়ারম্যান ও তৃণমূল নেতা সব্যসাচী দত্তর অনুগামীদের আচরণের স্পষ্ট ছবি ধরা পড়েছে ক্যামেরায়। তারপরও, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্য়বস্থা নেওয়া তো দূর অস্ত, দাপুটে তৃণমূল নেতার পাশেই দাঁড়ায় পুলিশ। এমনকী সবকিছু জেনেও সব্যসাচী দত্তর আচরণে কোনও দোষ দেখতে পাননি পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমও। তিনি বলেন, 'স্থানীয় মানুষ প্রতিবাদ করছে যে, আপনারা রাস্তা আটকে রেখে দিয়েছেন। আর সব্যসাচী দত্ত চুপ করে বসে থাকবে!'
বৃহস্পতিবার বিকাশ ভবনের বাইরে আন্দোলনরত চাকরিহারাদের লাঠি মেরে, হঠিয়ে দেয় পুলিশ। কারও মাথা থেকে, কারও পা থেকে অঝোরে রক্ত ঝরতে দেখা যায়। কিন্তু, শুক্রবার এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতিম সরকার বলেন, বিকাশ ভবনের কর্মীদের বার করার প্রক্রিয়ায় যেটুকু বলপ্রয়োগ করতে হয়েছে সেটুকু হয়েছে। আর তারপর কলকাতার মেয়রকেও শোনা গেল একই সুরে কথা বলতে। আর সে-কথা শুনে চাকরিহারা আন্দোলনরতরা বলছেন, মানবিকতা থাকলে এটা বলতে পারতেন না উনি।






















