Narada Case: ফের গতি পাচ্ছে নারদ তদন্ত! কোর্টে হাজিরা দিলেন ফিরহাদ-শোভন-মদন
Narada Investigation: নিয়োগ দুর্নীতি থেকে শুরু করে গরু ও কয়লা পাচারকাণ্ড। একের পর এক কেলেঙ্কারির ধাক্কায় তোলপাড় রাজ্যজুড়ে।

ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, কলকাতা: নারদকাণ্ডে (Narada Case) ব্যাঙ্কশাল কোর্টে হাজিরা দিলেন ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim), শোভন চট্টোপাধ্যায় (Sovan Chatterjee), মদন মিত্র (Madan Mitra)। হাজিরা দিলেন সাসপেন্ডেড IPS অফিসার এসএমএইচ মির্জাও। নারদ মামলায় ৬ এবং ৭ জানুয়ারি আরও বেশ কিছু নথি পেশের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। অভিযুক্তদের পরবর্তী সশরীরে হাজিরা ২৮ ফেব্রুয়ারি।
নারদকাণ্ডে নতুন করে সক্রিয়তা! নথি পেশের নির্দেশ
নিয়োগ দুর্নীতি থেকে শুরু করে গরু ও কয়লা পাচারকাণ্ড। একের পর এক কেলেঙ্কারির ধাক্কায় তোলপাড় রাজ্যজুড়ে। সিবিআই, ইডি-র সাঁড়াশি তদন্ত। এরই মধ্যে ফের নারদ মামলাতেও সক্রিয়তা লক্ষ্য করা গেল। তাতে জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলেও।
মঙ্গলবার নারদকাণ্ডে ব্যাঙ্কশাল কোর্টে হাজিরা দিলেন তৃণমূলের ২ হেভিওয়েট ফিরহাদ হাকিম ও মদন মিত্র। সেইসঙ্গে হাজিরা দিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়ও। এ দিন আদালতে হাজিরা দেন সাসপেন্ডেড IPS অফিসার এসএমএইচ মির্জাও।
নারদ মামলায় আগামী ৬ ও ৭ জানুয়ারি আরও কিছু নথি পেশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্তদের ফের সশরীরে হাজিরা দিতে হবে ২৮ ফেব্রুয়ারি।
আরও পড়ুন: Madan Mitra: টেট-পার্থ দেখেছেন! দূর মশাই, কত চিটিংবাজ ঘুরে বেড়াচ্ছে! মন্তব্য মদনের
গত বছরই এই মামলায় ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে সিবিআই। পরে তাঁরা জামিন পান। গতবছরই নভেম্বরে মৃত্যু হয় সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের।
নারদ স্টিং অপারেশনে তৃণমূলের বিভিন্ন নেতা-মন্ত্রীকে টাকা নিতে দেখা গিয়েছিল। ২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগে বিষয়টি সামনে আসে। ওই ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি এবিপি আনন্দ। তবে ২০১৪ সালে ম্যাথিউ স্যামুয়েল ছদ্মবেশে ওই স্টিং অপারেশন করেন বলে দাবি সামনে আসে। এর পর ঘটনাক্রম নানা ওঠাপড়ার মধ্যে দিয়ে যায়। ঘটনার তদন্ত ভার সিবিআই-এর হাতে ওঠে।
নারদ কাণ্ডে সক্রিয়তার পিছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য!
তবে সেই সময় বিস্তর জলঘোলা হলেও, দীর্ঘ দিন তদন্তের অগ্রগতি হয়নি। ভিডিও-য় টাকা নিতে দেখা গিয়েছিল তৎকালীন তৃণমূল নেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও। ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি-তে যোগ দেন তিনি। তৃণমূলের দাবি, বিজেপি-তে যাওয়াতেই শুভেন্দুর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হচ্ছে না। উল্টে সিবিআই-কে দিয়ে বেছে বেছে তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীদেরই হেনস্থা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ রাজ্যের শাসকদলের।





















