JU Student Death:'মাথা গামছা দিয়ে বাঁধা, মুখে আঘাত', যাদবপুরের পড়ুয়াকে যে অবস্থায় দেখেন হলুদ ট্যাক্সি চালক
Jadavpur University: অ্যাম্বুল্যান্স নয়, হলুদ ট্যাক্সি করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল যাদবপুরের পড়ুয়াকে। কী বলছেন সেই ট্যাক্সিচালক? কেমন ছিল তাঁর অভিজ্ঞতা?
পার্থপ্রতিম ঘোষ, কলকাতা: অ্যাম্বুল্যান্স (Ambulance) নয়, হলুদ ট্যাক্সি (Yellow Taxi) করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল যাদবপুরের (Jadavpur University Student) পড়ুয়াকে। কী বলছেন সেই ট্যাক্সিচালক? কেমন ছিল তাঁর অভিজ্ঞতা?
ট্যাক্সিচালকের 'আঁখো দেখা'...
'মাথা গামছা দিয়ে বাঁধা, মুখে প্রচুর আঘাত', পড়ুয়াকে এমন অবস্থাতেই দেখেছিলেন বলে মনে করতে পারলেন ট্যাক্সিচালক। পরনে 'গামছা' ছাড়া আর কিছু ছিল না, সেটাও মনে করালেন তিনি। আর কী? সেই রাতের কথা যেন চোখের সামনে স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছিলেন তিনি। বললেন, 'আমাকে ছেলেগুলোই ডেকেছিল...ট্যাক্সির মধ্যে ছিলাম আমি। আমাকে বলল, এমার্জেন্সি। তাড়াতাড়ি গাড়ি ঘোরান দাদা', বলছেন ট্যাক্সিচালক। তার পর? চোখের সামনে যা যা ঘটেছিল, সেটা বলতে গিয়ে কিছুটা যেন একটু হলেও আটকে যাচ্ছিলেন প্রবীণ চালক। বললেন, 'তার পর নিয়ে গিয়ে ওকে ছেড়ে দিয়ে এলাম। আমার গাড়ি ছেড়ে দিল। ভাড়া মিটিয়ে দিল।' শুধু এটুকুই? আর কিছু নয়? প্রশ্ন করতে অনেক তথ্যই বলতে থাকেন তিনি। 'পুরো গাড়ি ভর্তি করে লোকজন উঠে পড়ে। আর ছেলেটাকে পিছনের সিটে শুইয়ে দিয়েছিল...শুধু বলছিল, তাড়াতাড়ি চলুন। এমার্জেন্সি রয়েছে।' ঠিক কত জন ছিল? চার-পাঁচ জন, মনে করে বললেন ট্যাক্সিচালক। তবে বেশ কয়েকজন হেঁটেও চলে আসেন, দাবি তাঁর। কিন্তু ঘটনাটি যে এত গুরুতর, সে কথা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি ওই চালক। তাঁকে কিছুই বলা হয়নি, দাবি আরও।
নয়া নিয়ম...
যে ঘটনা ঘিরে শহর থেকে জেলা তোলপাড়, যাদবপুরের সেই ছাত্রমৃত্যুর প্রায় সপ্তাহখানেক পর প্রবেশে কড়াকড়ি করল বিশ্ববিদ্যালয়। এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু জানালেন, রাত ৮টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত প্রবেশে পরিচয়পত্র (ID Card) বাধ্যতামূলক। সঙ্গে স্পষ্ট জানানো হল, ক্যাম্পাসে মাদক নেওয়ার সময় ধরা পড়লে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। কিন্তু হস্টেলে সিসিটিভি ক্যামেরা বসবে কবে? এখনও স্পষ্ট জানাতে পারলেন না কর্তৃপক্ষ। আপাতত নির্দিষ্ট কয়েকটি জায়গায় সিসি ক্যামেরা বসানোর আশ্বাস দেওয়া হয়েছে কর্তৃপক্ষের তরফে। শুধু গেটেই সিসি ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, জানালেন রেজিস্ট্রার। আরও জানালেন, যদি কারও কাছে বৈধ পরিচয়পত্র না থাকে, সেক্ষেত্রে তাঁকে অন্য কোনও বৈধ পরিচয়পত্র পেশ করতে হবে। এতেই শেষ নয়। তিনি কোথায়, কার সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছেন, তার বিস্তারিত বিবরণও লিখে দিয়ে যেতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারে। যাঁর সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছেন, তাঁর কনট্যাক্ট নম্বরও দিতে হবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে। পাশাপাশি যে কোনও দু'চাকা বা চার চাকা গাড়ির উপর যাদবপুরের স্টিকার থাকা জরুরি। যদি স্টিকার না থাকে, তা হলে সেই গাড়িকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকে তার রেজিস্ট্রেশন নম্বর জমা দিতে হবে। নিরাপত্তাকর্মীদের কাছে এই সমস্ত তথ্য় জমা রাখা থাকবে।