Kolkata News: 'আমাকে ক্ষমা করে দাও' মৃত্যুর আগে স্ত্রীকে মেসেজ মৃত চন্দন মণ্ডলের
Death News: আর এই রহস্যমৃত্যু ঘিরে উঠে এল চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। পরিবার সূত্রে খবর, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থার কর্মী চন্দন মণ্ডল, রবিবার কাজের সূত্রে সিটি সেন্টারে যান।
কলকাতা: সিটি সেন্টার ওয়ানে যুবকের রহস্যমৃত্যু। মৃত চন্দন মণ্ডল একটি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থায় কাজ করতেন। সিটি সেন্টার ওয়ানের নিচ থেকে উদ্ধার দেহ।পুলিশ সূত্রে খবর,সিটি সেন্টার ওয়ানের ৪ তলা থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু।
আর এই রহস্যমৃত্যু ঘিরে উঠে এল চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। পরিবার সূত্রে খবর, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থার কর্মী চন্দন মণ্ডল, রবিবার কাজের সূত্রে সিটি সেন্টারে যান।সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ, মলের ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যু হয় তাঁর।মৃতের স্ত্রীর দাবি, বেশ কয়েকদিন ধরে কর্মক্ষেত্রে মানসিক চাপে ছিলেন চন্দন। ঘটনার দিন সকালেও এনিয়ে তাঁদের মধ্যে কথা হয়। মৃত্যুর ঠিক আগের মুহূর্তে স্ত্রীকে হোয়াটসঅ্যাপে তিনি লেখেন, “আমাকে ক্ষমা করে দাও। আমি আর আমাদের ফ্যামিলি মেন্টেন করতে পারলাম না। সরি।’’ তারপর একাধিকবার মেসেজ করলেও উত্তর আসেনি। ততক্ষণে সব শেষ।
আত্মহত্যার তত্ত্ব উড়িয়ে দিয়ে খুনের অভিযোগ তুলেছে পরিবার। রবিবার,সিটি সেন্টারের তিনতলায় রয়্যাল বেঙ্গল টাওয়ারে একটি অনুষ্ঠানের দায়িত্বে ছিলেন চন্দন।সেখান থেকে নজরদারি এড়িয়ে চারতলার ছাদে কীভাবে পৌঁছলেন তিনি? এনিয়ে মল কর্তৃপক্ষ মুখ খুলতে চায়নি। কর্মক্ষেত্রে কি কোনওভাবে মানসিক হেনস্থার শিকার হচ্ছিলেন চন্দন? তার জেরেই কি আত্মঘাতী হয়েছেন ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থার কর্মী? নাকি ঠেলে ফেলে দেওয়া হয়েছে? সবদিক খতিয়ে দেখছে বিধাননগর উত্তর থানার পুলিশ।
মৃতের স্ত্রী প্রিয়াঙ্কা মণ্ডল বলেন, 'বারবার বলছিল আর ভাল্লাগছে না। আমি বললাম ক্লিয়ারলি বল কী হয়েছে সেটা বল? তোমাকে কি চাকরি ছেড়ে দিতে বলেছে। ও বলল ধরে নাও সেরকমই কিছু। আমি বললাম কিছু হবে না। অন্য অপশন পেয়ে যাবে। আমি বারবার বললাম তুমি বাড়ি চলে আস। বারবার বললাম। তুমি বাড়ি আস, সব ঠিক হয়ে যাবে। তখন ও বলল ২ মিনিটে ফোন করছে।' তারপরেই স্ত্রীকে একটি মেসেজ পাঠান চন্দন। স্ত্রীকে হোয়াটসঅ্যাপে তিনি লেখেন, 'আমাকে ক্ষমা করে দাও। আমি আর আমাদের ফ্যামিলি মেন্টেন করতে পারলাম না। সরি।' মৃতের স্ত্রী বলেন, 'তারপর আমি ফোন করছি ফোন তুলছে না। মেসেজের রিপ্লাই না। একবার কেউ ফোন তুলল, তখন অনেকের গলা শুনলাম। আমি তখন আমার মাকে ফোন করি। ওরাই তারপর ফোন করে। তখন কেউ বলে পড়ে গেছে। হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছে। আপনারা আসুন।'