Buddhadeb Bhattacharya: ভাল আছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, সম্ভবত বুধবার হাসপাতাল থেকে ছাড়া হবে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে
Buddhadeb Bhattacharya: প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে রাইলস টিউব পরানো থাকলেও, মাঝেমাঝে অল্প পরিমাণে স্বাভাবিকভাবে তরল ও নরম খাবার খাওয়ানো হচ্ছে। ফুসফুস সংক্রমণ-মুক্ত।
সন্দীপ সরকার, কলকাতা: ভাল আছেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য (Buddhadeb Bhattacharya)। হাসপাতাল সূত্রে খবর, হোম কেয়ারে অভ্যস্ত করে তোলার জন্য বাড়ি থেকে বাইপ্যাপ যন্ত্র এনে হাসপাতালে ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে রাইলস টিউব পরানো থাকলেও, মাঝেমাঝে অল্প পরিমাণে স্বাভাবিকভাবে তরল ও নরম খাবার খাওয়ানো হচ্ছে। ফুসফুস সংক্রমণ-মুক্ত। ফুসফুসের কর্মক্ষমতা বাড়াতে চলছে চেস্ট ফিজিওথেরাপি ও রিহ্যাবিলিটেশন। বুদ্ধবাবুর শরীরে সমস্ত প্যারামিটার স্বাভাবিক বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
কবে ছাড়া হবে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে?
যে সমস্যা নিয়ে গিয়েছিলেন, তা থেকে মুক্ত হয়েছেন। বাংলার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শারীরিক অবস্থার আরও উন্নতি হয়েছে। এদিন মেডিক্যাল বোর্ডের বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে উডল্যান্ডসে হাসপাতালের চিকিৎসক সৌতিক পাণ্ডা জানান, ভীষণ ভাল আছেন। রবীন্দ্রসঙ্গীত শুনছেন। মন মেজাজ ভাল আছে। আমরা সবাই খুব খুশি। সংক্রমণ নির্মূল হয়ে গেছে। বাড়ি ছাড়ার আগে আলোচনা করতে চাইছি, আগামী কয়েক সপ্তাহ ওঁকে বাড়িতে কীভাবে রাখা হবে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে বেশিদিন হাসপাতালে রাখলেও ফের সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে। পার্টির বর্ষীয়ান সদস্য এবং পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলা হবে এই বিষয়ে। রাইলস টিউবেই মূলত খাওয়া চলবে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে রাইলস টিউব খুলে ফেলতে পারব। এই এক সপ্তাহ ওঁকে হাসপাতালে রাখতে চাই না। বাড়িতে অভ্যস্ত হতে হবে। হোম কেয়ার থাকবে। উঠে দাঁড়াতে পারছেন। হাঁটতে এখনও পারছেন না। উনি নিজে খুব সহযোগিতা করেছেন।
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর শারীরিক অবস্থা এখন পুরোপুরি স্থিতিশীল। আগেই বন্ধ করা হয়েছে অ্যান্টিবায়োটিক ডোজ। পাশাপাশি, বাড়িতে যে বাইপ্যাপ মেশিন ছিল, তা এনে হাসপাতালে ব্যবহার করা হচ্ছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এইভাবে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে বাড়ির পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর চেষ্টা চলছে। এর আগে শনিবার হাসপাতালের মেডিক্যাল বোর্ডের যে বৈঠক হয়, সেখানে উপস্থিত ছিলেন সিপিএম-এর রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম এবং তাঁর পূর্বসূরি সূর্যকান্ত মিশ্র। হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে সেলিম বলছিলেন, "আরও দু'দিন দেখবেন চিকিৎসকেরা। অ্যান্টিবায়োটিক ছাড়া উনি কেমন থাকেন, দেখা হবে। চিকিৎসকরা যা জানিয়েছেন, তাতে আশ্বান্বিত আমরা। যে কারণে এসেছিলেন, তা থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত।" তাই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি ফেরার অপেক্ষায় তাঁর অনুগামীরা।
আরও পড়ুন: WB Dengue: বাড়ছে ডেঙ্গির দাপট, আক্রান্তের সংখ্যার নিরিখে শীর্ষে উত্তর ২৪ পরগনা