Tapas Paul Family: চিঠি লিখেও মমতার থেকে জবাব পাননি, কেন এত খারাপ ব্যবহার, প্রশ্ন তাপস-কন্যা সোহিনীর
Tapas Paul: মঙ্গলবার এবিপি আনন্দের মুখোমুখি হন তাপসের স্ত্রী নন্দিনী পাল এবং কন্যা সোহিনী পাল।
কলকাতা: পর্দার নায়ক রাজনীতির মঞ্চে অবতীর্ণ হয়েছিলেন। বিস্তর ঝড়-ঝাপ্টা পেরিয়ে অবশেষে মৃত্যু। বাংলা ছবির এককালের ‘রোম্যান্টিক নায়ক’ শেষ পর্যন্ত ‘ট্র্যাজিক হিরো’ হয়ে রয়ে গিয়েছেন। এককালে বাইরে বেরোলে যাঁকে ছেঁকে ধরতেন মানুষজন, শেষ জীবনে উপেক্ষা ছাড়া কিছু পাননি বলে অভিযোগ ওঠে। সেই সব নিয়েই এবার মুখ খুললেন তাপস পালের (Tapas Paul) পরিবার। এবিপি আনন্দের মুখোমুখি হয়ে উগরে দিলেন ক্ষোভ, অনুযোগ, অভিমান। (TMC)
মঙ্গলবার এবিপি আনন্দের মুখোমুখি হন তাপসের স্ত্রী নন্দিনী পাল এবং কন্যা সোহিনী পাল। সেখানেই বাবার প্রতি দলের আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সোহিনী। টাকার বিনিময়ে সংসদে আদানিদের নিয়ে প্রশ্ন তোলার অভিযোগে সম্প্রতি সংসদ থেকে বহিষ্কৃত হয়েছেন মহুয়া মৈত্র। ওই কৃষ্ণনগরেরই সাংসদ ছিলেন তাপস। কিন্তু মহুয়ার ক্ষেত্রে তৃণমূল পাশে থাকলেও, তাপসের ক্ষেত্রে কেন তা হয়নি, প্রশ্ন তুলেছেন সোহিনী। (Sohini Paul)
এবিপি আনন্দের মুখোমুখি হয়ে সোহিনী বলেন, "মুম্বই থেকে বাবার দেহ নিয়ে কলকাতায় আসি। যত ক্ষণ ক্যামেরা চলছিল, অরূপ বিশ্বাস আমাদের সঙ্গে ছিলেন। পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছিলেন। শেষকৃত্যের পর পারলৌকিক ক্রিয়ার কার্ড নিয়ে গেলে, অরূপ বিশ্বাস সামনে এসে তা নেননি। অরূপ বিশ্বাস আমার এবং মায়ের ফোন নম্বর ব্লক করে দেন। এই ভণ্ডামি কেন?” সোহিনীর প্রশ্ন, “বাবার সঙ্গে কেন এমন বাজে ব্যবহার করা হল, অন্যদের সঙ্গে কেন হল না?” মমতাকে লাগাতার চিঠি লিখলেও, তাপস একটিরও জবাব পাননি বলেও জানান সোহিনী।
রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার বর্তমান মেয়র ফিরহাদ হাকিমও তাপস সম্পর্কে কুরুচিকর মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ করেছেন নন্দিনী এবং সোহিনী। তাঁরা জানিয়েছেন, তাপস দ্বিতীয় বার বিধায়ক হওয়ার টিকিট পাওযার পরই উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন ফিরহাদ। মুখে যদিও মিষ্টি ব্যবহার করতেন। একবার দেখা করতে গেলে, তাপসের ‘মাথা খারাপ হয়েছিল কিনা’, তাপস ‘পাগল হয়ে গিয়েছিলেন কিনা’ জানতে চান ফিরহাদ। তাতে অত্যন্ত দুঃখ পান বলে জানিয়েছেন সোহিনী। তাঁর কথায়, “আমার বাবা পাগল হননি।”
তাপসের পরিবারের এই দাূবিতে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ফিরহাদ। তাঁর দাবি, তাপসের পরিবারের সঙ্গে পরিচয় রয়েছে তাঁর। তাপসের অকালমৃত্যু দুঃখজনক। হতে পারে পরিবারেরর মনে অভিমান জমে রয়েছে। যখনই নন্দিনী ফোন করেছেন তিনি ধরেছেন, সাধ্য মতো সাহায্যও করেছেন, কিন্তু সব সময়, সব কাজ করা যায় না বলে মন্তব্য করেছেন ফিরহাদ।