Ration Scam: নিয়োগ দুর্নীতি থেকে রেশন দুর্নীতি, কেন্দ্রীয় এজেন্সির জালে রাজ্য়ের দুই মন্ত্রী ও দুই বিধায়ক
রেশন বণ্টন দুর্নীতিকাণ্ডে আজ ইডির হাতে গ্রেফতার হলেন প্রাক্তন খাদ্য়মন্ত্রী জ্য়োতিপ্রিয় মল্লিক।
কলকাতা: শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতি থেকে রেশন বণ্টন দুর্নীতিকাণ্ড। কেন্দ্রীয় এজেন্সির জালে রাজ্য়ের দুই মন্ত্রী ও দুই বিধায়ক। নিয়োগ দুর্নীতিতকাণ্ডে গত বছরের ২৩ জুলাই ইডির হাতে গ্রেফতার হন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। রেশন বণ্টন দুর্নীতিকাণ্ডে আজ ইডির হাতে গ্রেফতার হলেন প্রাক্তন খাদ্য়মন্ত্রী জ্য়োতিপ্রিয় মল্লিক।নিয়োগ দুর্নীতিতে গত ১৭ এপ্রিল সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হন বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা।
নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে গত বছরের ১১ অক্টোবর প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি ও পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যকে গ্রেফতার করে ইডি। এদিকে গরু পাচার মামলায় আগেই গ্রেফতার করা হয় অনুব্রত মণ্ডলকে। সব মিলিয়ে একের পর এক দুর্নীতির তদন্তে কেন্দ্রীয় এজেন্সির হাতে গ্রেফতার একের পর এক হেভিওয়েট। সেই তালিকায় এবার নাম ঢুকল জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের।
উল্লেখ্য এদিনই ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করা হয় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে। ব্যাঙ্কশাল কোর্টে শুনানি চলাকালীনই আদালতে অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান তিনি। এখনও পর্যন্ত যে তথ্য-প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে, তা খুব মজবুত নয়, মন্তব্য করেন বিচারক। তিনি আরও বলেন, এই মামলায় এখনও বেশকিছু খামতি রয়েছে। ১৪ দিনের হেফাজতের নির্দেশ শুনেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন জ্যোতিপ্রিয়। আদালতের মধ্যেই জ্ঞান ফেরাতে মন্ত্রীর মাথায় জল ঢালেন তাঁর মেয়ে। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে বিচারক তনুময় কর্মকার নির্দেশ দেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করবে কমান্ড হাসপাতাল। এর পর বিচারকের চেম্বারে নিয়ে যাওয়া হল জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে। বিচারক নির্দেশ দিয়ে বলেন, বাড়ির খাবার পাবেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। পাশাপাশি দিনে এক ঘণ্টা করে আইনজীবীর সঙ্গে দেখা করতে পারবেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।
সারদাকাণ্ডে লাল ডায়েরির পর এবার রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে মেরুন ডায়েরির হদিশ মিলেছে। আদালতে ইডি দাবি করে রেশন দুর্নীতিতে জড়িত জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। আদালতে ইডির জানায়, ২৬ অক্টোবর জ্যোতিপ্রিয় ঘনিষ্ঠ অভিজিৎ দাসের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। অভিজিৎ দাসের বাড়িতে উদ্ধার হয় একটি মেরুন ডায়েরি। মেরুন ডায়েরিতে 'বালুদা' বলে নাম উল্লেখ ছিল। পাশাপাশি রেশন দুর্নীতির তদন্তে ইডির নজরে ৩ ভুয়ো সংস্থাও। ইডি সূত্রে খবর, এই ৩ সংস্থার মাধ্যমে ১২ কোটি কালো টাকা সাদা করা হয়েছে, ওই ৩ সংস্থায় ৮ কোটি টাকা জমা পড়েছে। জেরার সময় বাকিবুরের স্বীকারোক্তি, ঋণ হিসেবে টাকা গিয়েছে জ্যোতিপ্রিয়র কাছে। সেই টাকা কোনওদিন ফেরত আসেনি বলেও খবর।