Dakshin 24 Parganas:নোদাখালিতে শুরু গঙ্গা ভাঙন, তলিয়ে গেল লাগোয়া ইটভাটার অফিস, শ্রমিকদের থাকার ঘর, ক্লাব
Ganga Erosion:দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজ ২ নম্বর ব্লকের নোদাখালিতে শুরু হয়েছে গঙ্গা ভাঙন। ইতিমধ্য়েই তলিয়ে গেছে গঙ্গা লাগোয়া ইটভাটার অফিস, শ্রমিকদের থাকার ঘর এবং একটি ক্লাব।
জয়ন্ত রায়, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: দক্ষিণ ২৪ পরগনার (Dakshin 24 Parganas) বজবজ ২ নম্বর ব্লকের নোদাখালিতে শুরু হয়েছে গঙ্গা ভাঙন (Ganga Erosion)। ইতিমধ্য়েই তলিয়ে গেছে গঙ্গা লাগোয়া ইটভাটার অফিস, শ্রমিকদের থাকার ঘর এবং একটি ক্লাব। ডোঙারিয়া ও রায়পুর এলাকার রিং বাধের উপর রাস্তা দিয়ে গাড়ি চলাচল নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে প্রশাসন।
ভাঙনের ভয়াল ছবি...
ভেঙেছে বাঁধ। তলিয়ে গেছে ঘর। ঘরে দেখা দিয়েছে ফাটল। তলিয়ে যাওয়ার মুখে আরও কয়েকটি বাড়ি। প্রবল বৃষ্টিতে গঙ্গা ভাঙন শুরু হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজ ২ নম্বর ব্লকের নোদাখালিতে। ইতিমধ্য়েই তলিয়ে গেছে গঙ্গা লাগোয়া ইটভাটার অফিস, শ্রমিকদের ঘর ও একটি ক্লাব। আতঙ্কে নোদাখালির ডোঙারিয়া ও রায়পুর অঞ্চলের বাসিন্দারা। স্থানীয় শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ অমৃত বিদ্যালয়ে তাঁদের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। নোদাখালি বাসিন্দা বেবি বিবি যেমন বলেন, 'আজ সকালে ভয়ঙ্কর ধস নামল। বিরাট একটা ধস নামল পারে। এর আগে ধস নেমেছিল অতটা ভয়ঙ্কর হয়নি। এবার ভয়ঙ্কর ঝস নামছে। খুব ভয়ে আমরা আছি।'
এলাকা পরিদর্শন করেন বিডিও, বজবজ ২ নম্বর ব্লকের প়ঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি এবং রায়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের আধিকারিরা। ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধের অংশগুলিকে বাঁশ ও ত্রিপল দিয়ে মেরামত করা হয়। বজবজ ২ নম্বর ব্লক পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বুচান বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, 'আমরা খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে প্রশাসনের তরফে পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে প্রধান-উপপ্রধান সবাই মিলে ঝাঁপিয়ে করি। সাংসদকে ফোন করি। সাংসদ সেচ দফতরে ফোন করেন। বাঁধ মেরামতির চেষ্টা করা হয়। খুব শিগগিরই বাঁধ মেরামত হবে।' ডোঙারিয়া এবং রায়পুর অঞ্চলের রিং বাঁধের উপর রাস্তা দিয়ে গাড়ি চলাচল নিষিদ্ধ করেছে প্রশাসন। মাইকে প্রচার চালানো হচ্ছে স্থানীয় প্রশাসনের তরফে।
ভাঙন চলছেই...
পুজোর মুখে গঙ্গার ভাঙনের দাপটে এর মধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত মালদার মানিকচকের গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা। ঈশ্বরটোলা গ্রামে প্রায় এক কিলোমিটার জুড়ে গঙ্গায় ভাঙন শুরু হয় গত সপ্তাহে। নদী গর্ভে তলিয়ে যায় চাষের জমি, গাছপালা। পাড় ভাঙতে ভাঙতে ক্রমশ গ্রামের দিকে এগিয়ে আসছে গঙ্গা। মাথার ওপর ছাদ ও শেষ সম্বলটুকু হারিয়ে ফেলার আশঙ্কায় ঘুম উড়ে যায় গ্রামবাসীদের। ভাঙন-কবলিত এলাকায় এখনও প্রশাসনের দেখা মেলেনি। মালদা ও মুর্শিদাবাদের বেশ কিছু এলাকায় গঙ্গা-ভাঙনের অভিঘাত অজানা নয়। এর জেরে কম-বেশি প্রত্যেক বছরই বহু মানুষ গৃহহীন হন, চাষের জমি থেকে গাছপালা হয়ে স্কুলবাড়ি বা বসতবাড়ি, গঙ্গার গ্রাসে এড়াতে পারে না কিছুই। এবারও সেই ছবি।
আরও পড়ুন:টাকা না দেওয়াতেই দেওয়াল ধসে মৃত্যু, রক্ত BJP-র হাতে, গিরিরাজকে গ্রেফতারের দাবি অভিষেকের