Kolkata News: দিনের আলোয় সোনারপুরে দুঃসাহসিক ডাকাতি! লুঠ ৪০ লক্ষ টাকার সোনা!
Sonarpur News: জানা গিয়েছে, ২টি বাইকে করে তিনজন ব্যক্তি দোকানে এসেছিল। প্রত্যেকের মুখে হেলমেট ছিল

রঞ্জিত হালদার, সোনারপুর: ফের দিনের আলোয় দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনা। দক্ষিণ ২৪ পরগনার চম্পাহাটি অঞ্চলে দিনের আলোয় ঘটে গেল চাঞ্চল্যকর ডাকাতি। স্থানীয় ‘চম্পাহাটি গোল্ড জুয়েলারি হাউস’-এ মঙ্গলবার দুপুরে হানা দেয় তিনজন দুষ্কৃতী। দোকানের কর্মচারী শম্ভুনাথ চৌধুরী সেই সময় দোকানে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বাধা দিতে গেলে দুষ্কৃতীরা তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, ২টি বাইকে করে তিনজন ব্যক্তি দোকানে এসেছিল। প্রত্যেকের মুখে হেলমেট ছিল। মনে করা হচ্ছে, পরিচয় গোপন করার কারণেই এই হেলমেট ব্যবহার করেছিল তারা । দোকানের মালিক অজয় মন্ডল তখন বাড়িতে খেতে গিয়েছিলেন। এই সুযোগেই দোকানে ঢুকে প্রায় ৪০ লক্ষ টাকার সোনার গয়না লুঠ করে নেয় ওই দুষ্কৃতীরা। যাওয়ার সময় যাকে কোনও প্রমাণ না থাকে সেই কারণে ওই দুষ্কৃতীরা সিসিটিভির হার্ডডিস্ক খুলে নিয়ে যায়। ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় সোনারপুর থানার পুলিশ ও বারুইপুর পুলিশ জেলার স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ। পুলিশ জানিয়েছে, গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। আশেপাশের দোকানের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালেও একই দোকানে চুরির ঘটনা ঘটেছিল, যার তদন্ত এখনও সম্পূর্ণ হয়নি। দিনের আলোয় জনবহুল এলাকায় এভাবে ডাকাতি হওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দারা নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। পুলিশি টহল বাড়ানোর দাবি উঠেছে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে এলাকায় বাড়ানো হয়েছে পুলিশি নজরদারি।
অন্যদিকে, কলকাতা ও মুর্শিদাবাদের ৩ জায়গা থেকে অস্ত্র সহ ৪ দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। এত অস্ত্র ও গুলি কী উদ্দেশ্যে, কোথা থেকে কোথায় পাচার করা হচ্ছিল, খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। বিহার, অসম থেকে রাজ্যে লোক ঢুকছে। এই কথা জানিয়ে, শিলিগুড়িতে প্রশাসনিক বৈঠকে পুলিশের পাশাপাশি, DM-দেরও সতর্ক করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই পরিস্থিতিতে ভিন রাজ্য থেকে অস্ত্র ঢোকার বিষয়টিও চিন্তায় ফেলেছে পুলিশ-প্রশাসনকে।
মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত খাস কলকাতা ও জেলা থেকে অস্ত্র সহ ৪ দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে এজেসি বোস রোড উড়ালপুল থেকে হেস্টিংস থানার পুলিশ এক দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে। ধৃতের নামে সাদ্দাম হুসেন ওরফে নেপালি। ধৃত যুবক আনন্দপুর থানা এলাকার চৌবাগার বাসিন্দা। ধৃতের কাছ থেকে উদ্ধার হয় একটি 7 MM পিস্তল ও ম্যাগাজিন। অন্যদিকে, মঙ্গল রাতেই তপসিয়া এলাকা থেকে অস্ত্র সহ ২ দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে তপসিয়া থানার পুলিশ। দুষ্কৃতী হল, মহম্মদ ফায়েম ওরফে ফাহিম। এবং মহম্মদ ফৈয়াজ। এই ২ জনও আনন্দপুরের বাসিন্দা।
ধৃতদের কাছ থেকে একটি দেশি ওয়ান শটার এবং ২ রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, কী উদ্দেশ্যে অস্ত্র নিয়ে এই দুষ্কৃতীরা ঘোরাফেরা করছিল, তিনজনের মধ্যে কোনও যোগাযোগ আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অন্যদিকে, বিহারের মুঙ্গের থেকে অস্ত্র পাচারের চেষ্টার অভিযোগে মুর্শিদাবাদের নওদা রেল গেটের কাছ থেকে অস্ত্র পাচারকারীকে গ্রেফতার করেছে বহরমপুর থানার পুলিশ। ধৃত হাবুল শেখ ফরাক্কার বাসিন্দা। ধৃতের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ৭টি 7MM পিস্তল, ১৩টি ম্যাগাজিন...এবং ১০ রাউন্ড গুলি।
পুলিশ সূত্রে খবর, মুঙ্গের থেকে জলঙ্গিতে অস্ত্র পাচার করা হচ্ছিল। বুধবার সকালে অস্ত্র নিয়ে বাইকে করে যাচ্ছিল হাবুল। ১২ নম্বর জাতীয় সড়কে অস্ত্র পাচারকারীকে পাকড়াও করা হয়। এত অস্ত্র ও গুলি কী উদ্দেশ্যে, কোথায় পাচার করা হচ্ছিল, খতিয়ে দেখছে বহরমপুর থানার পুলিশ।






















