Mamata Banerjee: একই দিনে গুরুপূর্ণিমা এবং শহিদ দিবস! হাওয়াই চটি নিয়ে কী করলেন কর্মী?
TMC Shahid Diwas: ২১ জুলাইয়ের সভা নিয়ে তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে উৎসাহ তুঙ্গে
কলকাতা: আজ গুরু পূর্ণিমা (Guru Purnima 2024)। আবার আজকেই ২১ জুলাই- যেদিন শহিদ দিবস হিসেবে পালন করে তৃণমূল। আর এই ২দিনই মিলিয়ে দিলেন তৃণমূল কর্মীদের একাংশ। গুরু পূর্ণিমায় রাজনৈতিক গুরু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) সম্মান জানাতে হাওয়াই চটি বুকে নিয়ে উত্তরবঙ্গ থেকে ধর্মতলায় একঝাঁক দলীয় কর্মী সমর্থক।
গুরু পূর্ণিমায় মমতাকে শ্রদ্ধা:
ভারতীয় হিন্দু সংস্কৃতিতে গুরু পূর্ণিমায় গুরুকে সম্মান জানানো এবং পুজোর চল রয়েছে। রাজনীতির আঙিনাতেও গুরু-শিষ্য পরম্পরার কথা শোনা যায়। যাঁর হাত ধরে বা যাঁর আদর্শ নিয়ে রাজনীতিতে আসেন কেউ- তাঁকেই গুরু বলে মানেন অনেকে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও সেভাবেই গুরুর আসনে বসিয়েছেন ওই তৃণমূল কর্মীরা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বরাবরই হাওয়াই চটি পরেন। এক দিক থেকে সেটা তাঁর ট্রেডমার্কও। সেই নীল-সাদা হাওয়াই চটির মডেল মাথায় নিয়ে এসেছেন উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ির ওই তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। তাঁদের মধ্যে থেকেই এক কর্মী বলেন, 'আজ গুরু পূর্ণিমা। দিদি যে নীল-সাদা চটি পরেন সেটাই আমাদের কাছে আশীর্বাদ। তাই সেই চটিই আমরা মাথায় নিয়ে যাচ্ছি।'
২১ জুলাইয়ের শহিদ দিবস উপলক্ষে সাজ সাজ রব ভোর থেকেই। জেলার নানা প্রান্ত থেকে এসে পৌঁছেছেন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা। দূরের জেলা থেকে আগেই এসে গিয়েছেন অনেকে। কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় তাঁদের রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউতে দেখা গিয়েছে ক্যাম্প অফিসে জায়ান্ট স্ক্রিন বসেছে। ছাউনি রয়েছে। যাতে বৃষ্টিতে বা কোনও কারণে ধর্মতলা যেতে না পারলেও সেখানে সবাই বসে দেখতে পারেন। চেয়ার রয়েছে। রয়েছে জল, খাবার। ওই ক্যাম্প অফিসে রয়েছে ওষুধও।
তুঙ্গে উৎসাহ:
২১ জুলাইয়ের সভা নিয়ে তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে উৎসাহ তুঙ্গে। কালীঘাটের অজিত কুণ্ডু। এদিনের জন্য় প্রতিবারের মতো এবারও নানা রঙে নিজেকে রাঙিয়ে নিয়েছেন তৃণমূলের এই একনিষ্ঠ সমর্থক। ধর্মতলা চত্বরে ঢেলে বিক্রি হচ্ছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার লেখা টুপি। কোথাও ঢাকের তালে নাচছেন তৃণমূলের কর্মী, সমর্থকরা। গিটারের সুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বন্দনায় মেতেছেন কর্মী, সমর্থকরা।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি দেওয়া মুখোশ পরে, শাঁখ বাজিয়ে ধর্মতলার উদ্দেশে রওনা দেন বিধাননগর পুরসভার ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলের কর্মী, সমর্থকরা। নেতৃত্বে তৃণমূল কাউন্সিলর আলো দত্ত ও তাঁর স্বামী তৃণমূলের ওয়ার্ড সভাপতি নির্মল দত্ত। মধ্যমণি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, চালচিত্রের মতো বিশালাকার টুপিতে রয়েছেন তৃণমূল সাংসদরা। মুকুটের মতো এই টুপি পরেই শিয়ালদা স্টেশনে নজর কেড়েছেন এক তৃণমূল সমর্থক। তৃণমূলের পতাকায় ছয়লাপ হতে দেখা গিয়েছে হাওড়া স্টেশন চত্বর। বিভিন্ন জেলা থেকে দলে দলে কর্মী, সমর্থকরা আসছেন ধর্মতলায় একুশের সমাবেশে যোগ দিতে। সড়কপথের পাশাপাশি, জলপথেও হাওড়া থেকে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দিচ্ছেন তৃণমূলের কর্মী, সমর্থকরা। হাওড়া লঞ্চঘাট থেকে একের পর এক লঞ্চ রওনা দিচ্ছে। তৃণমূলের তরফে কর্মী, সমর্থকদের সাহায্য করার জন্য তৈরি করা হয়েছে অভ্যর্থনা মঞ্চ।
সকাল থেকেই রান্না:
মেয়ো রোডে চলছে রান্না। আসানসোল থেকে এসেছেন তৃণমূলের কর্মী, সমর্থকরা। মেনুতে রয়েছে, ভাত, ডাল, পাঁচমেশালি তরকারি, মাংস। রয়েছে মাছের পদও। কেউ আবার জলখাবার সেরেছেন মুড়ি-ঘুগনি বা তেলেভাজা দিয়ে।
নানা জেলা থেকে আসছেন কর্মী-সমর্থকরা। লোকসভা ভোটে বিপুল বিজয়। তারপরেই উপনির্বাচনে চারটির মধ্যে চারটি আসনেই জয়। সব মিলিয়ে এখন উৎসাহে ফুটছে তৃণমূল শিবির।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: শত চেষ্টাতেও হাতছাড়া সাফল্য, সবসময় ব্যর্থতা? এগুলি মানলেই গুরু পূর্ণিমায় কেটে যাবে দোষ